সরকার কি এবার পরে যাবে, শাসকদলের অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে, জোর জল্পনা জাতীয় March 6, 2020 হঠাৎ করেই সংকটে পড়েছে মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস সরকার। মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথের সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে রীতিমতো আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। আর এই গোটা বিষয়টিতেই কংগ্রেসের অভিযোগের তীর নিক্ষেপ হয়েছে বিরোধী গেরুয়া শিবিরের দিকে। কংগ্রেসের অভিযোগ, তাঁদের দশ বিধায়ককে বিজেপি শিবির থেকে গায়েব করে দেওয়া হয়েছে। যার ফলে বর্তমানে মহা সংকটের মুখে দাঁড়িয়ে মধ্যপ্রদেশের কমলনাথের সরকার। এই প্রসঙ্গে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বলা হয়, কংগ্রেস সরকারকে ফেলে দেওয়ার জন্য মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস বিধায়কদের কেনা-বেচার চেষ্টা চালাচ্ছে বিজেপি। তবে এই মুহূর্তে অপহৃত 10 বিধায়কের সন্ধান পাওয়া গেছে বলে জানা গেছে। অপহৃত বিধায়কদের পাওয়া গেলেও কমলনাথ সরকারের ওপর থেকে যে এখনই সংকটের কালো মেঘ সরে যাচ্ছে, সে বিষয়ে নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। তবে সম্প্রতি বিজেপি যে দশজন কংগ্রেস বিধায়ককে অপহরণ করেছিলেন বলে অভিযোগ জানিয়েছিল কংগ্রেস শিবির, আজ সেই কংগ্রেস শিবির আবারও জানিয়েছে যে অপহৃত 10 জন বিধায়কের মধ্যে বেশ কয়েকজন ফিরে এসেছেন। অন্যদিকে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে দাবি জানানো হয়, বাকি 6 জনের খোঁজ পেয়েছে কংগ্রেস। অন্যদিকে কংগ্রেস বিধায়কদের অপহরণের ঘটনাটি মারকাটারি হিন্দি সিনেমার স্ক্রিপ্টকেও হার মানাবে বলে দাবি করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। সূত্রের খবর, কংগ্রেসের যে 10 জন বিধায়ককে অপহরণ করা হয়েছিল তাঁদের খোঁজ পাওয়া গিয়েছিল হরিয়ানার মানেসরের একটি বিলাসবহুল হোটেলে। ওই হোটেল থেকে কংগ্রেসের একাধিক বিধায়ককে নিয়ে এসে সোজা মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথের বাড়িতে তোলা হয়। সেখানে চূড়ান্ত নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে তাঁদের দেখভাল করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। অন্যদিকে, কংগ্রেসের বাকি বিধায়কদের ইতিমধ্যে হরিয়ানা থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে সোজা দক্ষিণে। সেখানেই এক বিলাসবহুল হোটেলে তাঁদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানা গেছে। যদিও বিধায়কদের ফোন এই মুহূর্তে বন্ধ করে রাখা হয়েছে বলে খবর। কিছুদিন আগেই মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথ দাবি করেছিলেন, বিজেপি শিবির মধ্যপ্রদেশের মাফিয়াদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কংগ্রেস বিধায়কদের অপহরণ করার ষড়যন্ত্র করছে। ফলে একদিকে তাঁরা যেরকম কংগ্রেস বিধায়কদের অপহরণ করবে এটা ঠিক, অন্যদিকে তেমনই কমলনাথ সরকারকেও ফেলা তাঁদের অন্যতম উদ্দেশ্য বলে দাবি করেন তিনি। যদিও মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথের অভিযোগ সরাসরি উড়িয়ে দেয় মধ্যপ্রদেশের বিজেপি শিবির। তবে বিধায়কদের উদ্ধার করার পর আরো কড়া ভাবে কংগ্রেস-বিজেপি শিবিরের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে বলে জানা যাচ্ছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - অন্যদিকে, কংগ্রেস নেতাদের অপহরণের তত্ত্ব পুরোপুরি খারিজ করে দিয়ে পাল্টা বিজেপি শিবির থেকে দাবি করা হয়েছে, কংগ্রেস নেতারা তাঁদের দলে থেকে কাজ করতে পারছেন না। এ প্রসঙ্গে মধ্যপ্রদেশ বিজেপির প্রধান নেতা নরোত্তম দাস জানিয়েছেন, ‘বিধায়করা (কংগ্রেস) আমার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। কংগ্রেস নেতারা বলছেন তাঁরা কাজ করতে পারছেন না। তাঁরা মানুষের কাছে জবাব দিতে পারছেন না। আমার সঙ্গে কংগ্রেসের ১৫ থেকে ২০ জন বিধায়ক রয়েছেন।’ অন্যদিকে বিজেপি প্রধানের এহেন দাবির ফলে মধ্যপ্রদেশের রাজনৈতিক মহলে জোর গুঞ্জন শুরু হয়েছে। সূত্রের খবর, আগামী 26 শে মার্চ হতে চলেছে মধ্যপ্রদেশের রাজ্যসভার ভোট। বিজেপি সাংসদদের লক্ষ্য, সেই ভোটে কমলনাথকে হারানো বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। সেই উদ্দেশ্যে কংগ্রেস বিধায়কের ভোট পাওয়াই একমাত্র উদ্দেশ্য বিজেপি শিবিরের। আর তা করতে যথেষ্টই চেষ্টায় রয়েছে বিজেপি বলে দাবি কংগ্রেসের। এই পরিস্থিতিতে এই মুহূর্তে মধ্যপ্রদেশের বিধানসভায় 231 জন সদস্য সংখ্যা। যাঁদেরর মধ্যে 114 জন হলেন কংগ্রেস বিধায়ক, 107 জন হলেন বিজেপি বিধায়ক এবং বিএসপি’র পক্ষ থেকে দুই বিধায়ক আছেন ও এসপি’র একজন বিধায়ক রয়েছেন বলে জানা গেছে। মধ্যপ্রদেশের রাজনৈতিক নাটক ইতিমধ্যে তীব্র আকার ধারণ করেছে। জাতীয় কংগ্রেস অভিযোগ জানিয়েছে, রাজ্য সরকারকে পতনের ষড়যন্ত্র করছে বিজেপি। যার ফলে কংগ্রেসের দাবি তাঁদের 10 বিধায়ককে অপহরণ করে বিজেপি। আপাতত কংগ্রেস শিবিরে বিধায়করা ফিরে আসলেও বিধানসভার সংখ্যাতত্ত্বের বিচারে রাজনীতির মোড় যেকোন দিকে ঘুরে যেতে পারে বলে দাবি রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। অন্যদিকে, অভিযোগ প্রতি অভিযোগের পালা চলছেই মধ্যপ্রদেশে। তবে এই মুহূর্তে মধ্যপ্রদেশের রাজনৈতিক আকাশে দোলাচলের সম্পূর্ণ দৃষ্টি নিক্ষেপ করেছে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকগণ। আপনার মতামত জানান -