এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > শঙ্কুতে অসীম আস্থা, বৃহত্তর ভূমিকায় দাপুটে যুবনেতা! বড়সড় ইঙ্গিত শুভেন্দুর!

শঙ্কুতে অসীম আস্থা, বৃহত্তর ভূমিকায় দাপুটে যুবনেতা! বড়সড় ইঙ্গিত শুভেন্দুর!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-  মুকুল রায়ের কথায়, “তেল মাখানো বাঁশে বাঁদর ওঠানামার খেলা চলছে।” ঠিক তেমনই রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতীয় জনতা পার্টিকে নীতিগত দিক থেকে প্রতিহত করতে না পেরে দল ভাঙার খেলায় মরিয়া ঝাঁপ দিয়েছে তৃনমূল কংগ্রেস। তবে তৃণমূল অনুরাগীরা যাই বলুক না কেন, নিজের দলের কিছু প্রাক্তন সৈনিক বাদ দিয়ে দলবদলের খেলায় বিশেষ লাভ করে উঠতে পারেনি ঘাসফুল শিবির। আবার প্রাক্তন কর্মীদের মধ্যেও ঘরওয়াপসি হয়েছে গুরুত্বহীন নেতাকর্মীদের। সেজন্য কিছুটা চিন্তার ভাঁজ তো রিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের কপালে। এরমধ্যে তৃণমূলের কিছুটা আশা জাগিয়ে গতকাল বিজেপি যুব মোর্চার হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ত্যাগ করেছিলেন বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডা।

আর যার পরেই তৃণমূল অনুরাগী বেশকিছু মহলের তরফ থেকে প্রচার করতে শুরু করা হয়, শঙ্কুদেব নাম শুনে নাকি গাত্রদাহ হচ্ছে শুভেন্দু অধিকারীর (বিজেপির)। যা নিয়ে রীতিমতো আশাবাদীও হতে দেখা যায় তৃণমূল কংগ্রেসের একাংশকে। কিন্তু গতকালই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তৃণমূলের সব আশায় জল ঢেলে দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শঙ্কুদেব পণ্ডা যে বিজেপিতে ভালোভাবে কাজ করার দরুন আগামী দিনে বড়সড় সাফল্য পেতে চলেছেন, তা এদিন আকার ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দেন নন্দীগ্রামের বিজেপির বিধায়ক।

প্রসঙ্গত, এদিন শঙ্কুদেব পণ্ডাকে নিয়ে সাংবাদিকদের তরফে প্রশ্ন করা হয় শুভেন্দু অধিকারীকে। আর তারপরেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠেন এই বিজেপি নেতা। সরাসরি শঙ্কুদেব পণ্ডার পক্ষ নিয়ে শুভেন্দুবাবু বলেন, “এই খবরটা বাদ দিয়ে আপনারা করোনা নিয়ে ভাবুন। মদের দোকানগুলো কেন মমতা ব্যানার্জি খোলা রেখেছে সেটা নিয়ে ভাবুন। শঙ্কুদেব পণ্ডার 35 বছর বয়স হয়ে গিয়েছে। তারপরে আর যুব মোর্চাতে কেউ থাকতে পারে না। সেই জন্য ও হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ত্যাগ করেছে। এটা ভাবার জন্য বিজেপি রয়েছে। আপনাদেরকে ভাবতে হবে না। আপনারা করোনা নিয়ে ভাবুন।” আর শুভেন্দু অধিকারীর এই মন্তব্যের মধ্যে দিয়েই পরিষ্কার, যুব মোর্চার পরে কোন জায়গায় যেতে চলেছেন শঙ্কুদেব, সেই বিষয়ে রীতিমতো খবর রয়েছে মেদিনীপুরের ভূমিপুত্রের কাছে। আর সেই কারণেই সংবাদমাধ্যমের মাধ্যমে তৃণমূলকে সরাসরি আক্রমণ করে শঙ্কুদেব পণ্ডার পক্ষ নেন অধিকারী পরিবারের মেজো ছেলে।

