ভারতী ঘোষকে ধরতে আদালতের কাছে বিশেষ আর্জি নিয়ে হাজির গোয়েন্দারা কলকাতা মেদিনীপুর রাজ্য July 4, 2018 বিগত ১৪৮ দিন সমস্ত কিছুই নীরবে নিভৃতেই ছিল। কিন্তু হঠাৎ গত শুক্রবার সেই নীরবতার বেড়াজাল থেকে বেরিয়ে ঠিক ১৪৯ দিনের মাথায় প্রাক্তন পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট পেশ করে রাজ্যের গোয়েন্দাসংস্থা আবেদন করে যে, ভারতী ঘোষকে “পলাতক আসামী” রূপে ঘোষনা করা হোক এবং সোনা-লুট ও প্রতারনার মামলার পরিপ্রেক্ষিতে পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুর থানায় এই প্রাক্তন পুলিশ সুপারের নামে সমন জারির আবেদনে সিলমোহর দেওয়া হোক। কিন্তু এতদিন পরে কেন ঘুম ভাঙল সিআইডির? আর হঠাৎ এহেন আবেদনই বা কেন? প্রশ্ন উঠছে রাজনৈতিক মহলে। এ প্রসঙ্গে সিআইডি আধিকারিকদের যুক্তি, কারও বিরুদ্ধে সমন জারি হলে নির্দিষ্ট দিনের মধ্যে তাঁকে আত্মসমর্পন করতেই হবে এবং যদি সেই অভিযুক্ত তাও যদি ধরা না দেন তবে তাঁর স্থাবর-অস্থাবর সমস্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে সংশ্লিষ্ট ‘নিখোঁজ অভিযুক্তের’ ছবি বিভিন্ন জায়গায় সেঁটে দেওয়া হয়। এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে সূত্রের খবর, দিল্লী-গুজরাত সহ বিভিন্ন জায়গায় ‘নিখোঁজ’ ভারতী ঘোষের তল্লাশি করলেও তাঁর কোনোও নাগালই পাওয়া যায়নি। প্রসঙ্গত, রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থার অভিযোগ, ২০১৬ সালে পশ্চিম মেদিনীপুরের তৎকালীন পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষ নোটবন্দীর সময়কালে বাতিল হয়ে যাওয়া ৫০০ টাকার নোট দিয়ে বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে মোট ৭০ কোটি টাকার সোনা কিনেছিলেন, এমনকী সোনা নিয়েও তিনি কোনোও টাকা দেননি বিভিন্ন জনকে। আর এরপরেই ভারতী ঘোষের নামে দাসপুর থানায় এক ব্যাবসায়ী অভিযোগ দায়ের করেন। এদিকে শুধু ভারতী ঘোষই নয়, তাঁর স্বামী এমভি রাজু এবং মাদুরদহের ফ্ল্যাটের কেয়ারটেকার রাজমহল সিংও এই লুটের চক্রে জড়িত বলে অভিযোগ তদন্তকারী সংস্থার। এই সবের পরিপ্রেক্ষিতে সিআইডির অভিযোগ, তথ্যপ্রমানের ভিত্তিতে দেখা গেছে যে এই ঘটনায় ভারতী ঘোষই মূল অভিযুক্ত, তাই তাঁর নাম চার্জশিটে রয়েছে কিন্তু তিনি যেহেতু কিছুতেই সামনে আসছেন না তাই আদালতের কাছে তাঁকে ‘পলাতক আসামির’ তকমা দেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে। তবে সিআইডির এই সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে ভারতী ঘোষের আইনজীবী জানিয়েছেন, আমার মক্কেল, তাঁর স্বামী ও বাড়ির কেয়ারটেকারের বিরুদ্ধে আনা সমস্ত অবিযোগই ভিত্তিহীন, উচ্চ আদালতে জানানো হয়েছে। শীঘ্রই আইনি প্রক্রিয়া শুরু হবে।কিন্তু সব মিলিয়ে সিআইডির এই নতুন পদক্ষেপ ভারতী ঘোষকে যে বেশ বিড়ম্বনায় ফেলে দিল এমনটাই মনে করছেন সংশ্লিষ্ট মহলের বিশেষজ্ঞরা। আপনার মতামত জানান -