ববিকে ঘিরে উত্তাল গেরুয়া শিবিরের অন্দরমহল, উঠল লোকসভার প্রার্থীপদ বিক্রির “বিস্ফোরক” অভিযোগ রাজ্য November 16, 2018 আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বাংলাই এখন পাখির চোখ বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বের। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের তরফে রাজ্যের 42 টি আসনের মধ্যে 22 টি আসন দখলের জন্য রাজ্য নেতৃত্বকে একটি টার্গেট বেঁধে দিয়েছেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। কিন্তু কেন্দ্রের তরফে এহেন লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিলেও এবার রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় জেলায় গেরুয়া শিবিরের নেতাদের মধ্যেই প্রবল গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ঘটনা নিয়ে সরগরম রাজ্য বিজেপির অন্দরমহল। কলকাতার একটি বাংলা ওয়েব পোর্টালের খবর অনুযায়ী, এবার খোদ দক্ষিণ 24 পরগনা জেলা সাংগঠনিক পশ্চিম ভাগের সভাপতি অভিজিৎ দাস ওরফে ববির বিরুদ্ধেই সেই গেরুয়া শরীরের একাংশ নেতাকর্মী অভিযোগ তুললেন যে, শাসকদল তৃণমূলের কাছে নিজেদের দলীয় টিকিট বিক্রি করার। এমনকি অগণতান্ত্রিকভাবে সেই অভিজিৎ দাস ওরফে ববি নিজের মতো করে দল চালাচ্ছেন বলেও অভিযোগ করছেন বিজেপি স্থানীয় নেতারা। ওই পোর্টালের খবর অনুযায়ী,এই নিয়ে নাকি রীতিমতো বিভিন্ন দলীয় পদাধিকারীদের হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ করে দলের নেতাদের বিভিন্ন কমিটির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ। ওই পোর্টালের খবর থেকে আরো জানা যাচ্ছে যে,এদিন এ প্রসঙ্গে বিজেপির নামখানা এলাকার গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরোধী দলনেতা তথা দক্ষিন 24 পরগনা জেলার পশ্চিম ভাগের সহ-সভাপতি অরুন জানা বলেছেন, “অগণতান্ত্রিক ভাবে এইভাবে কাউকে তার পদ থেকে সরানো যায় না।” ওই পোর্টালের আরও দাবি, শুধু অরুণ বাবুই নয়, জেলা বিজেপির অভিজিৎ দাস ওরফে ববির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন সহ-সভাপতি বিজেন হালদার, পান্নালাল হালদার, আলোশিখা খামারু, অশোক বর্মন, জয়ন্ত মাঝি, সাধারণ সম্পাদক জহরলাল মন্ডল, কিষান মোর্চার গৌতম লস্কর, সিদ্ধার্থ বসু সহ অন্যান্যরা। ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে সেই ববির বিরুদ্ধে রাজ্যের কাছে একটি নালিশও জানিয়েছেন জেলার নেতারা। এদিকে জেলায় বিজেপির এহেন গোষ্ঠী কোন্দলের মাঝেই মথুরাপুর লোকসভা কেন্দ্রে রানী রাসমনির বংশধর শ্যামলী দাসকেই প্রার্থী করা হবে বলে জল্পনা তৈরি হয়েছে সর্বত্র। আরো জানা যাচ্ছে যে, বিজেপিতে এই অভিজিৎ দাসের বিরোধী গোষ্ঠী বলে পরিচিত রানী রাসমনির নাত বৌ শ্যামলী দাস। আর তাই দলের অন্যান্যরা শ্যামলী দাসকে মথুরাপুর কেন্দ্রে লোকসভা প্রার্থী হিসেবে চাইলেও অভিজিৎ দাস তার বিরোধিতা করছেন বলে মত দলেরই একা়ংশের। আর এখানেই বিজেপির অরুণ কুমার জানা অভিযোগ করছেন যে, “জেলা বিজেপির সভাপতি এই আসনটি দিলীপ জাটুয়ার আর কাছে টাকার বিনিময়ে বিক্রি করতে চাইছেন।” ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে এদিন এই প্রসঙ্গে সেই শ্যামলী দাস জানান, “মানুষ তাকে চাইছেন, তাই সেই দাবিকে সকলকে মানতা দিতে হবে।” রাজনৈতিক মহলের মতে, ক্ষমতায় আসার আগেই যে ভাবে নেতায় নেতায় গন্ডগোলে ভাঙন ধরতে শুরু করে দিয়েছে বিজেপি,তে তাতে কতটা ভবিষ্যতে এ রাজ্যের জোয়ার আনতে পারবে পদ্ম শিবির সে নিয়ে একটা সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে। যদিও এই খবরের সত্যতা বা সূত্র সম্পর্কে ওই ওয়েব পোর্টালে কিছু লেখা নেই, প্রিয়বন্ধু বাংলার তরফেও এই খবরের সত্যতা যাচাই করে দেখা সম্ভব হয় নি। এই প্রবন্ধ সম্পূর্ণরূপে ওই পোর্টালে প্রকাশিত খবরের পরিপ্রেক্ষিতে করা, কোনোভাবেই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নয় বা কোনো ব্যক্তি বা দলের সম্মানহানির উদ্দেশ্যে রচিত নয়। আপনার মতামত জানান -