এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > পুলিশের সাহায্যে ভয় দেখিয়ে বিজেপি ভাঙাচ্ছেন ছত্রধর অভিযোগ এবার পাল্টা দেবে গেরুয়া শিবির?

পুলিশের সাহায্যে ভয় দেখিয়ে বিজেপি ভাঙাচ্ছেন ছত্রধর অভিযোগ এবার পাল্টা দেবে গেরুয়া শিবির?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট: দীর্ঘ কারাবাসের পর জেল থেকে মুক্তি পেয়ে জঙ্গলমহলের মাটিতে পা রেখেছিলেন ছত্রধর মাহাতো। একসময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ হলেও তিনি আকাশের আলো দেখার পর কি সিদ্ধান্ত নেবেন, তা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছিল। তবে এর কিছুদিন পরেই অবস্থা সমস্ত ব্যাপারটা স্পষ্ট হয়ে যায়। জঙ্গলমহলে সংগঠনকে চাঙ্গা করার জন্য ছত্রধরকে রাজ্য কমিটিতে নিয়ে আসে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। আর তারপরেই জঙ্গলমহলে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল ভালো ফলাফল করতে পারে তার জন্য বিরোধী দল ভাঙ্গানোর কাজ শুরু করে দেন এই ছত্রধর মাহাতো।

আর এবার তৃণমূলের এই নেতাকে আক্রমণ করতে পাল্টা ময়দানে নেমে পড়ল ভারতীয় জনতা পার্টি। বিজেপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে যে, পুলিশের সাহায্য নিয়ে ছত্রধর মাহাতো বিজেপি ভাঙ্গানোর কাজ করছেন। স্বাভাবিক ভাবেই গোটা ঘটনায় আবার নতুন করে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে।সূত্রের খবর, রবিবার ঝাড়গাম জেলা বিজেপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়।

যেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য বিজেপি নেতা মুকুল রায় সহ জেলা বিজেপি নেতৃত্বরা। আর সেখানেই যেভাবে ছত্রধর মাহাতো এখন তৃণমূলের হয়ে কাজ করতে শুরু করেছেন, তাতে তার রণকৌশল নিয়ে প্রশ্ন তুলে দেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়। সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, “ছত্রধরকে জেল থেকে ছাড়িয়ে এনেছেন মমতা। পুলিশের খাতায় অপরাধী ছত্রধরকে এখন পুলিশের নিরাপত্তা নিয়ে এলাকায় সন্ত্রাস করে ভয় দেখিয়ে বিজেপির লোকজনকে তৃণমূলে যোগ দিতে বাধ্য করছেন। আমরা সর্বভারতীয় দল। কোনো প্রদেশের দল নেই। ফলে আমাদের দমানো যাবে না। ভয় দেখিয়ে বিজেপির লোকজনকে তৃণমূলে যোগ দেওয়াচ্ছেন। এটা তো দাদাগিরি।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

যদিও বা কৈলাস বিজয়বর্গীয়র এই বক্তব্যকে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূল সভাপতি দুলাল মূর্মু বলেন, “ছত্রধর তৃণমূলে যোগদান করায় বিজেপি ও বামেরা দিশাহারা হয়ে এখন পাগলের প্রলাপ বকছেন।” অন্যদিকে যাকে নিয়ে এত কিছু, সেই ছত্রধর মাহাতো বলেন, “বাম ও বিজেপি গাঁটছড়া বেঁধে কুৎসা শুরু করেছে। বাম আমলে আমি মানুষের দাবি নিয়ে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছি। এখন তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক হিসেবে এলাকায় শান্তি ও উন্নয়নের ধারা বজায় রাখবার জন্য কাজ করছি।”

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধু ছত্রধর মাহাতো নয়, বিভিন্ন জায়গায় বিজেপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে যে, পুলিশের সাহায্য নিয়ে তৃণমূল বিরোধী দল ভাঙার চক্রান্ত করছে। এক্ষেত্রে ছত্রধর মাহাতোর বিরুদ্ধে যেমন বিগত বাম আমলে নানা কার্যকলাপের অভিযোগ উঠতে শুরু করেছিল, সেদিক থেকে সেই ছত্রধর মাহাতোকে আরো বেশি আক্রমণ করা এখন সহজ হয়ে গিয়েছে বিরোধীদের পক্ষে।

আর তাই দায়িত্ব পেয়ে যখন ছত্রধর মাহাতো জঙ্গলমহলে বিরোধীদল ভাঙতে শুরু করেছেন, তখন তার বিরুদ্ধে সরব হয়ে বাম এবং বিজেপির পক্ষ থেকে তৃণমূলকে কোণঠাসা করার প্রক্রিয়া নেওয়া হল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, বিরোধীদের এত কটাক্ষ সত্বেও ছত্রধর মাহাতো তার কার্যকলাপ চালিয়ে যান, নাকি অন্য কোনো পন্থা অবলম্বন করেন, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!