এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > আদালতের নির্দেশে করোনা কালে আরও কঠিন পুজোর আয়োজন! নিয়ম মেনে তাল মেলাতে হিমশিম পুজো কমিটিগুলো

আদালতের নির্দেশে করোনা কালে আরও কঠিন পুজোর আয়োজন! নিয়ম মেনে তাল মেলাতে হিমশিম পুজো কমিটিগুলো


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – এ বছরের দুর্গোৎসব পালন নিয়ে সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্ট বিশেষ রায় ঘোষণা করেছে। কলকাতা হাইকোর্টের পক্ষ থেকে এবছর পুজো মণ্ডপ গুলিকে নির্দিষ্ট দূরত্বে রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে, সেই সঙ্গে মণ্ডপের বাইরে নো-এন্ট্রি বোর্ড, মণ্ডপ দর্শকশুন্য রাখতে বলা হয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করেই মালদহ, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন পুজোর উদ্যোক্তারা গতকাল মঙ্গলবার মণ্ডপের সামনের দূরত্ব মাপা থেকে শুরু করে সমস্ত ব্যবহার আয়োজন করতে ব্যস্ত ছিলেন। আদালতের নির্দেশ সম্পূর্ণভাবে মেনেই দর্শনার্থীদের প্রতিমা দর্শনের ব্যবস্থা করে দিতে সচেষ্ট হলেন বিভিন্ন জেলার বড় বড় পুজোর উদ্যোক্তারা।

মালদহ জেলাতে ইংলিশ বাজার, পুরাতন মালদহ শহরের বেশ কিছু পুজো মণ্ডপ রাস্তার ধারে করা হয়। সে ক্ষেত্রে কিভাবে তাঁরা দূরত্ব বজায় রাখবেন তা নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন ক্লাবের উদ্যোক্তারা। ইংলিশবাজার শহরের শান্তি ভারতী পরিষদের পুজো কমিটির সম্পাদক শক্তি দেব জানালেন যে, হাইকোর্টের নির্দেশ পাওয়ার পরই তারা এ বিষয়ে মাপজোক শুরু করে দিয়েছেন। তাতে দেখা যাচ্ছে তাদের খুব একটা সমস্যা হবে না। তাছাড়া শহরের ৪২০ মোড় থেকে নির্দিষ্ট দূরত্ব অনুযায়ী গোল গোল দাগ কেটে দিয়েছেন তারা।

এই শহরের বালুচর কল্যাণ সমিতির সম্পাদক অমিতাভ শেঠ জানালেন যে, তাদের মন্ডপ থেকে রাস্তার দূরত্ব প্রায় ২০০ মিটার। তাই তাঁদের কোন সমস্যা হচ্ছে না। এছাড়াও তিনি জানালেন যে, দর্শনার্থীদের সুবিধার জন্য তাঁরা দুটি এলইডি টিভি বসাতে চলেছেন। যেখান থেকে মণ্ডপ ও পূজার লাইভ সম্প্রচার দেখতে পাবেন দর্শনার্থীরা।

আবার পুরাতন মালদহ শহরের মঙ্গলবাড়ির শঙ্কর স্মৃতি সঙ্ঘের অন্যতম কর্মকর্তা হারাধন সাহা জানালেন যে, তাদের পুজো মণ্ডপ থেকে রাস্তার দূরত্ব প্রায় ১৫ ফুট। তাই তারা সমস্যায় পড়েছেন। এ কারণে প্রতিমা যেখানে থাকবে সেখানে থেকে ১০ মিটার দূরত্ব বজায় রাখার ব্যবস্থা করেছেন তাঁরা। গতকাল মঙ্গলবার মালদহের পুলিস সুপার অলোক রাজোরিয়া পূজার উদ্যোক্তাদের উদ্দেশ্যে জানিয়েছেন যে, করোনা সংক্রান্ত সরকারি নির্দেশ না মানলে আগামীতে তাদের আর পূজার অনুমোদন দেয়া হবে না।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাতেও হাইকোর্টের নির্দেশ যথাযথভাবে মান্য করে পুজোর আয়োজনে সামিল হয়েছেন ক্লাবের কর্মকর্তারা। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাটের উত্তমাশা ক্লাব এবছর করোনা হাসপাতালে আদলে তাদের পুজো মণ্ডপ তৈরি করেছে। কিন্তু হাইকোর্টের নির্দেশ পাওয়ার পর মন্ডপে দর্শক প্রবেশ করতে পারবে কিনা তা নিয়ে সংশয়ে ক্লাবের কর্মকর্তারা। ক্লাব কর্তৃপক্ষ হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে চলবে বলে জানান হয়েছে। এই ক্লাবের সভাপতি রঞ্জিত সাহা জানালেন যে, মণ্ডপের ভেতরে একটা বড় মাঠ আছে। সেখানে সেনিটাইজেশন ও অন্যান্য স্বাস্থ্য বিধি মেনেই দর্শনার্থীদের ঢুকতে দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু হাইকোর্টের নির্দেশ পাওয়ার পর তারা সে সমস্ত কিছু বন্ধ করে রেখেছেন।

আবার এই শহরের কচি কলা একাডেমির সম্পাদক দিবাকর ভট্টাচার্য জানালেন, তাদের মন্ডপের ১০ মিটার দূর থেকে থেকেই তারা বাঁশ দিয়ে আটকে দেবেন। বালুরঘাট অভিযাত্রী ক্লাব এর সম্পাদক সুমিত চক্রবর্তী জানালেন যে, মাঠের মাঝখানে উন্মুক্তভাবে তাদের মণ্ডপ তৈরি করা হয়েছে। তাই কোন দর্শক ভেতরে না এসেই রাস্তা থেকে ১০ মিটার দূর থেকেই ঠাকুর দেখতে পাবেন। তবে, দক্ষিণ দিনাজপুরের অতিরিক্ত জেলাশাসক প্রণবকুমার ঘোষ জানিয়েছেন, তাদের কাছে এখনো পুজোর আয়োজনের বিষয়ে কোন নির্দেশিকা এসে পৌঁছায়নি।

অন্যদিকে, উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ, কালিয়াগঞ্জ এর বেশ কিছু পুজো উদ্যোক্তা এখনও অপেক্ষায় আছেন প্রশাসনের নির্দেশের। রায়গঞ্জের বিপ্লবী ক্লাবের পূজোর অন্যতম উদ্যোক্তা তনয় দাস জানালেন যে, প্রশাসনের নির্দেশ তাঁরা এখনও পাননি। তবে তারা ইতিমধ্যেই ব্যারিকেডের ব্যবস্থা করেছেন। আবার কালিয়াগঞ্জের শেঠ কলোনি সার্বজনীন দুর্গোৎসবের উদ্যোক্তা কার্তিক পাল জানালেন যে, তারা খোলা মণ্ডপের ব্যবস্থা করেছেন। দূরত্ব বজায় রেখেই ঠাকুর দেখা যাবে। তবে প্রশাসন এখনো এ বিষয়ে তাদের কিছু জানায় নি। করোনার কারণে চাঁদা কম এলেও ইসলামপুর ও ডালখোলার বেশকিছু পুজো উদ্যোক্তা দর্শনার্থীদের মন জয় করতে বিশেষভাবে সচেষ্ট।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!