মৃন্ময়ীর চিন্ময়ী হয়ে ওঠা নিয়ে তোলপাড় বহরমপুর। অন্যান্য মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম রাজ্য December 29, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আমাদের দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মাতৃ বন্দনা বিপুল ভাবে দর্শিত হয়। ভক্তের ভক্তিতে মাও সাড়া না দিয়ে পারেন না। মানুষের মনে তাই ঈশ্বরের প্রতি ভালোবাসা ভক্তি ভারতের অন্যতম সংস্কৃতি। সেই ভক্তিতে সাড়া দিয়ে প্রায়ই অসম্ভবকে সম্ভব করে তোলা কিছু ঘটনার কথাও সামনে আসে। সেখানে বাস্তবের কোনো যুক্তি বিচারই কাজে আসে না। সেরকমই একটি ঘটনা ঘটেছে বছর বহরমপুরের কৃষ্ণমাটি ছয়ঘড়ি পূর্বপাড়ায়। জানা গেছে, সেখানকার একটি মন্দিরে কালী প্রতিমার ডান চোখ দিয়ে জল পড়ছে। আর সেখানেই আবারও স্মৃতিতে ভিড় করে এসেছে গণেশের দুধ খাওয়ার ঘটনা। যে গুজবে একসময় উত্তাল হয়ে উঠেছিল সারা দেশ। আর সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে বহরমপুরের এই ঘটনা মুখে মুখেই ভাইরাল হয়েছে। সেই সঙ্গে মন্দিরেও দর্শনার্থীর ভিড় উপচে পড়েছে। সারাদিনই সেখানে আরাধনা চলছে। ভক্তেরা “জীবন্ত প্রতিমা”কে দেখতে ভিড় করে রয়েছেন। অনেকে সেখানে মনের ভাব সামলাতে না পেরে কেঁদেও ফেলছেন। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - কিন্তু, অনেকের মনেই প্রশ্ন জেগেছে যে এমনটা কি করে সম্ভব। সেইসঙ্গে খবর পেয়েই বিজ্ঞানমঞ্চের প্রতিনিধিরা সেখানে যান। তাঁদের দাবি, এই ঘটনা অসম্ভব। মাটির প্রতিমার চোখ থেকে জল গড়াতে পারে না। তাই কারও ইচ্ছাকৃত কারসাজিতে এমনটা হয়েছে বলেই মনে করছেন তাঁরা। এক্ষেত্রে মুর্শিদাবাদের পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চর সম্পাদকের তরফে জানা গেছে, মূর্তির চোখে এবং নাকের ওপরে তরল কোনো পদার্থ যেমন গ্লিসারিন বা কোন তেল রং তুলি দিয়ে সেখানে লাগানো হতে পারে। এর ফলে সেটা নাকের উপর দিয়ে এবং চোখের উপর দিয়ে গড়িয়ে নিচের দিকে নামলে জলের মত মনে হতে পারে। তবে জানা গেছে, বিজ্ঞান মঞ্চের প্রতিনিধিদের এই দাবির পরেই নাকি মন্দির চত্বরে ভক্তদের ভিড় কমতে শুরু করে। এতক্ষণ যাঁরা সেখানে মায়ের চিন্ময়ী হয়ে ওঠায় আবেগে ডগমগ ছিলেন, তাঁরাই উল্টোপথে বাড়ি ফিরে যান বলেই জানা গেছে। আপনার মতামত জানান -