এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > ‘ভালো কাজের’ পুরস্কার, একসাথে ‘তিন বর’ পেতে চলেছেন মুকুল রায়

‘ভালো কাজের’ পুরস্কার, একসাথে ‘তিন বর’ পেতে চলেছেন মুকুল রায়

তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেবার প্রাক্কালে কোনো কোনো বিজেপি নেতার সন্দেহ ছিল নতুন দলে এসে কতখানি ‘মানিয়ে’ নিতে পারবেন একসময়ের রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের অঘোষিত দুনম্বর মুকুল রায়। আর তাই নিয়ে দীর্ঘ আলোচনার ফলেই বিজেপিতে যোগদান বেশ কিছুটা দীর্ঘায়িত হয় তাঁর বলেই মনে করেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু বিজেপিতে যোগদানের পর নতুন-পুরোনো সবাইকে নিয়ে ‘মানিয়ে চলা’ তো বটেই, তারসাথে দলের নেতা কর্মীদের মধ্যে অন্যরকম ‘জোশ’ এনে দিতে পেরেছেন মুকুল রায় বলেই তাঁর নামে বিভিন্ন অভ্যন্তরীণ সাংগঠনিক রিপোর্ট গেছে বিজেপির কেন্দ্রীয় শীর্ষনেতাদের কাছে। সবথেকে বড় কথা বিজেপি দলীয় স্তরেই স্বীকার করে নেওয়া হচ্ছে, যেখানে এককালে দলের পতাকা ধরার লোক পাওয়া যেত না, সেখানেও মুকুল রায়ের সভায় উপচে পড়া ভিড়, আর সেটাও হচ্ছে বিরোধী শিবিরের প্রবল সর্বশক্তি দিয়ে সেই সব সভা ভণ্ডুল করার প্রচেষ্টা সত্ত্বেও।

সবথেকে বড় কথা, মুকুল রায় সন্তপর্ণে সংখ্যালঘু সাম্প্রদায়কেও নাকি বিজেপির কাছাকাছি নিয়ে আসছেন। বিজেপি মানেই অতি হিন্দুত্ত্ববাদী দল আর তাই এতদিন পশ্চিমবঙ্গে সংখ্যালঘু ভোট পাওয়া থেকে ব্রাত্য থাকত বিজেপি। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেসে থাকার সময় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের খুব ‘কাছের মানুষ’ ছিলেন মুকুলবাবু, আর তাই বিজেপিতে আসার পরেও তাঁরা সেই সংযোগ ছিন্ন করেননি। সবথেকে বড় উদাহরণ, পাঁশকুড়ার আনিসুর রহমান তাঁর হাত ধরেই সরাসরি বিজেপিতে যোগদান করেন। শিক্ষিত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মধ্যেও মুকুল রায় ও বিজেপির গ্রহণযোগ্যতা ক্রমশ উর্ধমুখী বলেই দলের অভ্যন্তরীণ রিপোর্ট বলে জানা যাচ্ছে। সবমিলিয়ে এই অল্প কদিনেই নিজের ‘যোগ্যতা’ প্রমানে চূড়ান্ত সফল মুকুল রায়। আর তাই, সূত্রের খবর, এক সাথে তিন পুরস্কার মিলতে চলেছে তাঁর।

১. এপ্রিলেই রাজস্থান থেকে রাজ্যসভার সাংসদ পদ
২. কেন্দ্রীয় মন্ত্রীত্ত্ব (এখনও কিছু ঠিক না হলেও রেলের কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী হতে পারেন বলে জল্পনা)
৩. কেন্দ্রীয় স্তরের কোনো বড় পদ দিয়ে বাংলার বিশেষ পর্যবেক্ষকের দায়িত্ত্ব

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!