এখন প্রশ্ন উঠতে পারে, শঙ্কুদেব পণ্ডাকে দলে নেওয়ার প্রসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস বা তাদের ঘনিষ্ঠ মহলের এত উৎসাহ কেন! যারা জানেন, তারা জানেন, তৃণমূল কংগ্রেসের উত্থান লগ্নে শঙ্কুদেব পণ্ডার তৃণমূলে কি ভূমিকা ছিল! তৎকালীন রাজ্যের বিরোধী দল তৃণমূল কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠনের সর্বময় কর্তা ছিলেন এই শঙ্কুদেব পণ্ডা। যার নেতৃত্বে গোটা পশ্চিমবঙ্গে বামফ্রন্টের প্রবল ছাত্র সংগঠন এসএফআইয়ের বিরুদ্ধে নিজের পায়ে দাঁড়াতে সক্ষম হয়েছিল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। যে কলেজে তৃণমূলের ঢোকা অসম্ভব বলে মনে হতো, নিজের ডায়নামিক লিডারশিপের মাধ্যমে সেই সমস্ত জায়গাতেও ঘাসফুল ফুটিয়ে ছেড়েছিলেন এই শঙ্কুদেব। একদিকে ছাত্রের দায়িত্ব শঙ্কু এবং অপরদিকে যুব আন্দোলনের মুখ শুভেন্দু অধিকারী, এই ডবল ডোজেই কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতায় এসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই কারণেই তৃণমূল কংগ্রেসের এত উদগ্রীবতা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু এতসবের পরেও প্রশ্ন উঠছে, কেন শুভেন্দুবাবু শঙ্কুদেব পন্ডার পক্ষ নিচ্ছেন? তাহলে কি তার কাছে কোনো খবর রয়েছে শঙ্কুদেব সম্পর্কে? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুভেন্দু অধিকারী শুধু পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা নন। কেন্দ্রীয় বিজেপির তাবড় তাবড় নেতৃত্বের সঙ্গে তার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। এমনকি রাজ্য বিজেপির সভাপতিও শুভেন্দুবাবুর পরামর্শ ছাড়া ডান-বাঁ চলেন না। এমতাবস্থায় যেখানে পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী আন্দোলনে প্রায় মুখ হয়ে উঠেছেন শুভেন্দু অধিকারী, তার কাছে যে কোনো ধরনের খবর থাকাই স্বাভাবিক। আর তারই হয়তো বহিঃপ্রকাশ হয়েছে এদিন শুভেন্দুবাবুর শঙ্কুদেব পণ্ডা প্রসঙ্গে মন্তব্যে।

আগামীদিন বিজেপির বঙ্গ রাজনীতিতে কার স্থান কোথায় হবে, সে তো সময় বলবে। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারীর ইঙ্গিত শঙ্কুদেব পণ্ডা এবং তার অনুগামীদের মনে যে আশা জাগাচ্ছে, তা এককথায় উড়িয়ে দেওয়া যায় না। তৃণমূল মহল যতই বলুক না কেন, শঙ্কুদেব পন্ডার সঙ্গে সম্পর্ক ভালো নেই শুভেন্দু অধিকারীর, কিন্তু এদিন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়কের মন্তব্যের মধ্যে দিয়েই পরিষ্কার, বিরোধী দলনেতা হিসেবে প্রায় অধিকাংশ বিজেপি নেতার সঙ্গে সুসম্পর্ক রয়েছে শুভেন্দু অধিকারীর। ফলে আগামী দিনে তৃণমূলকে আরও বেশি করে চাপে ফেলতে শঙ্কুদেব পণ্ডাকে চাইছেন শুভেন্দু অধিকারী।

আর সেই কারনেই হয়তো তার সঙ্গে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কথা হয়েছে। আর তারপরেই শঙ্কুদেব পণ্ডা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে দিলেও তাকে যে বড় কোনো দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে, তার খবর হয়তো রয়েছে শুভেন্দু অধিকারীর কাছে। আর সেই কারণেই তিনি তৃণমূলের ঘনিষ্ঠ মহলের পক্ষ থেকে শঙ্কুদেব পণ্ডাকে নিয়ে যে সমস্ত জল্পনা তৈরি করা হয়েছে, তাকে কার্যত ফুৎকারে উড়িয়ে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। যার জেরে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যে যাই বলুন না কেন, আগামী দিনে শঙ্কুদেব পণ্ডা বড়সড় দায়িত্বে আসতে চলেছেন। আর তাকে সেই দায়িত্বে আনতে যে অন্যতম ভূমিকা গ্রহণ করতে চলেছেন শুভেন্দু অধিকারী, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!