এখন পড়ছেন
হোম > বিশেষ খবর > বিজেপিতে এসেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কড়া ভাষায় আক্রমণ মুকুলের

বিজেপিতে এসেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কড়া ভাষায় আক্রমণ মুকুলের

অবশেষে ঝুলি থেকে বিড়াল বেড়ল। গত শুক্রবার বিকেলে ভারতীয় জনতা পার্টির সদর দফতরে আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপিতে যোগ দান করেন মুকুল রায়। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসের শেষের দিকে তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়ার কথা ঘোষণা করেন মুকুল রায়। আগে থেকেই যে তৃণমূল নেত্রীর সাথে তার দুরুত্ব তৈরী হয়েছে তা বোঝা যাচ্ছিলো যখন নিঃশব্দে নানা পদ থেকে তাঁকে সরানো হচ্ছিলো। তবে সব কিছু নিয়েই মুকুল রায় চুপ ছিলেন তেমন কিছু বলেন নি। কিন্তু বিজেপিতে যোগদান করেই মুখে নাম না নিয়েও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে নিজের আক্রমনের অভিমুখ রাখলেন তিনি।
এবার বিজেপিতে যোগ দানের পরেই মুখ খুললেন মুকুল রায়।দলবদল করার পর একটি বৈদ্যুতিন মাধ্যমে সাখ্যাৎকার দেওয়ার সময় তিনি বলেন, ১৯৭২ থেকে ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত সিদ্ধার্থশঙ্কর রায়ের জামানা ফের ফিরে এসেছে পশ্চিম বাংলায়। রাজ্যে যারা সরকারের বিরোধিতা করবে তাদের সিআইডি দিয়ে গ্রেফতার করা হবে। একইসঙ্গে তিনি আরও অভিযোগ করেছেন, ১৭-১৮ বছর ধরে তার বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ রইল না। যেই সে সরকারের বিরুদ্ধে গেল তখনই সে তছরুপ করেছে, জালিয়াতি করেছে এমন নানাবিধ অভিযোগ তোলা হচ্ছে। এখানেই থেমে না থেকে তিনি বিস্ফোরক ভাবে আরো যোগ করেন, পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান জামানা সিদ্ধার্থশঙ্কর রায়ের সময়কেও হার মানাচ্ছে। প্রত্যকের ফোন ট্যাপ করা রাখা হয়েছে, আমার চারটি ফোনই ট্যাপ করে রেখেছে সরকার। এমনকি আমার সাথে যোগাযোগ করা হতে পারে ভেবে দলের অনেকেরও মোবাইল ট্যাপ করে রেখেছে সরকার। সারদা-নারদ কেলেঙ্কারিতে মুখ্যমন্ত্রীর যোগ নিয়েও তিনি তাঁর আগের বক্তব্য থেকে সরে আসেন। এর আগে সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি জানান, ঐসব কেলেঙ্কারির ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রী বা দল কিছু জানত না, ব্যক্তিগত ভাবে নেতারা জড়িত থাকতে পারেন। কিন্তু এদিন তিনি জানান, এব্যাপারে তিনি কাউকেই ক্লিনচিট দেন নি, তদন্তকারী সংস্থা বা আদালত একমাত্র ক্লিনচিট দিতে পারেন। আর এই বক্তব্যের পর রাজনৈতিক মহলের ধারণা মুকুলবাবু ধীরে ধীরে তীব্রতর করবেন তাঁর আক্রমন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!