এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > নন্দীগ্রামকে নিজের বলা শুভেন্দুকে কড়া আক্রমণ মমতার!

নন্দীগ্রামকে নিজের বলা শুভেন্দুকে কড়া আক্রমণ মমতার!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –নন্দীগ্রাম আন্দোলন থেকেই উত্থান হয়েছিল শুভেন্দু অধিকারীর। তারপর ক্রমশ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছত্রছায়ায় চলে যান তিনি। পরবর্তীতে আর শুভেন্দু অধিকারীকে পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি‌। মেদিনীপুর, নন্দীগ্রাম বলতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল কংগ্রেস ভরসা করত অধিকারী পরিবারকে। শুধু মেদিনীপুর নয়, রাজ্যের যেখানে যেখানে তৃণমূল কংগ্রেস সমস্যার মুখে পড়েছিল, সেখানে মুশকিল আসান হয়ে উঠেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু কিছুদিন আগেই ছন্দপতন ঘটেছে।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিশ্বস্ত শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে যোগদান করেছেন ভারতীয় জনতা পার্টিতে। আর তারপর থেকেই নন্দীগ্রাম আন্দোলনকে নিজের বলে দাবি করতে শুরু করেছিলেন শুভেন্দুবাবু। নন্দীগ্রাম দিবসের দিন ক্ষমতায় আসার পর থেকে তৃণমূলের কেউ না আসলেও, কেন এখন সকলকে আসতে হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছিলেন তিনি। পাশাপাশি নন্দীগ্রাম আন্দোলনকে নিজের বলেও দাবি করতে দেখা যায় শুভেন্দু অধিকারীকে। যার পাল্টা জবাব দিয়েছিল তৃণমূল নেতৃত্ব। কিন্তু এতদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে দেখা যায়নি।

অবশেষে আজ নন্দীগ্রামের মাটিতে পা রেখে সভা করে সেই নন্দীগ্রাম আন্দোলন নিয়ে মন্তব্য করলেন তৃণমূল নেত্রী তথা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীকে কটাক্ষ করলেন তিনি বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সূত্রের খবর, এদিন তেখালি বাজার মাঠে সভাস্থলে গিয়ে বক্তব্য রাখতে উঠে নন্দীগ্রাম আন্দোলন নিয়ে মন্তব্য করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “এই আন্দোলনে শহীদ হয়েছিলেন 14 জন মানুষ। অনেক বাধা টপকে রাত দুটোয় যখন আমি নন্দীগ্রামে পৌঁছয়, তখন এখানে আমি কাউকে দেখতে পাইনি। আমি কাউকে জ্ঞান দেব না। নন্দীগ্রাম আন্দোলন কে করেছে, কারা করেছে, সবাই জানে। সেই সব দিন আমি দেখেছি।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

একাংশ বলছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই মন্তব্য করে শুভেন্দু অধিকারীকে বার্তা দিতে চাইলেন। কেননা শুভেন্দুবাবু বিজেপিতে যোগদানের পর থেকেই নন্দীগ্রামের কথা তুলে ধরে তৃণমূল এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করতে শুরু করেছেন। যার ফলস্বরুপ এদিন সেই নন্দীগ্রামের মাটিতে দাঁড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই মন্তব্যের মধ্যে দিয়ে বুঝিয়ে দিতে চাইলেন, কে আন্দোলন করেছে, তা ঠিক করবে সাধারণ মানুষ। পাশাপাশি অতীতের কথা তুলে ধরে তিনি যখন আন্দোলন করেন, তখন তিনি কাউকে পাশে পাননি বলে অধিকারী পরিবারকেও বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করলেন তৃণমূল নেত্রী বলে মত বিশেষজ্ঞদের।

পর্যবেক্ষকদের একাংশ বলছেন, বর্তমানে নন্দীগ্রাম ইস্যু রাজ্য রাজনীতিতে আবার সেন্টিমেন্টের আকার ধারণ করতে শুরু করেছে। শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগদানের পর এই নন্দীগ্রাম নিয়ে দড়ি টানাটানি শুরু হয়েছে তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে। বলা ভালো, তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে এই নন্দীগ্রাম ইস্যু নিয়ে লড়াই অপেক্ষা সেই লরাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বনাম শুভেন্দু অধিকারীর হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই এমন পরিস্থিতিতে এতদিন শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্যের জবাব দিতে দেখা যেত তৃণমূলের নানা নেতা-নেত্রীকে। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একবারটি শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যকে খন্ডন করুন, এমনটাই চাইছিলেন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা।

অবশেষে এই ব্যাপারে নন্দীগ্রামের মাটিতে দাঁড়িয়ে মুখ খুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে কারও নাম না নিলেও নন্দীগ্রামের আন্দোলনের কথা তুলে ধরে তিনি বুঝিয়ে দিলেন, তিনি এখনও পর্যন্ত নন্দীগ্রামকে ভোলেননি। স্বভাবতই গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যের পর এখন উত্তাল হয়ে উঠেছে রাজ্য রাজনীতি। দেখার বিষয়, নন্দীগ্রাম নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ধরনের মন্তব্য করার পর শুভেন্দু অধিকারী বা বিজেপির পক্ষ থেকে পাল্টা কোনো মন্তব্য করা হয় কিনা! যার দিকেই নজর থাকবে গোটা রাজনৈতিক মহলের।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!