এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > সহায়কমূল্যে ধান বিক্রিতে অবাধ দালালরাজ! প্রকৃত চাষিরা ‘ধরিয়ে’ দিলেও- প্রশাসনের ভূমিকায় উঠছে প্রশ্ন

সহায়কমূল্যে ধান বিক্রিতে অবাধ দালালরাজ! প্রকৃত চাষিরা ‘ধরিয়ে’ দিলেও- প্রশাসনের ভূমিকায় উঠছে প্রশ্ন


এবার একই পরিবারের একাধিক সদস্যদের নামে রেজিস্ট্রেশন করিয়ে ধান বিক্রির অভিযোগে চরম চাঞ্চল্য ছড়াল এই রাজ্যে। অভিযোগ, আরামবাগে এরকম বহু ব্যক্তি আছেন যারা জমির পর্চা না দেখেই ধান কিনে নিচ্ছে। যদিও বা এই ঘটনায় চাপে পড়ে ইতিমধ্যেই আরামবাগ ও পরশুড়া পরিদর্শন করেছেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত 15 ই নভেম্বর থেকে এই আরামবাগ মহকুমায় সরকারি সহায়ক মূল্যে ধান কেনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কিন্তু বেশ কিছু ক্ষেত্রেই অভিযোগ উঠতে শুরু করে যে, এই ধান থেকে আগড়া বাদ পড়ছে। অন্যদিকে একাধিক মান্ডিতে অনেক ফড়েরাও ধান বিক্রি করছে বলে অভিযোগ তোলেন অনেকে।

সম্প্রতি গোঘাটের মদিনার শিবিরে এরকমই এক চাষিকে ফড়ে ধান বিক্রি করা অবস্থায় হাতেনাতে ধরে বিক্ষোভ দেখান কিছু মানুষ। এমনকি গত সোমবারও পুরশুড়া কিষাণ মান্ডিতে এনিয়ে প্রবল বিক্ষোভ হয়। অন্যদিকে এই মহকুমায় অনেকেই চাষী সেজে সিপিসিগুলোতে ধান বিক্রি করতে আসছে বলে অভিযোগ তুলছেন অনেকে।

খাদ্য দপ্তর সূত্রের খবর, এই আরামবাগ মহকুমায় এখনও পর্যন্ত প্রায় 3 হাজার 312 জন কৃষক মোট নটি কেন্দ্রে গিয়ে প্রায় 16 হাজার মেট্রিক টন ধান বিক্রি করেছেন। জানা গেছে, 874 জন চাষী গোঘাটের বকুলতলা কেন্দ্রে 1512 মেট্রিক টন, 275 জন চাষী মদিনা শিবিরের 1420 মেট্রিক টন, গোঘাট 2 জেলাপরিষদ বাংলোর ক্যাম্পে 417 জন চাষী 3488 মেট্রিক টন, বেঙ্গাই শিবিরের 269 জন 4975 মেট্রিক টন ধান সংগ্রহ করেছে। অন্যদিকে আরামবাগ কিষাণ মান্ডিতে 287 জন চাষী 2112 মেট্রিক টন, পরশুড়ার কিষাণ মান্ডিতে 151 জন চাষি 840 মেট্রিক টন, বেনেপুকুরে 346 জন চাষির কাছ থেকে 1979 মেট্রিক টন ধান কেনা হয়েছে। পাশাপাশি খানাকুল 1 এর ঘোষপুর শিবিরের 328 জন চাষী 2578 মেট্রিক টন ধান বিক্রি করেছেন।

অন্যদিকে খানাকুলের গনেশপুর ক্যাম্পে 365 জন চাষির কাছ থেকে 180 মেট্রিক টন ধান কিনেছে খাদ্য দপ্তর। এদিকে ফড়েদের এহেন দৌরাত্ম্য প্রসঙ্গে এদিন আরামবাগ মহকুমা রাইস মিল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সত্যনারায়ন মাঝি বলেন, “প্রকৃত চাষী ছাড়া আমরা বারবারই আবেদন করেছি যে বহিরাগতরা কেউ যেন এই ধান ক্রয় কেন্দ্রে ঢুকতে না পারে। বিভিন্ন জায়গায় বহিরাগতরাই গন্ডগোল পাকাচ্ছে। তাই এই ব্যাপারে দপ্তরের নজরদারি প্রয়োজন।”

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

কিন্তু এই সমস্যার আদৌ কি সমাধান হবে? এদিন এই প্রসঙ্গে আরামবাগ মহকুমার খাদ্য নিয়ামক দীপ্তি বাউরী বলেন, “ফড়েদের রুখতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রকৃত চাষিরাই যাতে এই ধান বিক্রি করতে পারেন তার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।” সব মিলিয়ে এখন সহায়ক মূল্যে ধান বিক্রি করতে ও দালালরাজ রুখতে ঠিক কি পদক্ষেপ নেয় প্রশাসন এখন সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!