এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > নজরে বিধানসভা ভোট! বিজেপি না পারলে গেরুয়া শিবিরের অন্য অংশ ঝড় তোলার পরিকল্পনায়!

নজরে বিধানসভা ভোট! বিজেপি না পারলে গেরুয়া শিবিরের অন্য অংশ ঝড় তোলার পরিকল্পনায়!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বহু প্রতিক্ষিত অযোধ্যায় রাম মন্দিরের ভূমি পুজো বুধবার অনুষ্ঠিত হয়ে গেল। সারা রাজ্যের বিভিন্ন জেলাতে লকডাউন থাকা সত্ত্বেও, সেই ভূমি পূজা উপলক্ষে পূজার্চনায় মাততে দেখা গেল বিজেপি নেতাদের। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে রাম মন্দিরের শিলান্যাসে সেদিন নদীয়ার প্রায় কোনোখানেই বিজেপি নেতা কর্মীদের দেখা গেল না। এর জন্য অনেকে লকডাউনকে প্রধান কারণ বলে মনে করলেও, নদীয়ার উত্তরে এখনও পর্যন্ত যে বিজেপির সাংগঠনিক শক্তি প্রতিফলিত হচ্ছে না, তা স্বীকার করে নিচ্ছেন অনেকেই।

যার ফলে বিভিন্ন কর্মসূচি করতে গিয়ে হোঁচট খেতে হচ্ছে ভারতীয় জনতা পার্টিকে। বলা বাহুল্য, গত লোকসভা নির্বাচনে রানাঘাটে বিজেপি ভালো ফল করলেও, নদীয়ার উত্তরে মুসলিম ভোট তাদের পথে অন্যতম কাটা হয়ে গিয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে শুধু মুসলিম ভোট নয়, হিন্দু ভোটেরও একটা বিরাট অংশ বিজেপির দিকে নেই। তাই আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে নদীয়ার উত্তরে হিন্দুদের একটি মুসলিম বিরোধী অংশকে সংগঠিত করে নতুন আঙ্গিকে প্রচারে নামতে চাইছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ।

এক্ষেত্রে বিজেপির বিকল্প হিসেবে গেরুয়া শিবিরের পক্ষে কাজ করে তৃণমূল বিরোধী মনোভাব মানুষের মধ্যে জাগিয়ে তোলাই তাদের প্রধান লক্ষ্য বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ইতিমধ্যেই নদিয়া উত্তর সাংগঠনিক জেলার পর্যবেক্ষক করা হয়েছে মুসলিম মুখ হিসেবে পরিচিত মাফুজা খাতুনকে। জানা গেছে, হিন্দু জাগরণ মঞ্চের পাশাপাশি বিশ্ব হিন্দু পরিষদের পক্ষ থেকেও এখন নদিয়া উত্তরে সাংগঠনিক ভাবে বিজেপিকে শক্তিশালী করার কাজ শুরু করা হচ্ছে। যেখানে কালীগঞ্জ ব্লকে অন্তত 50 টি সমিতি গঠন করা হয়েছে বলে খবর।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ নদিয়া উত্তর সাংগঠনিক জেলার 14 টি প্রখণ্ডতে সমিতি গঠন করে ফেলেছে। যেখানে প্রতিটি সমিতিতে 12 থেকে 15 জন করে সদস্য আছেন বলে জানা গেছে। শুধু তাই নয়, বজরং দলের পক্ষ থেকেও নদিয়া উত্তর জেলার দশটি প্রখণ্ড সমিতি গঠন করা হয়েছে। এছাড়াও গণসংগঠন একল বিদ্যালয় 12 টি ব্লকে তাদের সংগঠন শক্তিশালী করার কাজ শুরু করেছে। অন্যদিকে আরএসএসের ছাত্রসংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ থেকে শুরু করে একাধিক গণসংগঠন এই ব্যাপারে ময়দানে নেমেছে।

স্বাভাবিকভাবেই নদিয়া উত্তর সাংগঠনিক জেলার বিজেপির শক্তি কিছুটা কম থাকলেও, এই সমস্ত সংগঠনের মধ্যে দিয়ে এবার আরএসএস যে পূর্ণমাত্রায় ঝাঁপিয়ে পড়তে চলেছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে মাফুজা খাতুনের মত সংখ্যালঘু মহিলা মুখকে এখানকার দায়িত্ব দিয়ে বিজেপি কিছুটা মাস্টারস্ট্রোক দিয়েছে বলেই মনে করছেন একাংশ। এদিন এই প্রসঙ্গে নদিয়া উত্তর সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি আশুতোষ পাল বলেন, “আমাদের দল সংখ্যালঘু-সংখ্যাগুরু ভাবনায় চলে না। মাফুজা খাতুন দক্ষ সংগঠক। সেই কারণে তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।”

তবে যে যাই বলুন না কেন, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ যেভাবে নদিয়া উত্তর সাংগঠনিক শক্তিশালী করতে বিজেপির পালে হাওয়া লাগাতে শুরু করেছে, তাতে বিজেপি এখানে অত্যন্ত শক্তিশালী হয়ে উঠবে বলেই মনে করছে গেরুয়া শিবিরের ঘনিষ্ঠ মহল। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!