বিজেপিতে যোগ দেওয়া থেকেই নানা কটাক্ষ শুনতে হয়েছে মুকুল রায়কে। প্রথমে মুখ না খুললেও পরে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী বার বার ‘গদ্দার’ বলেছেন মুকুলবাবুকে। মুকুলবাবু দাবি করেছিলেন যে বিজেপি বাংলায় ভালো ফল করবে। তাঁর উপর আস্থা রেখে স্বয়ং মোদী শাহ তাঁকে পঞ্চায়েত নির্বাচনে গুরু দায়িত্ব দিয়েছিলেন।

সেখানেও তিনি প্রমান করেছেন যে তিনি মুকুল রায়। এরপর লোকসভা নির্বাচনেও তিনি দ্বায়িত্ব পেয়েছিলেন আর যার পরে রাজ্যে বিজেপির জয়জয়াকার। তাই তিনি যে সত্যিই বাংলার চাণক্য তা ফের প্রমাণিত। আর কিভাবে মাত দিলেন নিজের পুরোনো দলকে মুকুল রায় তা নিয়েই জোর জল্পনা শুরু হয়েছিল রাজ্যে।

আর এদিন সেই রহস্যই ফাঁস করলেন তিনি। এদিন এই নিয়ে তিনি জানান যে, ‘‘তৃণমূলের একটা বড় অংশকে আড়ালে বিজেপির মেশিনারি হিসেবে ব্যবহার করাই ছিল চ্যালেঞ্জ। তারা বাইরে তৃণমূলের হয়ে প্রচারে থাকলেও ভিতরে বিজেপির জন্য কাজ করেছে। এ বার কাজ হল, তৃণমূলের সেই নেতা-কর্মীদের প্রকাশ্যে নিয়ে আসা এবং বিজেপিতে যোগ দেওয়ানো। যাতে ২০২১ সালের আগেই তৃণমূলের সরকার ফেলে দেওয়া যায়।’’

বিজেপিকে এত বড় জয় দেবার পর তিনি কোনো পুরস্কার পাচ্ছেন কি এবার ? এদিন তাঁকে এই নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান যে, ‘‘আমি এ সবে আগ্রহী নই। বরং বিজেপির সংগঠন যাতে আরও মজবুত করা যায়, তা নিয়েই পরিশ্রম করতে চাই। লক্ষ্য বিধানসভা নির্বাচন। তৃণমূলের সরকার ফেলে দেওয়া। ফলে এই মুহূর্তে সংগঠনের বাইরে অন্য কিছু ভাবছি না।’’

এদিকে মুকুলবাবু বিজেপিতে এসেই দাবি করেছিলেন যে তৃণমূল দলটাই থাকবে না। বড় বড় নেতারা আসবে বিজেপিতে। লোকসভা ভোটের আগে দেখা গেছে তাঁর হাত ধরে বড় বড় নেতারা যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে।