এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ ছাড় দিলনা প্রশাসনকেও, গুলি খেতে হল পুলিশ আধিকারিককে

শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ ছাড় দিলনা প্রশাসনকেও, গুলি খেতে হল পুলিশ আধিকারিককে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এই মুহূর্তে রাজ্য রাজনীতিতে অন্যতম সমালোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষজ্ঞরা প্রায় সবাই একমত, একুশের বিধানসভা নির্বাচনের ক্ষেত্রে তৃণমূল শিবিরের সবথেকে বড় দুর্বলতা হলো এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। যখন অন্যান্য রাজনৈতিক দল তাঁদের সংগঠনের পরিধি আরো জোরদার করছে, সে সময় শাসক দলের সংগঠন ক্রমশ ভেঙে পড়ার মুখে গোষ্ঠীকোন্দলের সুযোগে। আর এবার তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর গন্ডগোলের জেরে তুলকালাম কান্ড হলো ক্যানিংয়ের গোলাবাড়ি এলাকায়। পরিস্থিতি এমনই হয়ে যায় যেখানে পুলিশ আধিকারিককে পর্যন্ত গুলি খেতে হয় বলে সূত্রের খবর।

দীর্ঘদিন যাবত এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সামাল দেওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রী নিজে আসরে নেমেছেন। বারংবার তিনি আবেদন করে যাচ্ছেন, গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বন্ধ করার জন্য। কিন্তু তাতে যে কাজের কাজ কিছুই হয়নি, সে কথা স্পষ্ট তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দের বহর দেখে। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূলের মাদার এবং যুব সংগঠনের সংঘর্ষ সুপরিচিত। এবার ক্যানিং্যের গোলাবাড়িতে দুই গোষ্ঠীর হাতাহাতি পৌঁছে গেল বোমাবাজিতে, আর তাতেই আহত হলেন বেশ কয়েকজন তৃণমূল কর্মী। পাশাপাশি সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে তৃণমূলের হাতে আক্রান্ত হতে হলো পুলিশকেও। ইতিমধ্যেই এক পুলিশ আধিকারিকের পায়ে গুলি লেগেছে বলেও শোনা যাচ্ছে। আহতরা প্রত্যেকে এই মুহূর্তে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি।

তবে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা মাথাচাড়া দিলেও এলাকার নেতারা কিন্তু সেকথা মোটেই মানছেন না। তাঁদের দাবি, বাইরে থেকে সমাজবিরোধীরা এসে এলাকায় গন্ডগোল করেছে। সূত্রের খবর, রবিবার ক্যানিংয়ের দলীয় সভা করেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সেই সভায় উপস্থিত ছিলেন দুই পক্ষই, তবে পার্থ চট্টোপাধ্যায় সভা করে যাবার পর থেকেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। অভিযোগ, প্রতি অভিযোগ শুরু হয়, সেখান থেকে এলাকার মাদার এবং যুব তৃণমূলের নেতাদের সঙ্গে শুরু হয় তুমুল বাদানুবাদ। পরিস্থিতি একসময় চরমে ওঠে। হঠাৎ করেই শুরু হয় গুলি-বোমা ছোঁড়াছুঁড়ি। প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, যুব তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি এবং তৃণমূল মাদার সংগঠনের সভাপতি একে অপরের দিকে গুলি ছোঁড়েন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এলাকার অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি সামাল দিতে পৌঁছায় বিশাল পুলিশবাহিনী। কিন্তু হামলাকারীদের দুইপক্ষ এতটাই উত্তেজিত ছিল যে তাঁরা পুলিশ আধিকারিককেও আক্রমণ করতে পিছপা হয়নি। এক পুলিশ অফিসারের পায়ে গুলি লেগেছে বলে শোনা যাচ্ছে। এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। অন্যদিকে বিরোধীদের দাবি, দীর্ঘদিন ধরেই এলাকায় শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চলছে। তবে স্থানীয় তৃণমূল নেতারা এই অভিযোগ মোটেই মানছেন না।

এ প্রসঙ্গে স্থানীয় তৃণমূল নেতা পরেশরাম দাস জানিয়েছেন, কে বা কারা এই ঘটনার জন্য দায়ী তা জানা যায়নি, তবে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। পুলিশি সূত্রে বলা হয়েছে, দোষীদের অবশ্যই শাস্তি দেওয়া হবে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত পুলিশের হাতে কোন দোষী ধরা পড়েনি। আপাতত এলাকা পুরোপুরি থমথমে হয়ে রয়েছে। পাশাপাশি তৃণমূল শিবিরের উচ্চমহল থেকেও এই ঘটনায় কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। তবে রাজনৈতিক মহলের অনেকেই মনে করছেন একুশের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বই না তাদের মসনদচ্যুত করে!

 

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!