এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > 2014 সালের পর পরিস্থিতি পাল্টেছে, ভেঙে ফেলা হয়েছে দুর্নীতির নেটওয়ার্ক: নরেন্দ্র মোদী

2014 সালের পর পরিস্থিতি পাল্টেছে, ভেঙে ফেলা হয়েছে দুর্নীতির নেটওয়ার্ক: নরেন্দ্র মোদী

 

শেষ মুহূর্তে ঝাড়খন্ড বিধানসভা নির্বাচনের জমে উঠেছে প্রচার। বিজেপিকে চাপে রাখতে যখন এখানে প্রচার করতে শুরু করেছে, বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো ঠিক তখনই প্রচারে নেমে কার্যত বিরোধীদের দুর্নীতিপরায়ন দল বলে কটাক্ষ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

সূত্রের খবর, সোমবার কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীর পাশাপাশি ঝাড়খন্ডে প্রচার করেন প্রধানমন্ত্রী। যেখানে বোকারো কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী বি নারায়নের সমর্থনে একটি সভায় উপস্থিত হয়ে নারেন্দ্র মোদী বলেন, “কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন জোট যদি ক্ষমতায় আসে, তাহলে রাজ্যকে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে ঠেলে দেবে। অন্ধকারে ডুবে যাবে গোটা রাজ্য। এই জোট সম্পর্কে মানুষকে সতর্ক হতে হবে। রাজ্যবাসীকে একমাত্র বিজেপিই স্থায়ী সরকার দিতে পারে। রাজ্যে বিজেপি সরকার আসার পর দুর্নীতির মেরুদণ্ড ভেঙে দিয়েছি।”

বাড়ি নির্মাণ, রেশন কার্ড, গ্যাস সংযোগ বিভিন্ন সামাজিক প্রকল্প পাইয়ে দেওয়ার নাম করে কংগ্রেস এবং আরজেডি মিডলম্যানের কাজ করেছে বলে অভিযোগ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যখন দেশজুড়ে নানা কেলেঙ্কারিতে বিরোধীরা কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে কাঠগড়ায় তুলছে, যখন অর্থনৈতিক মেরুদণ্ড চলছে বলে দাবি করছে বিরোধীরা, ঠিক তখনই ঝাড়খন্ড বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে এসে নিজেদের সমস্ত অভিযোগ ঝেড়ে ফেলে দিয়ে, সেই বিরোধীদেরই দুর্নীতিগ্রস্ত দল বলে কটাক্ষ করার চেষ্টা করলেন নরেন্দ্র মোদি। এদিন তিনি বলেন, “ঝাড়খন্ড বাসীকে শুধু স্থায়ী সরকার নয়, মানুষের চাহিদা এবং দাবি পূরণ বিজেপিই করতে পারে।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে কর্নাটকে জয়লাভ করা নিয়েও সাধারণ মানুষকে শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিকে প্রধানমন্ত্রী যখন কংগ্রেসকে দুর্নীতি পরায়ন দল বলে কটাক্ষ করছেন, ঠিক তখনই পাল্টা ময়দানে নেমে বিজেপিকে একহাত নিলেন কংগ্রেসের যুবরাজ রাহুল গান্ধী।

হাজারীবাগ জেলার বরকাগাওযে এক নির্বাচনী সভা থেকে রাহুল গান্ধী বলেন, “রাজ্যের মানুষের জমি বিজেপি কেড়ে নিচ্ছে। কংগ্রেস জেএমএম ও আরজেডি আসলে সেই অবস্থার পরিবর্তন করা হবে। কৃষকদের দু লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ মুকুব করে দেওয়া হবে। রাজ্যের চাষিদের থেকে নূন্যতম সহায়ক মূল্য আড়াই হাজার টাকা দরে ধান কেনা হবে‌। এবারের নির্বাচনে জোট সরকার ক্ষমতায় এলে ঝাড়খণ্ডের কৃষকরা সেই সুবিধা পাবেন।”

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশের এই টালমাটাল পরিস্থিতিতে ঝাড়খন্ড বিধানসভা নির্বাচন অনেক ক্ষেত্রেই দেশের রাজনৈতিক অবস্থান স্পষ্ট করে দেবে। তাই সেদিক থেকে শাসক দল বিজেপি এবং বিরোধী দল কংগ্রেস রাজ্যে ভালো ফল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। তাই দুই দলের দুই হেভিওয়েট শীর্ষ নেতা একই দিনে সভা করে একে অপরকে কটাক্ষ করে শোরগোল তুলে দেওয়ার চেষ্টা করেন। তবে শেষ পর্যন্ত কাদের উপর ভরসা রাখেন ঝাড়খণ্ডের মানুষ! তা ভোটবাক্স খোলার পরেই বোঝা যাবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!