এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > সোশ্যাল মিডিয়ার মুখ্যমন্ত্রীর নামে কটাক্ষ করে এবার বরখাস্ত হতে হল সরকারি তরুণ চিকিৎসককে!

সোশ্যাল মিডিয়ার মুখ্যমন্ত্রীর নামে কটাক্ষ করে এবার বরখাস্ত হতে হল সরকারি তরুণ চিকিৎসককে!

হীরক রাজার দেশে সিনেমাটিতে একটি ডায়লগে ছিল, “যায় যদি যাক প্রাণ, হীরকের রাজা ভগবান।” বিশ্লেষকদের দাবি, এই ডায়লগের মধ্যে দিয়ে স্বৈরাতন্ত্র শাসকের কথাই তুলে ধরেছিলেন পরিচালক। অর্থাৎ কেউ কখনও শাসকের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে পারবে না। কিন্তু সিনেমার সেই প্রতিচ্ছবি কি এবার বাস্তবেও ধরা দিল!

সূত্রের খবর, ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের নামে এবার সামাজিক গণমাধ্যমে কটাক্ষ করায় বরখাস্ত হলেন আগরতলা মেডিকেল কলেজ ও জিবি পন্থ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডাঃ কৌশিক চক্রবর্তী। জানা গেছে, গত 2 আগস্ট এই কৌশিক চক্রবর্তীকে শোকজ করেন রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের অবর সচিব।

যেখানে স্বাস্থ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে, সরকারি চাকরি করেও রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান তথা মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সামাজিক গণমাধ্যমে মন্তব্য করার জন্যই এই চিকিৎসককে বরখাস্ত করা হয়েছে। কিন্তু এরপরই তৈরি হয় জটিলতা। গত 19 আগস্ট ত্রিপুরার স্বাস্থ্য দপ্তরের অধিকর্তাকে চিঠি দিয়ে সেই কৌশিক চক্রবর্তী প্রশ্ন করেন, সহকারি অধ্যাপককে শোকজ করার অধিকার কি অবর সচিবের রয়েছে!

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে তিনি কি অপরাধ করেছেন, সেই ব্যাপারেও জানতে চান সেই চিকিৎসক। জানা যায়, এরপর গত 31 আগস্ট ডিরেক্টর সেই কৌশিক চক্রবর্তীর করা তিনটি পোস্ট উল্লেখ করে ফের তাকে শোকজ করেন। যেখানে দেখা যায় যে, নিজের প্রথম পোস্টে কৌশিকবাবু নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের বিরোধিতা করে দ্বিতীয় পোস্টে লিখেছেন, “প্রিয় বিপ্লবদা, উল্টোপাল্টা কথা বলার জন্য কোনো নোবেল প্রাইজ নেই। তাই একটা সম্মাননীয় পদকে এভাবে সারাদেশে হাসির খোরাক না বানিয়ে এবার ক্ষেমা দিন। অনেক সংগ্রাম বলিদানের মাধ্যমে গড়া নতুন সরকারের ওপর ত্রিপুরার মানুষের অনেক আশা। সবাইকে আশাহত করবেন না।”

আর একদম শেষ পোস্টে কৌশিক চক্রবর্তী লেখেন, “ডাক্তাররা রক্তের অপচয় করছে না তো! এই ধরনের ফালতু প্রশ্নে জল ঢেলে দেওয়ার জন্য স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে সব ডাক্তারদের তরফ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ।” প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি স্বাস্থ্যমন্ত্রীরও পদ সামলাচ্ছেন বিপ্লব দেব। ফলে চিকিৎসক কৌশিক চক্রবর্তী সরকারকে নিয়ে সোশ্যাল সাইটে একের পর এক মন্তব্যে রীতিমতো অস্বস্তিতে পড়তে দেখা যায় ত্রিপুরায় বিজেপি সরকারকে।

আর তাই এবার চাপে পড়েই কি সেই কৌশিক বাবুকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নিল স্বাস্থ্য দপ্তর! তা নিয়েই উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। কিন্তু অবর সচিব যেভাবে শৃঙ্খলাভঙ্গের অপরাধে কৌশিকবাবুকে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জানান, তাতে তিনি কি শৃঙ্খলাভঙ্গ করেছেন তা নিয়ে পাল্টা প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন সেই কৌশিক চক্রবর্তী।

বিরোধীদের পক্ষ থেকে জানানো হচ্ছে, আসলে এই কাজ করে ত্রিপুরার বিজেপি সরকার গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধ করল। সব মিলিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় মুখ্যমন্ত্রীর নামের কটাক্ষ করে এবার বরখাস্ত হতে হল তরুণ চিকিৎসককে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!