প্রধানমন্ত্রী পদে আর এক দাবিদার সামনে এলেন ,দেখে নিন কে? জাতীয় July 13, 2018 আসন্ন লোকসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজ্য রাজনীতির নানা মহলে রাজনৈতিক ভাবনা চিন্তা এবং সম্ভবনা সব কিছু নিয়েই জোর জল্পনা শুরু হয়েছে। একই রকম ঘটনা উত্তরপ্রদেশ রাজ্যেও। দেখানে বহুজন সমাজ পার্টির (বসপা) সুপ্রিমো মায়াবতীর ( দল এবং রাজনৈতিক মহলে বহেন’জী নামেই অধিক পরিচিত।) রাজনৈতিক ভবিষ্যত নিয়ে তাঁর দলেরই নেতা – কর্মীরা আগাম চিন্তা ভাবনা শুরু করে দিয়েছেন। দলেরই এক নেতা এদিন প্রকাশ্যে দাবি করলেন, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বহেনজিই প্রধানমন্ত্রী-মুখ। তিনি ভোটে লড়লে দলের কাছেও সেই বার্তা যাবে। তাতে আরও চাঙ্গা হবে দল। বহেনজিও বোঝাতে পারবেন, নরেন্দ্র মোদীর মোকাবিলায় তিনি গুরুত্বপূর্ণ মুখ। সে কারণেই তাঁর জন্য নিরাপদ আসন খোঁজা হচ্ছে। প্রসঙ্গতঃ সম্প্রতি রাজ্যের উপ নির্বাচনে বসপা, এবং সমাজবাদী পার্টি (সপা) জোটের সাফল্যের পরে আগামী নির্বাচন বিষয়ে দুই দলের সকল নেতাই চুড়ান্ত আশাবাদী। এদিকে বসপা সূত্রের খবর, বহেনজির ‘ইচ্ছা’ অনুসারে তাঁর জন্য দু’টি আসন খোঁজার প্রক্রিয়াও শুরু হয়ে গিয়েছে। যার মধ্যে একটি অম্বেডকরনগর, অন্যটি বিজনৌর। উল্লেখ্য মায়াবতী তাঁর রাজনৈতিক জীবনের শৈশবে বিজনৌর কেন্দ্র থেকে এক বার বিজয়ী হয়েছিলেন। আর অম্বেডকরনগর থেকে চার বার সাংসদ হন বহেন’জি। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে ——————————————————————————————- এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে। অন্যদিকে সপা’র প্রধান অখিলেশ যাদব , কনৌজ থেকে লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা কররা কথা ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন। তবে এই বার মায়াবতী অনেকদিন পর তাঁর রণকৌশল বদল করেছেন বলে জানা যাচ্ছে। ২০০৪ সালের পরে তিনি লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেননি। এরপরে ২০০৭ সালে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর ঠিক করেছিলেন, আর লোকসভা ভোটে লড়বেন না। তার পর থেকে রাজ্যের বিধান পরিষদ ও কেন্দ্রে রাজ্যসভা থেকেই ধারাবাহিকভাবে জয়লাভ করেছেন। এই বছরেই তিনি রাজ্যসভার আসন ছেড়ে দেন। জোট সমীকরণ এবং আসন সমঝোতা প্রসঙ্গে দিল্লীর এক কংগ্রেস নেতা বললেন, ”লোকসভা ভোটে মোদীকে পরাস্ত করতে অবশ্যই সব বিরোধী দল একজোট হয়ে লড়বে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী হবেন রাহুল গাঁধীই। অখিলেশ যাতে ভবিষ্যতে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেন, তাই মায়াবতীকে অবশ্যই পরের কেন্দ্রীয় সরকারে শরিক করা হবে।” এখন দেশের প্রধানমন্ত্রী কে হবেন তা জানার জন্যে কিছু সময় অপেক্ষা করা ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। আপনার মতামত জানান -