এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম > লক্ষ্য অমিত শাহের জনসভাকে ‘গুনে গুনে গোল’ দেওয়া, শুভেন্দু অধিকারীর জনসভা নিয়ে অভিনব পদক্ষেপ তৃণমূলের

লক্ষ্য অমিত শাহের জনসভাকে ‘গুনে গুনে গোল’ দেওয়া, শুভেন্দু অধিকারীর জনসভা নিয়ে অভিনব পদক্ষেপ তৃণমূলের


কিছুদিন আগেই মালদার সাহাপুরে এক জনসভা করে যান বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। শারীরিক অসুস্থতার কারণে প্রথমে তাঁর সভার দিন নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরী হয়। এরপর, গেরুয়া শিবিরের তরফে অভিযোগ ওঠে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে সভার জন্য প্রয়োজনীয় জমি দিচ্ছে না। পরে, এক দলীয় সমর্থকের কৃষি জমিতেই সেই সভা হবে ঠিক হয়। কিন্তু, তারপরে অভিযোগ ওঠে ‘উন্নয়নের’ দোহাই দিয়ে অমিত শাহের হেলিকপ্টার নামারই অনুমতি দিচ্ছে না প্রশাসন। এতসব জটিলতা কাটিয়ে মালদার মত সংখ্যালঘু অধ্যুষিত জায়গায় অমিত শাহের যে জনসভা সেখানে লক্ষাধিক জনসমাগম হয় বলে গেরুয়া শিবিরের দাবি।

আর তার পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব দাবি করতে থাকে, বাংলায় নাকি তৃণমূল বিরোধী প্রবল হাওয়া বইছে, মালদার জনসভা এর সবথেকে বড় প্রমান। কিন্তু, বাংলার জনগনের রায় যে এখনও তৃণমূল নেত্রীর সঙ্গেই আছে, তা প্রমানে এবার তৃণমূলের ঘোষিত নীতি মত সেই মালদাতেই পাল্টা জনসভা করবে শাসকদল। ফলে, আগামী ৩০ শে জানুয়ারি পুরাতন মালদহের নিত্যানন্দপুরে বাইপাস সংলগ্ন মাঠে অমিত শাহের জনসভার মাঠেই কয়েক গুণ বড় পাল্টা সভা করতে উঠেপড়ে লেগেছে তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব। যেখানে, প্রধান বক্তা হিসাবে উপস্থিত থাকতে চলেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা পর্যবেক্ষক তথা রাজ্যের পরিবহন ও পরিবেশ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

মালদা জেলা তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বের তরফে জানা গেছে, এই সভাকে চূড়ান্তরূপে সফল করতে ইতিমধ্যেই কোমর বেঁধে নেমে পড়েছেন সর্বস্তরের নেতানেত্রীরা। প্রাথমিকভাবে অন্তত দেড় লক্ষ জন সমাগমের ‘টার্গেট’ রাখা হয়েছে। ফলে, মালদহের ১৫টি ব্লকের তৃণমূল নেতৃত্বকেই নির্দিষ্ট সঙ্খ্যক দলীয় সদস্য সমর্থকদের সভায় নিয়ে আসার লক্ষ্যমাত্রাও বেঁধে দিয়েছে শীর্ষনেতৃত্ব। সদস্য সমর্থকদের আনার জন্য ইতিমধ্যেই প্রায় ৪০০ টি বড় গাড়ির পাশাপাশি সমসংখ্যক ছোট গাড়ির ব্যবস্থাও করা হয়েছে। তাছাড়া যেসব সদস্য সমর্থকরা ট্রেনে চেপে সভায় আসবেন, তাঁদের জন্য রেলস্টেশন থেকে সভায় আসার বিশেষ ব্যবস্থা করা হবে।

অমিত শাহের জনসভাকে ধারে ও ভারে ‘গুনে গুনে গোল’ দিতে, জনসভার জেনে পুরো জমিটাই নিতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপির জনসভায় একটিই মঞ্চ থাকলেও, তৃণমূলের সভায় থাকতে চলেছে মোট তিনটি মঞ্চ – মূল মঞ্চে প্রধান বক্তা শুভেন্দু অধিকারী, অন্যান্য মন্ত্রী, বিধায়ক এবং জেলা কমিটির সদস্যরা থাকবেন। দ্বিতীয় ও তৃতীয় মঞ্চে থাকবেন যথাক্রমে – জেলা পরিষদ ও দুই পুরসভার নির্বাচিত তৃণমূল সদস্যরা এবং ব্লক সভাপতি এবং পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিরা।

তৃণমূল সূত্রের খবর, জেলার ১৪৬ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রতিটি থেকে একহাজার সমর্থক সভায় আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ইংলিশবাজার এবং পুরাতন মালদহ পুরসভা এলাকা থেকেও বিপুল সংখ্যক জমায়েতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সবথেকে বড় কথা, লক্ষ্য মাত্রা ব্লক নেতৃত্ব পূরণ করতে পারল কি তা পর্যালোচনা করতে গ্রাম থেকে আসা মিছিলকে ভিডিও ক্যামেরায় নজরদারির ব্যবস্থাও করা হবে। তৃণমূল নেতৃত্বের স্পষ্ট দাবি, ৩০ জানুয়ারির সমাবেশ দেখলে বিজেপি হাড়েহাড়ে টের পাবে মানুষের জমায়েত কাকে বলে। অমিত শাহের সভায় ভিড় হয়েছে বলে যারা লাফালাফি করছেন, তৃণমূলের সভা দেখলে তাঁদের পিলে চমকে যাবে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!