এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > অমানবিক চিত্র খোদ কলকাতাতেই! করোনা জয়ী নার্সকে হয় চাকরি অথবা পাড়া-ছাড়া করতে চান প্রতিবেশীরা

অমানবিক চিত্র খোদ কলকাতাতেই! করোনা জয়ী নার্সকে হয় চাকরি অথবা পাড়া-ছাড়া করতে চান প্রতিবেশীরা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্যে করোনা পরিস্থিতির প্রথম থেকেই শুরু হয়েছে সামাজিক ছুঁৎমার্গ। শিক্ষার আলোকে আলোকিত হয়েও সমাজের উচ্চ শিক্ষিত মানুষরা যে এখনো বহুযুগ পেছনে রয়েছে, তা করোনা না আসলে বোধহয় জানাই যেতনা। কিছুদিন ধরেই খবরে উঠে আসছে একের পর এক করোনা যোদ্ধাদের সামাজিকভাবে কোণঠাসা করার ঘটনা। নার্স, ডাক্তার, হাসপাতালে অন্যান্য কর্মীদের নিত্যদিন কোণঠাসা হতে হচ্ছে তাঁদের নিজের প্রতিবেশীদের কাছে, নিজের এলাকায়।

এধরনের ঘটনা আটকানোর জন্য বহুবার সাধারণ মানুষের কাছে আবেদন করা হচ্ছে। কিন্তু তাতে যে বিশেষ কিছু ফল হচ্ছেনা, তা প্রমাণ হলো আবার। সম্প্রতি কলকাতার বুকে এ রকমই একটি ঘটনা ঘটল। করোনা থেকে নিষ্কৃতি পেয়ে বাড়ি ফিরে আসেন আলিপুর কমান্ড হাসপাতালের একজন নার্স। কিন্তু তারপর থেকেই এলাকার প্রতিবেশীরা তাঁকে পাড়াছাড়া করতে উঠে পড়ে লেগেছে বলে জানা গেছে। এই নার্স বাস করেন বেহালার রায়বাহাদুর রোডে।

প্রতিবেশীদের ধমকি শুনতে শুনতে ক্রমশ ধৈর্য হারিয়ে সোমবার বেহালা থানার দ্বারস্থ হন এই নার্স। সূত্রের খবর, গত 10 তারিখে করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন বেহালা নিবাসী আলিপুর কমান্ড হাসপাতালে কর্মরত এই নার্স। তাঁর করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসলেও তাঁর স্বামী এবং ছেলে কিন্তু নেগেটিভ প্রমাণিত হন। এরপর কুড়ি তারিখ সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে করোনাকে হারিয়ে করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট নিয়ে বাড়ি ফেরেন। অন্যদিকে তাঁর স্বামী এবং ছেলেও দীর্ঘসময় হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু বাড়ি ফেরার পর থেকেই পাড়া-প্রতিবেশীদের ক্ষোভের মুখে পড়েন নার্স এবং তার পরিবার পরিবারসহ তাঁকে পাড়া ছেড়ে চলে যেতে বলা হয়। এমনকি তিনি জানিয়েছেন, তাঁর বাড়ি থেকে যাতে জঞ্জাল পরিষ্কার না হয়, সেই অনুযায়ী পৌরসভার সাফাই কর্মীদের নির্দেশও দেওয়া হচ্ছে। লাগাতার তিন-চারদিন এই পরিস্থিতি কাটাবার পর সোজাসুজি বেহালা থানার দ্বারস্থ হয় ওই পরিবার। পুলিশ গিয়ে পাড়া-প্রতিবেশীদের বুঝিয়ে আসলেও পরিস্থিতি একই রকম থাকে বলে জানা যায়।

তাই সোমবার আবার ওই নার্সের ছেলে থানায় হাজির হন। এবার পুলিশ অবশ্য তাঁদের নিরাপত্তার আশ্বাস দিয়েছে। অন্যদিকে প্রতিবেশীদের মনোভাব বদলাবার নয়, এই অবস্থায় নার্স পরিবারটির ওই পাড়ায় টিকে থাকাই এই মুহূর্তে দায় হয়ে উঠেছে। অন্যদিকে রাজ্যের সুশীল সমাজ এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন। রাজ্যের করোনা যুদ্ধের সামনের সারির যোদ্ধারাই যদি এভাবে হয়রানির শিকার হয়, তাহলে যুদ্ধক্ষেত্রে তাঁদের লড়াই অনেকটা কমজোরি হয়ে পড়বে বলে মনে করছেন অনেকেই। আবার অন্যরকম ছবিও ধড়া পড়ছে কোথাও কোথাও।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!