এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > তৃনমূল, বিজেপিকে রুখতে অবিলম্বে বাম-কংগ্রেসের জোট হওয়া উচিত বলে জানিয়ে দিলেন এই কংগ্রেস নেতা

তৃনমূল, বিজেপিকে রুখতে অবিলম্বে বাম-কংগ্রেসের জোট হওয়া উচিত বলে জানিয়ে দিলেন এই কংগ্রেস নেতা

গত 2016 বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলকে ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দু থেকে সরাতে হাত ধরে ছিলেন তৎকালীন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী এবং সিপিএমের সূর্যকান্ত মিশ্র। তবে সেইভাবে ভোটের ফলাফলে সাফল্য মেলেনি তাদের। কিন্তু রাজনীতিতে সামরিক বলে কিছু নেই। সবই সময়ের ব্যাপার। অত্যন্ত ধৈর্যের সহকারে সমস্ত কিছুকে অক্ষত রাখতে হয়।

তবে এইখানেই মস্ত বড় ভুল করে গিয়েছিল সেই বাম এবং কংগ্রেস। 16 সালের বিধানসভা নির্বাচনের পর সাফল্য না পাওয়ায় সেইভাবে আর একসাথে থাকতে দেখা যায়নি আলিমুদ্দিন স্ট্রিট এবং বিধান ভবনের নেতাদের। যার জেরে সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনের আগে জোট সমীকরণে যাওয়ার জন্য বাম এবং কংগ্রেস নেতারা তৃণমূলে এবং বিজেপিকে রুখতে জোট করার চেষ্টা করলেও তা সম্ভব হয়নি। ফলে যা হওয়ার তাই হয়েছে। সারা রাজ্যের 42 টি লোকসভা আসনের মধ্যে কংগ্রেস নিজেদের দখলে দুটি রাখলেও বামেদের খাতা শূণ্য হয়ে গিয়েছে।

কিন্তু এইরকম ভাবে চলতে থাকলে তাদের যে বিদায়বেলা আসন্ন, তা বুঝতে পেরেছেন বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রের কংগ্রেস সাংসদ তথা সংসদের কংগ্রেসের দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী। আর তাইতো অবিলম্বে বাম এবং কংগ্রেস দুই পক্ষ যাতে এক হয়, এবার তার পক্ষে সওয়াল করতে দেখা গেল তাকে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, শনিবার বাম জমানার প্রয়াত প্রাক্তন মন্ত্রী সুভাষ চক্রবর্তীর স্মরণ অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়েছিল ব্যারাকপুর সুকান্ত সদনে। আর সেখানেই উপস্থিত হতে দেখা যায় লোকসভায় কংগ্রেসের নেতা অধীর চৌধুরীকে।বস্তুত, বাংলায় এই প্রথম কংগ্রেসের কোনো বড় নেতা বামেদের কোনো নেতার স্মরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হলেন। আর এই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে উঠে বাম-কংগ্রেস জোটের পক্ষে সওয়াল করতে গিয়ে অধীর চৌধুরী বলেন, “অসহিষ্ণুতার বর্বরতা আর কতদিন! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন দুর্বল হয়েছেন। তাই সুর বদলে সকলকে এক হতে বলছেন। সংসদে আমাদের সদস্য সংখ্যা কমেছে। কিন্তু সুর বদলায়নি। আমরা বারবার বলছি, তৃণমূল আর বিজেপি দুটোই বিপদের।”

আর এরপরই জোটের রাস্তায় গিয়ে আলোচনায় অত বেশি সময় নেই বলে পরোক্ষে বামেদের উদ্দেশ্যে কংগ্রেসের এই নেতা বলেন, “বামেদের সঙ্গে কোনো জিনিস ঠিক করতে গেলে পাঁচবার আলোচনা করতে হয়। এখন এত সময় নেই। সেমিনার, বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে সরাসরি রাস্তায় গিয়ে সোজা কথা মানুষকে সোজা ভাবে বলতে পারব। তাহলেই আমরা এগোতে পারব। অবিলম্বে দুই পক্ষ যদি এক না হয়, তাহলে কংগ্রেসও থাকবে না, সিপিএমও থাকবে না।”

এদিকে এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে তৃণমূল এবং বিজেপিকে একইভাবে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে পশ্চিমবাংলায় বিগত পঞ্চায়েত ভোটে তৃনমূল যেভাবে অধিকাংশ আসন দখল করেছে, ঠিক একইভাবে ত্রিপুরায় বিজেপিও সেই রাস্তাতে গিয়েছে বলে জানিয়ে দেন সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম। তবে বিগত বাম সরকারের প্রয়াত প্রাক্তন মন্ত্রী সুভাষ চক্রবর্তীর স্মরণ অনুষ্ঠানে এসে কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরীর কথাকে তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবেই মনে করছে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।

কেননা বর্তমানে সত্যিই বঙ্গ রাজনীতিতে বাম এবং কংগ্রেসের অত্যন্ত করুণ দশা। তাই সেদিক থেকে যদি বিজেপিকে সরিয়ে বিরোধীদলের জায়গা নিয়ে ভবিষ্যতে শাসকদলের জায়গা থেকে তৃণমূলকে সরাতে হয়, তাহলে অবিলম্বে যে এই বাম এবং কংগ্রেসের হাতে হাত ধরে লড়া প্রয়োজন, তার পক্ষেই আরও একবার সফল করতে দেখা গেল অধীর চৌধুরীকে। তবে অধীরবাবুর বক্তব্যে এখন আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের নেতারা ঠিক কি বলেন, সে দিকেই তাকিয়ে সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!