অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে এত চিন্তিত কেন? নাগরিকপঞ্জী ইস্যুতে বিরোধীদের তীব্র আক্রমন অমিত শাহের জাতীয় December 23, 2018 লোকসভা নির্বাচনের আগে এবছরের কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধীদের সব থেকে টাটকা ইস্যু হল, অসমের ৪০ লক্ষ নাগরিকের নাম নাগরিকপঞ্জি তালিকা থেকে বাদের ঘটনাটি। যে ঘটনায় প্রথম থেকেই বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন দেশের প্রায় সমস্ত বিরোধী দলগুলিই। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, চলতি বছরের শুরুতেই আসামের নাগরিকপঞ্জি নিয়ে প্রথম খসড়া প্রকাশ করেছিল বিজেপি পরিচালিত আসাম সরকার। পরবর্তী কালে, কিছুদিন আগেই সেখানকার চূড়ান্ত খসড়া প্রকাশিত হয়। যেখানে দেখা যায় যে অসমের ৪০ লক্ষ নাগরিকের নাম সেখানে নেই। আর এরই প্রতিবাদে কেন্দ্র ও অসমের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে প্রবল তোপ দাগতে দেখা যায় বিরোধী দলগুলোকে। শাসকদল বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি রাহুল গান্ধী সহ একাধিক রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - আর এহেন একটা পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে সেই নাগরিকপঞ্জী ইস্যুটিকে যে বেশ ভালোমতোই বিজেপির বিরুদ্ধে কাজে লাগাতে পারে বিরোধীরা – তা বুঝেই বিরোধীদের নাগরিকপঞ্জি নিয়ে প্রবল কটাক্ষ করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। সূত্রের খবর, এদিন অমিত শাহ বলেন, “অসমের ৪০ লাখ অনুপ্রবেশকারী চিহ্নিত হয়েছেন। আর তাদের হয়ে সংসদে রাহুল বাবা এবং তাঁর অনুগামীরা গলা ফাটাচ্ছেন। অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে এত চিন্তিত কেন”? এখানেই শেষ নয় – বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি আরও বলেন, “অনুপ্রবেশকারীদের ছোড়া বোমে দেশের সাধারণ মানুষ যে মরছে সেদিকে রাহুল গান্ধীর কোনো নজরই নেই”! রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, ২০১৯ এর লোকসভা ভোটে ‘এনআরসি’ বিরোধীদের কাছে মোদি বিরোধী অন্যতম ইস্যু হতে চলেছে। তাই, সেই ইস্যুটিকে যাতে বিজেপির কাছে ‘অস্বস্তির’ জায়গায় ‘ফায়দামান’ হয়, তাই এখন থেকেই তার স্বপক্ষে জোরালো সওয়াল শুরু করে দিলেন অমিত শাহ। তবে এনআরসি ইস্যু – বিজেপি না বিরোধী, ভোটবাক্সে কার দিকে ফায়দা তোলে – এখন সেদিকেই তাকিয়ে সকলে। আপনার মতামত জানান -