সাবধান হন এখনই, অনলাইনে জিনিস কিনতে গিয়ে বড়সড় প্রতারণা চক্রের পাল্লায় পড়ে বিশাল অংকের টাকা খোয়া গেলো উত্তরবঙ্গ রাজ্য August 26, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – ডিজিটাল লেনদেন এখনকার জেনারেশনের কাছে জলভাত। আর করোনা পরিস্থিতিতে তো এটা ছাড়া মানুষ ভাবতেই পারে না। উল্টে বাড়ির বয়স্ক মানুষদের এই বিষয়ে অভ্যস্ত করতে আমরা উঠে পড়ে লাগি। ব্যাপারটা যে খুব একটা খারাপ তা কিন্তু বলা যাবে না। কারণ নতুন টেকনোলজি মানেই সেটা দৈনন্দিন জীবনে কাজের সহায়তার একটি মাধ্যম। তাই বাজার দোকান গিয়ে বা বারবার ব্যাংকে লাইন না দিয়ে বাড়ি বসে করাটা অনেক সুবিধের। সেই সঙ্গে বর্তমান পরিস্থিতি যা বলছে, তাতে বাড়ি বসে যা হয় তাই করা ভালো। কিন্তু একটা কথা আমরা হয়তো ভুলে যাই যে সব কিছুর যেমন একটা ভালো দিক আছে, একটা খারাপ দিকও কিন্তু আছে। সেক্ষেত্রে দুটোকে বিচার করেই কিন্তু কাজ করলে ফল মেলে। যেমন এই অনলাইন টাকা লেনদেন করতে গেলে হতে হয় অনেকখানি সচেতন। সরল বিশ্বাসের দুনিয়া কিন্তু আর নেই। তাই না বুঝে কিছু করলে তার ফল ভোগ করতে হবে আপনাকেই। ঠিক যেভাবে সম্প্রতি অনলাইনে জিনিস কিনতে গিয়ে ঠকে যাওয়ার একটি খবর পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে আসানসোলে। কুলটির যুবক সজল চট্টোপাধ্যায় অন্যের গাড়ি ভাড়ায় চালান। এখন নিজে গাড়ি কিনে চালাবেন বলে অনলাইনে গাড়ির অ্যাড দেখছিলেন। একটি জনপ্রিয় অনলাইন কেনা বেচার অ্যাপ OLX-এ দেওয়া বিজ্ঞাপনে তিনি দেখেন, আসানসোলেরই রেজিস্ট্রেশন নম্বর দেওয়া একটি অল্টো গাড়ি বিক্রির জন্য রাখা আছে। সেই মত তিনি গাড়িটি কিনতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। কেনা বেচার ক্ষেত্রে তিনি অনলাইনে টাকা পাঠালে গাড়িটি কুরিয়ারের মাধ্যমে তাঁর কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে বলে তাকে জানানো হয়। কুরিয়ার সার্ভিসের লোক বলে তাকে একজন ফোনও করেন। সেই মত কথাও হয়। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - অন্যদিকে ওই গাড়িটি বিক্রির জন্য যিনি ওই সাইটে ছবি পোস্ট করেছিলেন, তিনি নিজেকে সেনা আধিকারিক চন্দ্রভূষণ মিশ্র বলে পরিচয় দিয়েছিলেন। এরপর সজল বাবু গাড়িটি কিনতে আগ্রহী হলে ক্যুরিয়ারের তরফ থেকে গেটপাসের জন্য ৫১০০ টাকা পাঠাতে বলা হয়। পরে ফেরত দেওয়া হবে সেই আশ্বাসও দেওয়া হয়। এরপর ফাইল প্রসেসিং চার্জ বাবদ ১৪ হাজার ৯৯৯ টাকা, GPRS সিস্টেমের ৭ হাজার ২০০ টাকা এবং শেষ পর্যন্ত ফাইনাল প্রসেসিংয়ের নামে ৯ হাজার ৯০০ টাকা চাওয়া হলে মোট ৩৮ হাজার ৪০০ টাকার পুরো টাকাটাই তিনি ধাপে ধাপে দিয়ে দেন বলে জানা গেছে। কিন্তু এরপর সময় পেরিয়ে গেলেও গাড়ি না আসায় তিনি যে প্রতারিত হয়েছেন তা বুঝতে পারেন এবং পুলিশের কাছে রিপোর্ট করেন। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এখনকার কোনো গোষ্ঠী এসি কাজ করছে না। মূলত রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশের বর্ডার থেকে এই কাজ করা হচ্ছে। এতদিন এমন অপরাধের শীর্ষে ছিল ‘জামতাড়া গ্যাং’। তবে কুলটির এই যুবকে যে কায়দায় প্রতারণা করা হয়েছে, তার সঙ্গে রাজস্থানের ‘ভরতপুর গ্যাং’-এর মিল রয়েছে বলেই মনে করছে পুলিশ। তবে খুব শীঘ্রই এই গোষ্ঠীকে ধরা যাবে বলে মনে করছেন সাইবার সেলের দায়িত্বে থাকা তদন্তকারী অফিসাররা। তবে মানুষকে অনলাইন কেনাকাটার ব্যাপারে খুব সচেতন হতেই অনুরোধ করেছেন তারা। আপনার মতামত জানান -