প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আগামী বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে মুখ্যমন্ত্রীকে তীব্র কটাক্ষ বিজেপির জনৈক মন্ত্রীর। আগামী বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে প্রচন্ড রকম তরজা শুরু হয়েছে একাধিক রাজনৈতিক দলের মধ্যে। সেই সঙ্গে বাড়ছে এক দলের নেতা-নেত্রীকে আক্রমণ করে অপর দলের নেতা-নেত্রীর অভিযোগ, কটাক্ষের পালা। এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মুসলমান জঙ্গি বলে তীব্র কটাক্ষ করলেন উত্তর প্রদেশের সংসদ বিষয়ক রাষ্ট্রমন্ত্রী আনন্দ স্বরূপ শুক্ল।

প্রসঙ্গত, উত্তর প্রদেশের সংসদ বিষয়ক রাষ্ট্রমন্ত্রী আনন্দ স্বরূপ শুক্ল ইতিপূর্বে বহুবার বহু বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন। সম্প্রতি তিনি জানালেন যে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হলেন সম্পূর্ণভাবে বাংলাদেশি। বাংলাদেশের মুসলিম জঙ্গিদের অঙ্গুলিহেলনে তিনি কাজ করে থাকেন। ভারতের পক্ষে সবচেয়ে বড় বিপদ তিনি। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যে, পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে পরাজয়ের পর মুখ্যমন্ত্রীকে বাংলাদেশে আশ্রয় নেবার জন্য তৈরি থাকতে।

মুখ্যমন্ত্রীকে তীব্র কটাক্ষ করে তিনি আরও জানালেন যে, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কখনোই ভারতীয়ত্বে বিশ্বাসী নন। তিনি হিন্দু দেব-দেবীদের সম্মান করেন না। তিনি হলেন একজন মুসলমান জঙ্গী। একারণেই তিনি পশ্চিমবঙ্গের মন্দির ভেঙেছেন, দেবদেবীদের অসম্মান করেছেন। বাংলাদেশের হয়ে তিনি কাজ করছে বলেছেন, বলে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন। তিনি আরো জানিয়েছেন যে, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের যেসকল মানুষেরা ভারত মাতার জয়, বন্দে মাতরম বলে থাকেন, তাঁদের এদেশে সম্মান দেয়া হবে।

প্রসঙ্গত, উত্তরপ্রদেশের মন্ত্রী আনন্দ স্বরূপ শুক্ল বহুবার বিতর্কিত ও বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন। দেশের প্রথম শিক্ষামন্ত্রী মৌলানা আবুল কালাম আজাদকে নিয়েও কটাক্ষ করেছেন। তিনি ভারতীয় ছিলেন কিনা? তা নিয়ে তিনি প্রশ্ন তুলেছিলেন। উত্তরপ্রদেশের বালিয়ার এক অনুষ্ঠান থেকে তিনি জানিয়েছিলেন যে, তিনি এটা বলতে বিন্দুমাত্র ইতস্তত বোধ করেন না যে, মৌলানা আবুল কালাম আজাদের মনে ভারত ও ভারতীয়ত্বের কোন স্থান ছিল না।

ঐতিহাসিক প্রসঙ্গ তুলে তিনি জানিয়েছিলেন যে, মোগল সম্রাট ঔরঙ্গজেব এর হাত থেকে রক্ষা পেতে কাশ্মীরের পণ্ডিতরা শিখ গুরু তেগ বাহাদুরের কাছে আর্জি জানিয়েছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন ঔরঙ্গজেব তাদেরকে জোর করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করাবার চেষ্টা করছেন। কাশ্মীরি পণ্ডিতদের উদ্ধার করতে গিয়ে ধরা পড়েছিলেন শিখ গুরু তেগ বাহাদুর মোগলদের হাতে। তাঁর শিরচ্ছেদ করা হয়েছিল।

বিজেপি মন্ত্রীর অভিযোগ, এই সমস্ত তথ্য ইতিহাস থেকে হয়েছে। সম্ভবত দেশের প্রথম শিক্ষামন্ত্রী আবুল কালাম আজাদের প্রচেষ্টাতেই ইতিহাস থেকে এগুলি সরিয়ে দেয়া হয়েছে। তিনি জানান, ইতিহাসে শুধু একটা তথ্য রাখা হয়েছে। যা হল আকবর ছিলেন একজন মহান শাসক। কিন্তু সে সময়কার আইন-ই-আকবরী বা সমসাময়িক ঐতিহাসিকেরা কেউ আকবরকে মহান বলে কখনোই সম্বোধন করেননি। এমনই গুরুতর অভিযোগ করেছেন উত্তরপ্রদেশের মন্ত্রী আনন্দ স্বরূপ শুক্ল।