চুলের উপর সংবিধান, চালের উপরে ভগবত গীতার সমস্ত শ্লোক! বিশ্ববাসীকে চমকে দিলেন ভারতীয় ছাত্রী জাতীয় বিশেষ খবর October 22, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – শিল্প অনেক রকমের হয়। কিন্তু আসল কথা হল, সেটিকে মানুষের মনে দাগ কাটানো। বস্তুত, শিল্পটি যদি মানুষের মনে দাগ কাটে, তবে মানুষের সারা জীবনের কর্মব্যস্ততার মধ্যেও একটি শিল্প জায়গা করে নেয়। বস্তুত, মানুষের জীবন যে ছোট সেকথা নিশ্চয়ই সবাই মানবেন। আর এই ক্ষুদ্র জীবনে যদি কিছু মনে দাগ কাটে, তাহলে সেটিকে সর্বর্থেই শ্রেষ্ট বলতে হয়। তেমনই একটি শিল্প হল, মাইক্রো আর্ট। আর যিনি এই শিল্পটি করেন, তিনি মাইক্রো আর্টিস্ট। বস্তুত, মিনিয়েচার আর্টের মতই এটি। ছোট একটি বস্তুত ওপর শিল্প ফুটিয়ে তোলা। ফলে সেই শিল্পীর কদর যে কতখানি তা বলার প্রয়োজন রাখে না। আর এমনই একজন শিল্পীর কথা শুনলে চমকে যাবেন আপনিও। ছোট ছোট চালের দানা, আর তার মধ্যেই খোদাই করা ভগবত গীতার সমস্ত শ্লোক। শুনে অবাক হলেও এটাই সত্যি। আর যিনি এই অসাধ্যসাধন করেছেন, তিনি আর কেউ নয়, একজন ছাত্রী মাত্র। নাম রামাগিরি স্বারিকা। বাড়ি তেলেঙ্গানায়। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর এই কীর্তির কথা প্রকাশ্যে আসতেই, নেট জগৎ প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন সোশাল মিডিয়া। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - তবে কি করে করলেন এই অসাধ্যসাধন? জানা গিয়েছে, সম্পূর্ণ ভগবত গীতার শ্লোক লিখতে ৪ হাজার ৪২টি চালের দানা ব্যবহার করেছেন তিনি। আর এই পুরো কাজটি করতে সময় লেগেছে ১৫০ ঘণ্টা। এমনকী তিনি আতস কাঁচও ব্যবহার করেননি বলে জানা গেছে। তবে শুধু এটাই নয়, সম্প্রতি চুলের মধ্যে ভারতীয় সংবিধানের গোটা প্রস্তাবনা লিখে নজির গড়েছিলেন তিনি। এজন্য তেলেঙ্গানার রাজ্যপাল তাঁকে সংবর্ধনাও জানিয়েছিলেন বলে জানা যায়। সেই সঙ্গে তাঁকে তামিলসাই সৌন্দরাজন পুরস্কারও দেওয়া হয়েছিল বলে জানা গেছে। শুধু তাই নয়, তাঁকেই ভারতের প্রথম মাইক্রো আর্টিস্ট বলা হয় বলেও জানা গেছে। ২০১৭ সালে ইন্টারন্যাশনাল অর্ডার অব বুকস এবং ২০১৯ সালে নর্থ দিল্লি কালচারাল অ্যাকাডেমি থেকে পুরস্কারও জিতেছিলেন তিনি। এখনও পর্যন্ত দু’হাজারেরও বেশি মাইক্রো আর্টওয়ার্ক তৈরি করেছেন বলে জানা গেছে। সম্প্রতি, এই প্রসঙ্গে সংবাদসংস্থাকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, এটি তাঁর সর্বশেষ কাজ। ছোট থেকেই শিল্প এবং সংগীতের প্রতি তাঁর বিশেষ আকর্ষণ ছিল। এজন্য বহু পুরস্কারও পেয়েছেন। চার বছর আগে থেকে তিনি এই মাইক্রো আর্ট তৈরি করছেন। এর আগে একটি চালের দানায় গনেশের ছবি বা একটি দানাতেই ২৬টি ইংরেজি অক্ষর লিখে নজির গড়েছিলেন তিনি। তবে এবার জাতীয় স্তরে স্বীকৃতি পাওয়ার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক স্তরেও সুনাম অর্জন করাই যে তাঁর লক্ষ সেটাই জানিয়েছেন তিনি। আপনার মতামত জানান -