এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > বিজেপি প্রার্থী সায়ন্তন বসুর বিরুদ্ধে সাত-সাতটি ধারায় মামলা করল বসিরহাট পুলিশ

বিজেপি প্রার্থী সায়ন্তন বসুর বিরুদ্ধে সাত-সাতটি ধারায় মামলা করল বসিরহাট পুলিশ


আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বাংলা থেকে বিজেপি শিবির যে কটি আসন জেতার সম্ভাবনা আছে বলে ভাবছে – তার মধ্যে বসিরহাট লোকসভা আসনটি অন্যতম। আর তাই সেখানে, নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহ এবার পদ্ম-প্রতীকে টিকিট দিয়েছেন রাজ্য বিজেপির অন্যতম লড়াকু ও জনপ্রিয় মুখ সায়ন্তন বসুকে। আর বিপক্ষে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী হিসাবে নুসরত জাহানের মত জনপ্রিয় অভিনেত্রী থাকলেও বিন্দুমাত্র ভাবিত নন বিজেপি প্রার্থী সায়ন্তন বসু। তাই বসিরহাটের কঠিন লড়াইয়ে গিয়েই, রিগিং রুখে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার করে লড়াইটা প্রথম থেকেই জমিয়ে দিয়েছেন তিনি।

গতকাল, নিজের নির্বাচনী ক্ষেত্র বসিরহাটের ভ্যাবলার মাঠে নির্বাচনী জনসভা থেকে তৃণমূল কংগ্রেস ও স্থানীয় দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে একের পর এক তোপ দাগেন সায়ন্তনবাবু। স্থানীয় দুষ্কৃতীদের কার্যত হুঙ্কারের সুরে জানান, এলাকার গুন্ডা মস্তানরা কান খুলে শুনে নিন – নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহ আমাকে এখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার নির্দেশ দিয়েছেন। আর সেটা আপনাদের মুখ দেখা জন্য নয়, আপনাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। যারা এখানে বেচাল করবে তাদের তালিকা তুলে দেব, কেন্দ্রীয় বাহিনী এসে বেচালদের চাল ঠিক করে দেবে। নির্বাচনের দিন বুথ যদি দখল করতে আসেন, সে শাজাহান হোক আর ঔরঙ্গজেব হোক, সিআরপিএফকে বলে দেব, গুলি যেন বুক লক্ষ্য করে যায়। গুলি যেন পা লক্ষ্য করে না যায়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী সায়ন্তন বসুর বিরুদ্ধে সাত-সাতটি ধারায় মামলা করল বসিরহাট পুলিশ। সূত্রের খবর, সায়ন্তনবাবুর বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে তাঁর বিরুদ্ধে – ১৮৮ বা উস্কানিমূলক মন্তব্য, ১১৫ বা অভিসন্ধি , ১৮৯ বা সরকারি আধিকারিকদের চমকানো, ১৭১-সি বা ভোটারদের চমকানো, ১২০-বি বা ষড়যন্ত্র , ৫০৬ বা নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধা দেওয়া এবং ১২৫ – নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধা দিতে সরাসরি মদত দেওয়ার মত গুরুতর ধারায় মামলা করেছে। এমনকি, এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এর আগেই শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস নির্বাচন কমিশন ও পুলিশে অভিযোগ করার কথা জানিয়েছিল।

তৃণমূল কংগ্রেস উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জানিয়েছিলেন, আমরা নির্বাচন কমিশন ও পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ করছি। যিনি কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দিয়ে গুলি করার হুমকি দেন, তাঁকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করতে হবে। উনি অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করলে জনগণই সোজা করে দেবে। এদিকে এই প্রসঙ্গে সায়ন্তনবাবু নিজে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, এর আগে রাজ্যে পনেরোটা জেলায় মামলা হয়েছে, এইটা ধরে ১৬ টা হল। পুলিশ মামলা করতেই পারে – মাথা গরম ছিল, হয়তো কিছু বলে ফেলেছি। বিজেপির নেতা, কর্মীরা দেওয়াল লিখতে পারছেন না। পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাচ্ছে, কিন্তু তাঁদেরই উল্টে কেস দিচ্ছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনকে সব জানিয়েছি। যদি ব্যবস্থা না হয়, বসিরহাটের বিজেপি নেতা-কর্মীদের নিয়ে কলকাতায় নির্বাচন কমিশনের দপ্তরে অবস্থান বিক্ষোভে বসব।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!