এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > বঙ্গে ১০০ দিনের কাজ নিয়ে নয়া সিদ্ধান্ত, জেনে নিন

বঙ্গে ১০০ দিনের কাজ নিয়ে নয়া সিদ্ধান্ত, জেনে নিন


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – পশ্চিমবঙ্গের যে কটি রাজ্য সরকারি প্রকল্প সফলতার দোরগোড়ায় পৌঁছাতে পেরেছে তার মধ্যে অবশ্যই একটি হল ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প। চলতি আর্থিক বছরের প্রথম পাঁচ মাসের মধ্যে এই প্রকল্প তার বার্ষিক লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করতে চলেছে। এমনিভাবে, যদি এর সাফল্য অব্যাহত থাকে, তবে চলতি অর্থবর্ষে রাজ্যে এই প্রকল্পর মূল লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি কর্মদিবস তৈরি হবে বলে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। আবার এই অতিরিক্ত কর্মদিবস তৈরির বিষয়ে পর্যাপ্ত অর্থের যোগান নিয়ে প্রথমদিকে রাজ্য সরকারের কিছুটা আশঙ্কা থাকলেও পরবর্তীতে সময়ে কেন্দ্রীয় সরকার এ বিষয়ে যথেষ্ট দরাজ হয়ে রাজ্যের দুশ্চিন্তা লাঘব করেছে।

প্রসঙ্গত, গত মার্চ মাসের শেষদিকে দেশজুড়ে সম্পূর্ণ লকডাউন ঘোষণার সময় বহু পরিযায়ী শ্রমিক নিজেদের কাজ হারিয়ে বিভিন্ন রাজ্য থেকে ফিরে আসেন পশ্চিমবঙ্গে। কাজ হারিয়ে বাড়ি ফিরে আসা শ্রমিকদের বিকল্প জীবিকার সন্ধান করে দিতে রাজ্য সরকার বিশেষ গুরুত্বারোপ করে ১০০ দিনের কাজের উপরে। ১০০ দিনের কাজের পরিধি বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য সরকার।

তবে, রাজনৈতিক গবেষকদের মতে আগামী ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে রাজ্যকে যেমন ১০০ দিনের কাজের পরিধি বৃদ্ধির প্রয়োজন ছিল, তেমনি এ বিষয়ে কেন্দ্রকেও দরাজ হবার প্রয়োজন ছিল। সম্প্রতি করোনা সংক্রমনের মধ্যেও কেন্দ্রীয় সরকার গরিব কল্যাণ প্রকল্পে ৫০ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করবে বলে জানানো হয়েছে। কিন্তু এরর পরেও ১০০ দিনের কাজের কর্মদিবস বৃদ্ধির জন্য অতিরিক্ত অর্থ কেন্দ্রীয় সরকার মঞ্জুর করবে কিনা তা নিয়ে রাজ্য প্রশাসনের অন্তরের যথেষ্ট আশঙ্কা ছিল। তবে পঞ্চায়েত দফতরের কর্তারা এ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন যে, আগামী দিনে আরও কয়েক হাজার কোটি টাকা এই খাতে কেন্দ্র মঞ্জুর করবে বলে আশাবাদী রাজ্য।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

১০০ দিনের কাজের কর্মদিবস বৃদ্ধি সম্পর্কে পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন যে, এই প্রকল্পের অর্থের সমস্যা সম্প্রতি আর নেই। পূর্বে এই প্রকল্পের লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করে গেলে অতিরিক্ত অর্থ মঞ্জুর করতে পূর্বে কেন্দ্রের কিছুটা কেন্দ্র কিছুটা দ্বিধা ছিল। কিন্তু সম্প্রতি এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় অর্থ মঞ্জুর করেছে কেন্দ্র। এ প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, ” তাই কাজ এগিয়ে নিয়ে যেতে অসুবিধা হবে না। লকডাউনে বহু মানুষের জন্য কাজের ব্যবস্থা করতে হয়েছিল। এখনও করতে হবে। তাই এখন আর লক্ষ্যমাত্রা বলে কিছু নেই। তার থেকে অনেক বেশি কর্মদিবস আমরা বিনা ঝঞ্ঝাটে তৈরি করতে পারব,”

প্রসঙ্গত, রাজ্য পঞ্চায়েত দপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, চলতি বছর ২২ কোটি কর্মদিবস তৈরীর লক্ষ্যমাত্রা রেখেছে রাজ্য সরকার। এই প্রকল্পের জন্য কেন্দ্র ইতিপূর্বে ৩৮০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিল। গত এপ্রিল মাসে এই প্রকল্পে ১ কোটি ২৪ লক্ষ কর্মদিবস রাজ্য তৈরি করতে পেরেছিল। তার পরের মাসে যা ৬ কোটিতে পৌঁছায়। চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে রাজ্যে ২০.১২ কোটি কর্মদিবস তৈরি হয়েছে। এই কর্মদিবসে রাজ্যের মোট ৮৪ কোটি ৪৬ লক্ষ মানুষ কাজ করেছেন।

অন্যদিকে, গত ২০১৮ সালে মোট ১৩.০২ কোটি কর্মদিবস তৈরি হয়েছিল রাজ্যে। তার তুলনায় এবছর কর্মদিবস দ্বিগুন হয়েছে। আবার গত ২০১৯ সালে কর্মদিবস ছিল ৬.১২ কোটি। যার তিনগুণ বৃদ্ধি ঘটেছে এ বছর। চলতি আর্থিক বছরের শেষের দিকে অন্যান্য বছরের তুলনায় বহুগুণ বৃদ্ধি পাবে কর্মদিবসের সংখ্যা। আর এর ফলেই অধিক অর্থের প্রয়োজন পড়বে। কয়েক হাজার কোটি টাকা এর জন্য প্রয়োজন হতে পারে। এই অধিক অর্থদানে সম্মত কেন্দ্র। এমনটাই প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!