এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > অনেক অপমান সহ্য করেছি। আর নয়।- দায়িত্ব ছাড়লেন হেভিওয়েট বিধায়ক, জল্পনা তুঙ্গে!

অনেক অপমান সহ্য করেছি। আর নয়।- দায়িত্ব ছাড়লেন হেভিওয়েট বিধায়ক, জল্পনা তুঙ্গে!

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  সামনেই 2021 এর বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে এখন তৃণমূল কংগ্রেস সব জায়গায় সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি করতে তৎপর হয়েছে। একের পর এক জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে দলের সংগঠন যারা শক্ত হাতে সামলাতে পারেন, তাদের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু এরই মাঝে হঠাৎ করে তৃণমূলের এক হেভিওয়েট বিধায়ক দলের সমস্ত সাংগঠনিক দায়িত্ব ছাড়ার কথা ঘোষণা করায় তৃণমূলের অনেক জল্পনা ছড়িয়ে পড়ল।

সূত্রের খবর, সম্প্রতি কোচবিহারের নতুন জেলা কমিটি ঘোষণা করা হয়। যেখানে বিধায়কের মতামত ছাড়াই এই কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে বলে সরব হয়েছেন কোচবিহার দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক মিহির গোস্বামী। আর তার এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করেই ব্যাপক জল্পনা তৈরি হয়েছে শাসকদলের অন্দরমহলে। কেন হঠাৎ করে এই কথা বললেন মিহির গোস্বামী! তা নিয়ে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন।

সূত্রের খবর, শনিবার একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন মিহির ঘোষ। আর সেখানেই এই জেলা কমিটি নিয়ে সরব হতে দেখা যায় তাকে। তিনি বলেন, “দলীয় অনুশাসন অনুযায়ী সাংগঠনিক বিষয়ে বিধায়কদের প্রস্তাব মেনে নেওয়ার কথা বলা হলেও বাস্তবে তা লংঘন করা হয়েছে। গত 18 তারিখ দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীকে আমার প্রস্তাব জানিয়ে দিয়ে এসেছি। কিন্তু তাতে যে কোনো ফল হয়নি, তা খুব স্পষ্ট। আমার মনে হচ্ছে দলে এখন আর আমার মত মানুষ একেবারে উপযুক্ত নয়। তাই সমস্ত সাংগঠনিক পদ থেকে আমি অব্যাহতি নিলাম।” এদিকে বর্তমানে যারা দল বিরোধী কাজ করছে, তাদেরই দলে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বলে সরব হচ্ছেন এই তৃণমূল বিধায়ক।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

মিহির গোস্বামী বলেন, “এখন যারা দল বিরোধী কাজ করছে, তারাই দলের নানা পদ অলংকিত করে রেখেছেন। যে নীতির প্রতি শ্রদ্ধা রেখে এতদিন দলনেত্রীর সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে পথ চলেছি। অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ভাবে এখন আর দলে তা নেই। স্বজনপোষণ ও গোষ্ঠী রাজনীতি চূড়ান্ত জায়গায় পৌঁছে যাওয়ার পর এখন এই দল থেকে আর আমার চাওয়া পাওয়ার কিছু নেই। নেত্রীর নির্দেশ পেলে বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিতে তৈরি আছি।”  স্বাভাবিকভাবেই হঠাৎ করেই মিহির গোস্বামীর মত পুরনো দিনের তৃণমূল কংগ্রেসের সৈনিক তথা বর্তমান বিধায়ক কেন এই ধরনের কথা বললেন, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে গুঞ্জন। তাহলে কি নতুন কোনো রাজনৈতিক ভবিষ্যতের দরজা খোলা রাখছেন মিহির গোস্বামী!

বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল সাংগঠনিক শক্তি বাড়াতে চাইলেও যেভাবে মিহির গোস্বামীর মত তৃণমূল বিধায়ক দলের বিরুদ্ধে মন্তব্য করলেন, তাতে তৃণমূল কংগ্রেস যে ব্যাপক চাপে পড়ল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। পাশাপাশি বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিরোধীরা যে ময়দানে নেমে ফায়দা তুলতে উদ্যোগী হবে, সেই বিষয়টি পরিস্কার রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের কাছে। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, মিহির গোস্বামীর মানভঞ্জন করতে তৃণমূল নেতৃত্বের পক্ষ থেকে কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!