এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > তৃণমূলের ভাঙন কি গেরুয়ার জয়ের রাস্তা মসৃণ করছে? একুশ নিয়ে আত্মবিশ্বাসী দিলীপ

তৃণমূলের ভাঙন কি গেরুয়ার জয়ের রাস্তা মসৃণ করছে? একুশ নিয়ে আত্মবিশ্বাসী দিলীপ


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গেরুয়া শিবির যে তৃণমূল শিবিরকে জোরদার টেক্কা দিতে প্রস্তুত তার আভাস পাওয়া গেল এদিন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের কথায়। রাজ্যজুড়ে পালাবদলের হাওয়া এই মুহূর্তে জোরদার। একদিকে গেরুয়া শিবিরের লক্ষ্য, বাংলার মসনদ দখল করা। অন্যদিকে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কোনমতেই তাঁদের অধিকার ছাড়তে নারাজ। এই অবস্থায় তৃণমূল শিবিরের ভাঙ্গন কিন্তু লক্ষণীয়। সেক্ষেত্রে তৃণমূলের একের পর এক নেতা, মন্ত্রী, সাংসদ, বিধায়ক গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়েছেন। আর তাই দিলীপ ঘোষকে অত্যন্ত আত্মবিশ্বাসী দেখা গেল এই দিন।

রীতিমতো তৃণমূল শিবিরকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে দিলীপ ঘোষ দাবি করেন, বিজেপির নেতারা না হোক, শুধুমাত্র বুথ স্তরের কর্মীদের নিয়ে দেখাক তৃণমূল শিবির। বরং দিলীপ ঘোষ দাবি করেছেন, চাইলে তিনি এখনই 50 জন বিধায়ক কে গেরুয়া শিবিরে হাজির করতে পারেন। আর দিলীপ ঘোষের এই দাবী নিয়েই শুরু হয়েছে তীব্র রাজনৈতিক চাঞ্চল্য। পাশাপাশি এদিন দিলীপ ঘোষ তৃণমূল থেকে আগত নেতা যারা একসময় সারদা-নারদা কাণ্ডের জেরে সংবাদ শিরোনামে ছিলেন, তাঁদেরকে নিয়েও চাঁচাছোলা মন্তব্য করেছেন। প্রসঙ্গত, এই মুহূর্তে গেরুয়া শিবিরের টার্গেট কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের দেওয়া 200 আসন দখল করা বাংলায়, যা এই মুহূর্তে পাখির চোখ গেরুয়া শিবিরের।

তবে এখনো পর্যন্ত রাজ্যে গেরুয়া শিবির জয়ী হলেও মুখ্যমন্ত্রীর মুখ কে হবেন, তা নিয়ে কিন্তু ব্যাপক জল্পনা বর্তমান। দিলীপ ঘোষ সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছেন, যারা দলে আসছেন, তাঁরা যোগ্যতা অনুযায়ী স্থান পাবেন। তবে এই মুহূর্তে দলে যোগদান করা নিয়ে কোনো বাছাবাছি নেই। নির্বাচনের আগে কিন্তু অনেকেই গেরুয়া শিবিরে আসতে চাইছেন। অন্যদিকে গেরুয়া শিবিরে দলবদল করেই একসময়ের তৃণমূল হেভিওয়েট নেতা মুকুল রায়, শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং শুভেন্দু অধিকারী বিজেপির অন্যতম মুখ হয়ে উঠছেন বাংলায়। প্রসঙ্গত এই প্রাক্তন হেভিওয়েটরা কিন্তু সারদা ও নারদা মামলায় অভিযুক্তের কাঠগড়ায়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সেক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠছে, একসময় যেখানে গেরুয়া শিবির এই নেতাদের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছিল দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ার কারণে, সেই নেতাদের নিজেদের দলে কি করে স্থান দিচ্ছেন? সেই প্রশ্নের উত্তরে দিলীপ ঘোষ বলেন, অভিযোগ খতিয়ে দেখার কাজ সিবিআই এবং ইডির। সেক্ষেত্রে যদি কেউ বিজেপিতে আসতে চায়, তাহলে কাউকেই আটকানো হবেনা। কিন্তু পাল্টা তিনি বলেন, মুকুল রায়, শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং শুভেন্দু অধিকারীর দিকে যে অভিযোগের আঙুল উঠছে সেই একই অভিযোগ কিন্তু তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের দিকেও করা যায়। কিন্তু সে কথা কেউই বলেন না। অন্যদিকে তৃণমূল ভবন থেকে সাংবাদিক সম্মেলনে তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় এদিন দিলীপ ঘোষকে একহাত নিয়েছেন।

তিনি বলেন, তৃণমূল থেকে যারা গেরুয়া শিবিরে গেছে তাঁরা সম্পদ না বোঝা তা ক্রমশ প্রকাশ্য। তবে দিলীপ ঘোষের বক্তব্য অনুযায়ী পার্থ চ্যাটার্জি সন্দেহ প্রকাশ করেছেন তাঁর মস্তিষ্কের সুস্থতা নিয়ে। যথারীতি রাজনৈতিক চাপানউতোর অব্যাহত দুই শিবিরের একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে। বিশেষজ্ঞদের মতে, তৃণমূল শিবিরে দলবদলের হাত ধরে ভাঙন ক্রমশ চওড়া হচ্ছে। যার ফলে গেরুয়া শিবিরের গলার জোর বাড়ছে। আপাতত দেখার, একুশের বিধানসভা নির্বাচনে দলবদল করে তৃণমূল হেভিওয়েট নেতারা কি বিজেপিকে ক্ষমতায় নিয়ে আসতে পারেন, নাকি বিগত দুটি বিধানসভা নির্বাচনের মতো এবারেও মমতা-ম্যাজিকেই মাত করবে তৃণমূল!

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!