এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > অমর্ত্য সেনের বাড়ি বিতর্কে পথে নামলেন বুদ্ধিজীবীরা! অস্বস্তি বাড়ল বিজেপির!

অমর্ত্য সেনের বাড়ি বিতর্কে পথে নামলেন বুদ্ধিজীবীরা! অস্বস্তি বাড়ল বিজেপির!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিগত বাম সরকারের আমলে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে সিঙ্গুর থেকে শুরু করে নন্দীগ্রাম, বিভিন্ন আন্দোলনে পথে নামতে দেখা গিয়েছিল বাংলার বিশিষ্টজনেদের। আর বাংলার বুদ্ধিজীবীরা সেই সময় তৎকালীন বাম সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ আন্দোলনে রাস্তায় নামায় অস্বস্তি বেড়েছিল বামপন্থীদের। যার ফলস্বরূপ 2011 সালে অন্যান্য কারণের মত এই বুদ্ধিজীবীদের রাস্তায় নামাকে ইস্যু করে ক্ষমতার পথ প্রশস্ত করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস।

আর এবার অমর্ত্য সেনের বাড়ি বিতর্কে তার পাশে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদে রাস্তায় নামতে দেখা গেল বুদ্ধিজীবীদের। সূত্রের খবর, রবিবার বিকেলে অ্যাকাডেমি চত্বরে এক প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়। যেখানে উপস্থিত ছিলেন জয় গোস্বামী, সুবোধ সরকার, শুভাপ্রসন্ন, কবীর সুমন সহ বাংলার প্রথিতযশা ব্যক্তিত্বরা। যেখানে সকলেই অমর্ত্য সেনের অপমানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে শুরু করেন।

স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেস যে বাড়তি মাইলেজ পেল এবং বিজেপি যে অনেকটাই চাপে পড়ে গেল, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সম্প্রতি বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে অমর্ত্য সেনের শান্তিনিকেতনের বাড়ির সীমানায় বিশ্বভারতীর জমি ঢুকে গিয়েছে বলে একটি অভিযোগ করা হয়। যার ফলে রাজ্য সরকারের কাছে একটি চিঠি দেয় বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

আর এর পরেই গোটা ব্যাপারটি তীব্র প্রতিবাদ জানাতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এমনকি এই গোটা বিষয়ে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সহমত পোষণ করতে দেখা যায়নি নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনকে। আর এরপরই অমর্ত্য সেনের প্রতি অপমান হচ্ছে এই প্রতিবাদ জানাতে রাস্তায় নেমে পড়েন বুদ্ধিজীবীরা। যা নিয়ে এবার বিজেপির অস্বস্তি অনেকটাই বৃদ্ধি পেল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

এদিন এই প্রসঙ্গে এই প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত হয়ে কবি সুবোধ সরকার বলেন, “অমর্ত্য সেনকে যে এভাবে অপমান করা যায়, সেটা ভাবাই যায় না। তিনি বিশ্বভারতীর জমি দখল করেছেন বলে যে অপবাদ তাকে দেওয়া হচ্ছে, তার প্রতিবাদে আমরা জড়ো হয়েছি।” অন্যদিকে এই ব্যাপারে কবি জয় গোস্বামী বলেন, “অমর্ত্য সেনের সঙ্গে যা করা হয়েছে, তা কেন্দ্রীয় সরকারের স্বৈরাচারী ও স্বেচ্ছাচারিতার পরিচয়। তার বিরুদ্ধে বিশ্বভারতী ও কেন্দ্রীয় সরকার যে পদক্ষেপ করেছে, আমি তার সর্বাঙ্গীন বিরোধিতা করি এবং ধিক্কার জানাই।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে এই ব্যাপারে শিল্পী শুভাপ্রসন্ন বলেন, “অমর্ত্য সেনের অপমান মানে সমগ্র বাঙালি জাতির অপমান।” একইভাবে অমর্ত্যবাবু বরাবর প্রতিষ্ঠানবিরোধী। ফলে তার উপর বিজেপি রাগ হওয়া স্বাভাবিক বলে জানিয়ে দিয়েছেন সংগীতশিল্পী কবীর সুমন। অন্যদিকে এই গোটা বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন বিশিষ্ট নাট্যকার তথা রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু।

এদিন তিনি বলেন, “বিজেপি বরাবর বুদ্ধিজীবীদের শত্রু বলে মনে করে। কারো রাজনীতির বিরোধিতা করা মানেই তার ভিটেমাটি চাটি দিতে হবে! অমর্ত্য সেনের পাশে দাঁড়ানোর যে বার্তা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিয়েছেন, এখানে প্রতিবাদ জানিয়ে আমরা তাকে মান্যতা দিলাম।” বিশ্লেষকরা বলছেন, বুদ্ধিজীবীদের এইভাবে পথে নামা আদতে বিজেপির অস্বস্তি বাড়িয়ে দেওয়া। অমর্ত্য সেনের পাশে দাঁড়িয়ে গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে সকল বুদ্ধিজীবীরা সরব হলেন বলেই দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা ।

যার ফলে আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদের অপমানকে সামনে রেখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাইলেজ যেমন বাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেন বাংলার বিশিষ্টজনেরা, ঠিক তেমনই বিজেপিকে অনেকটাই ব্যাকফুটে ফেলে দিলেন তারা বলে দাবি করছেন পর্যবেক্ষকরা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!