এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বড়সড় দাবি তৃণমূল নেতার বাড়লো মুকুল অর্জুন সমেত বিজেপির রক্তচাপ? জেনে নিন

বড়সড় দাবি তৃণমূল নেতার বাড়লো মুকুল অর্জুন সমেত বিজেপির রক্তচাপ? জেনে নিন

লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির ভাল ফলাফল হওয়ার পরই উত্তর 24 পরগনার নৈহাটি পৌরসভার তৃণমূল কাউন্সিলররা গেরুয়া শিবিরে নাম লেখাতে শুরু করেছিলেন। প্রায় 18 জন কাউন্সিলর গেরুয়া জার্সি পড়ে নেওয়ায় এই পৌরসভা বিজেপির দখলে চলে আসে।

এদিকে বিরোধীদের দখলে পৌরসভা চলে যাওয়ার পরেই আশ্চর্যজনকভাবে সেইখানে প্রশাসক নিয়োগ করতে দেখা যায় রাজ্য সরকারকে। আর এই ঘটনার পরই এখানকার চেয়ারম্যান অশোক চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনেন ওই কাউন্সিলররা। বুধবার সেই অনাস্থা ভোটের দিন ধার্য করা হলে অবশেষে সেখানে শেষ হাসি হাসল তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপির কাছ থেকে পৌরসভার রাশ ছিনিয়ে নিতে দেখা গেল তাদের।

জানা গেছে, এদের নৈহাটি পৌরসভার এই অনাস্থা ভোটে যে 24 জন কাউন্সিলর অংশ নিয়েছিলেন, তাঁরা প্রত্যেকেই অনাস্থার বিরুদ্ধে তাদের মতামত জানান। যার ফলে 31 আসনবিশিষ্ট নৈহাটি পৌরসভার 24-0 তে জয়লাভ করে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে বাকি কাউন্সিলররা কেন এই অনাস্থা ভোটে অংশ নিলেন না! তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে এদিন অনাস্থায় বিজেপিকে হারিয়ে দিয়ে নিজেরা জয়ী হয়ে বারাসাত জেলাশাসকের দপ্তর থেকে বেরিয়ে নৈহাটি পৌরসভার চেয়ারম্যান অশোক চট্টোপাধ্যায় বিজেপির বিরুদ্ধে বড়সড় দাবি করে বসেন। তিনি বলেন, “ঘরের মানুষ ঘরে ফিরে এসেছে। যারা এখনও বিজেপিতে আছে, তাদের মধ্যে চারজন আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে‌। বিজেপির সন্ত্রাস থেকে মানুষ মুক্তি পেতে চাইছে। আগামী 2020 সালে রাজ্যে যে পৌরসভা ভোট হয়েছে, তা এসিড টেস্ট। আগামী বছরে পৌরসভা ভোটে বাংলার মানুষ বিজেপিকে ছুঁড়ে ফেলে দেবে।”

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, লোকসভা নির্বাচনে ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রাক্তন নেতা অর্জুন সিংহ বিজেপি টিকিটে দাঁড়ানোর পরে যেভাবে তিনি জয়লাভ করেন, তারপর সেই অর্জুন সিংহের দাপটে উত্তর 24 পরগনার একাধিক পৌরসভার রং সবুজ থেকে গেরুয়া হতে শুরু করে।

কিন্তু কালের নিয়মে আবারও বিজেপিতে যাওয়া সেই সমস্ত কাউন্সিলররা তৃণমূলে আসতে শুরু করেন।তৃণমূল থেকে বিজেপিতে আসা মুকুল অর্জুনদের জন্য কিছুটা হলেও অস্বস্তি বাড়লো। কেননা বিজেপিতে আসার পর বার বার তাঁরা দাবি করেছিলেন যে তৃণমূলকে ভাঙবেন। সেই মতো ভেঙে বিজেপির ঘর ভারী করেছিলেন.কিন্তু ধরে রাখতে পারেন নি। ফলে চাপ কিছুটা হলেও বাড়ছে বলেই মত রাজনৈতিকমহলের।

 

এদিকে এই নিয়ে বিজেপির দাবি যারা গেছে তাদের ভয় দেখিয়ে নিয়ে যাওযা হয়েছে। তারা তৃণমূলে ফিরলেও বিজেপির হয়েই কাজ করবেন। যাই হোক এবার নৈহাটি পৌরসভার বিজেপি প্রথমে তাদের ক্ষমতা ধরে রাখলেও অনাস্থা ভোটে তৃণমূলকে হারাবে বলে মনস্থির করলেও সেই অনাস্থায় যেভাবে তৃণমূলে জয়লাভ করল এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে যেভাবে তৃণমূলের পুরপ্রধান বিজেপির উদ্দেশ্যে হুঁশিয়ারি দিলেন, তাতে বিজেপি এখানে অনেকটাই কোণঠাসা হয়ে পড়লে মত বিশ্লেষকদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!