এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > মোদীর জি-20 নিয়েও হিংসা! ফের দেশবিরোধী মন্তব্য মমতার? সমালোচনা সর্বত্র!

মোদীর জি-20 নিয়েও হিংসা! ফের দেশবিরোধী মন্তব্য মমতার? সমালোচনা সর্বত্র!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- জি টুয়েন্টি সম্মেলনের আতিথেয়তা করছে ভারতবর্ষ। যে সম্মেলনে ইতিমধ্যেই অংশগ্রহণ করতে এসেছেন বিভিন্ন রাষ্ট্র প্রধানরা। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জি-টোয়েন্টিতে রাষ্টপতির ডাকা নৈশভোজে অংশগ্রহণ করেছিলেন। কিন্তু ভারতবর্ষের একটি অঙ্গরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে সেই সম্মেলন থেকে ফিরে এসে যে মন্তব্য করলেন তৃনমূল নেত্রী, তা ইতিমধ্যেই সমালোচনার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে। যে সম্মেলনের প্রশংসা করছে বিশ্বের প্রায় সবকটি দেশ, সেই সম্মেলনের কোনো খুঁত না ধরতে পেরে পদ্মের আদলে কেন লোগো করা হলো, তাই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

একাংশের প্রশ্ন, রাষ্ট্রনেতা হিসেবে সমগ্র বিশ্বের কাছে যে নরেন্দ্র মোদী কতটা গ্রহণযোগ্য, তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সার্টিফিকেটের উপর নির্ভর করে না। দিগগজ কূটনৈতিকদের মতে, নরেন্দ্র মোদীর মত পররাষ্ট্র রাষ্ট্রনীতিতে পারদর্শী হননি ভারতবর্ষের অনেক প্রধানমন্ত্রী। তাই তার ব্যবস্থাপনা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধরাছোঁয়ার বাইরে। কিন্তু সব বিষয়ে এই খুঁত ধরা বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর স্বভাব। তাই এত বড় মাপের আয়োজন দেখে যখন খুঁত ধরার কিছুই খুঁজে পাচ্ছেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তখন লোগো নিয়েই প্রশ্ন তুলে বসলেন।

গেরুয়া শিবিরের ঘনিষ্ঠ মহলের মতে, সংবিধানগত ভাবে মুখ্যমন্ত্রীর থেকে অনেক উচ্চ আসনে বিরাজ করেন প্রধানমন্ত্রী। অঙ্গরাজ্যের থেকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ দেশ। এই সরল সত্য বোধহয় ভুলে গিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজনীতি নেশায় মগ্ন হয়ে তাই তিনি এই ধরনের মন্তব্য করছেন। কিন্তু এই মন্তব্য রীতিমতো বেদনা জাগিয়েছে দেশপ্রেমিক ভারতীয়দের মনে। যার খেসারত দিতে হতে পারে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে।

বলা বাহুল্য, হাতে আর কয়েকটা মাস সময়। তারপরেই ভারতবর্ষের লোকসভা নির্বাচন। যে নির্বাচনে ইন্ডিয়া জোটকে সামনে রেখে ময়দানে নামবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তার মত প্রবীন রাজনীতিবিদের মুখে যদি এমন বাক্য শোনা যায়, যা বিশ্বের বাজারে ভারতের সম্মানকে ক্ষুন্ন করতে পারে, তাহলে ভারতবর্ষের জনগণের কাছে তিনি এবং তার দল কতটা গ্রহণযোগ্য হবে, তা নিয়ে একটা বড় প্রশ্ন থেকে যায়। ওয়াকি বহাল মহল মনে করছেন, যে কোনো বিষয় না জেনে না শুনে মন্তব্য করা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটা ব্যাড হ্যাবিট। নিজের এই ভুলকে যদি নিয়ন্ত্রণ না করতে পারেন তৃণমূল নেত্রী, তাহলে আগামীতে বড়সড় ঝটকার জন্য তাকে প্রস্তুত থাকা উচিত। এখন তৃণমূল নেত্রীর এই বক্তব্যের জন্য কি প্রভাব পড়ে নির্বাচকমণ্ডলের ওপরে, সেদিকেই নজর থাকবে রাজনৈতিক মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!