এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মাওবাদী দমনে মমতা সরকারের প্রসংসা করলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, অস্বস্তিতে বিজেপি

মাওবাদী দমনে মমতা সরকারের প্রসংসা করলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, অস্বস্তিতে বিজেপি

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসায় পঞ্চমুখ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। দুই দিনের সফরে কোলকাতায় এসে বৈঠক সূত্রে মাওবাদী দমনে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগকে অভিনন্দন জানালেন তিনি। ‘‌পশ্চিমবঙ্গ প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করছে। অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তায় যার গুরুত্ব খুব বেশি।’‌ এমনটাই বৈঠকের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানালেন তিনি। এছাড়া মাওবাদী প্রসঙ্গে নিজের অভিমত ব্যক্ত করতে গিয়ে রাজনাথ সিং জানান, পশ্চিমবঙ্গের সুরক্ষার প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর যোগানের আবেদন করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন,প্রয়োজনে আরো কেন্দ্রীয় বাহিনী দেওয়া হবে আগামীতে। তিনি আরো জানালেন,মাওবাদী কার্যকলাপ রুখতে সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে সরকারকে আরে বেশি করে পৌছাতে হবে। নিয়মিত সেসব এলাকায় জনসংযোগকে শক্তিশালী করতে হবে। সরকারি পরিষেবা যেমন ডাকবিভাগ,টেলি যোগাযোগ ব্যবস্থার উপর আরো গুরুত্ব দিতে হবে।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সম্পর্ক যে মধুর তা কারোর অজানা নয়। এর প্রমাণ আরো একবার দিয়ে গেলেন তিনি নিজের ট্যুইটার হ্যান্ডেলে। এদিনের বৈঠকের পর সেখানে হিন্দি হরফ নিজের নাম সরিয়ে সেটিকে বাংলা হরফ লিখেছেন রাজনাথ সিং। এদিন নবান্নে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ইস্টার্ন জোনাল কাউন্সিল’‌-‌এর ২৩তম বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পূর্বাঞ্চলের চার রাজ্যের প্রতিনিধি। ছিলেন বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদি, ওডিশার অর্থমন্ত্রী প্রদীপ কুমার আমাত এবং ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাস। পশ্চিমবঙ্গের তরফে ছিলেন মুখ্যসচিব মলয় দে, স্বরাষ্ট্রসচিব অত্রি ভট্টাচার্য, ওডিশার মুখ্যসচিব আদিত্যপ্রসাদ পাধি এবং ঝাড়খণ্ডের প্রধান সচিব সুনীল কুমার বানওয়াল। এছাড়া কেন্দ্র ও রাজ্যের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের শীর্ষ অফিসাররাও বৈঠকে হাজির ছিলেন।

রাজ্যের নিরাপত্তা বিষয় সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয় এদিনের বৈঠকে। প্রসঙ্গে তোলা হয় কেন্দ্রীয় বাহিনী,পুলিশের উন্নতিকরণ,বন্যা মোকাবিলা ও আর্থিক পরিকাঠামোর মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো। এসব ব্যাপারে কিছু উল্লেখযোগ্য সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। চূড়ান্ত করা হয় কলকাতা এবং হাজিপুরে ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ফার্মাসিউটিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ’ সংস্থার জমি বরাদ্দ করার বিষয়টি। পূর্ব ভারতে ‘সবুজ বিপ্লব’ ঘটানোর ব্যাপারে জোর দেওয়া হয়। আর্থসামাজিক উন্নয়নে রেল যোগাযোগে গুরুত্ব দেওয়ার পাশাপাশি রাস্তার উড়ালপুল নির্মান,সেতু, পণ্য পরিবহনের যোগাযোগ ব্যবস্থা কীভাবে উন্নতি সাধন করা যায় সেটা নিয়েও আলোচনা হয় এদিন। আলোচনার বিষয় ছিল বিহার ও পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে ১৯৭৮ সালের ফুলবাড়ি বাঁধ নিয়ে চুক্তিও।এদিন সাংবাদিকদের তরফ থেকে রোহিঙ্গা নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করলেন রোহিঙ্গা কেরলে চলে যাচ্ছেন তাই। এ ব্যাপারে রাজ্যগুলোকে সর্তক হওয়ার পরামর্শ দিলেন তিনি। বায়োমেট্রিক ছাপ নেওয়ার পাশাপাশি মায়ানমারের সঙ্গে কূটনৈতিক স্তরেও কথা হয়েছে কেন্দ্রের। এমনটাও জানান তিনি।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

বৈঠক শেষে ইন্টার স্টেট কাউন্সিল সেক্রেটারিয়েট’‌-‌এর সচিব আর বাহরিল জানান,কাউন্সিলকে আরো শক্তিশালী করার লক্ষ্য কেন্দ্র এবং রাজ্যের মধ্যে সমন্বয়ের সূত্রটিকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। তথ্য সরবরাহ করে আলোচনাকে আরো সঠিক করতে সাহায্য করেছেন কাউন্সিলের স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্যরা। আলোচনা হয়েছে বিহার ও পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তবর্তী সমস্যা নিয়ে,পুলিসের আধুনিকীকরণ, স্বাস্থ্য, তপশিলি-‌আদিবাসী-‌ওবিসিদের বৃত্তি থেকে খনির সমস্যা নিয়েও। তবে বেশিরভাগ সমস্যারই সমাধান সূত্র বার করা গিয়েছে। এছাড়া পশ্চিমবঙ্গের সবথেকে বড় ইস্যু ‘মাওবাদী সমস্যা’ মেটাতে কী পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে সেটাও বলেছেন সদস্যরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!