এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > বর্ধমান > পৌরভোটের প্রস্তুতি নিয়ে হেভিওয়েট মন্ত্রীর বৈঠক, বজায় রইল গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, অস্বস্তি তুঙ্গে!

পৌরভোটের প্রস্তুতি নিয়ে হেভিওয়েট মন্ত্রীর বৈঠক, বজায় রইল গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, অস্বস্তি তুঙ্গে!

গত লোকসভা নির্বাচনে অনেক আসনেই তৃণমূলের পরাজয়ের পেছনে যে কারণকে দায়ী করা হয়েছিল, তা হল তাদের ভেতরকার অনৈক্য এবং গোষ্ঠী কোন্দল। আর এবার কি পৌরসভা নির্বাচনেও তৃণমূলের চিন্তা বাড়াবে, দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব! এখন এই প্রশ্নই উঠতে শুরু করেছে সর্বত্র। বস্তুত, পূর্ব বর্ধমানের কালনা পৌরসভায় 12 টি ওয়ার্ড দখল করে সেখানে বোর্ড গঠন করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। যার চেয়ারম্যান হন দেবপ্রসাদ বাগ। তবে মাঝে মধ্যেই এই পৌরসভার চেয়ারম্যানের সঙ্গে তৃণমূল বিধায়ক বিশ্বজিৎ কুণ্ডুর দ্বন্দ্ব তৃণমূলকে অস্বস্তিতে ফেলেছে। ‌

কিন্তু পৌরসভা নির্বাচনে যাতে সেই দ্বন্দ্ব কোনভাবেই দাগ কাটতে না পারে, তার জন্য বুঝেশুনেই সম্প্রতি জেলা নেতাদের নিয়ে একটি বৈঠক করেন জেলা তৃণমূলের পর্যবেক্ষক তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। মঙ্গলবার ফিরহাদ হাকিমের ডাকা সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূলের সভাপতি স্বপন দেবনাথ, জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি দেবু টুডু, কালনা 2 ব্লক তৃণমূল সভাপতি প্রণব রায়, বিধায়ক বিশ্বজিৎ কুণ্ডু এবং কালনা পৌরসভার চেয়ারম্যান দেবপ্রসাদ বাগ। আর সেখানেই সকলকে একসঙ্গে চলার নির্দেশ দিয়ে কালনার পর্যবেক্ষক হিসেবে দেবু টুডুর নাম ঘোষণা করেন ফিরহাদ হাকিম।

পাশাপাশি আগামী 13 ফেব্রুয়ারি কালনাতে বিজেপির বিরুদ্ধে এনআরসি বিরোধী সভা করা হবে বলেও জেলা নেতাদের নির্দেশ দেন রাজ্যের পুরমন্ত্রী। কিন্তু পুরমন্ত্রীর সামনে এই বৈঠকে সকলে একবাক্যে মাথা নাড়ালেও, বাইরে বেরিয়ে এসেই বিধায়ক বনাম পৌরসভার চেয়ারম্যানের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসে বলে খবর। বিশেষ সূত্রের খবর, এই বৈঠক সমাপ্ত হওয়ার পরেই বিধায়ক বিশ্বজিৎ কুণ্ডু মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে জানিয়ে দেন যে, সেই সভায় যদি পৌরপ্রধান দেবপ্রসাদ বাগ থাকেন, তাহলে তিনি সেখানে থাকবেন না।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর পৌরসভা নির্বাচনের আগে খোদ তৃণমূলের শীর্ষ নেতা তথা মন্ত্রীর নির্দেশ সত্ত্বেও, যেভাবে বিধায়ক বনাম চেয়ারম্যানের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এল, তাতে তৃণমূলের ভাল ফল করা নিয়ে দলের অন্দরেই তৈরি হয়েছে সংশয়। এদিন এই প্রসঙ্গে দেবীপ্রসাদ বাগের বিরুদ্ধে সরব হয়ে বিধায়ক বিশ্বজিৎ কুণ্ডু বলেন, “আমি আগে ওর ব্যাপারে দলকে জানিয়েছি। তবে সভায় হাজির থাকব কিনা, রাতে স্বপনদার সঙ্গে বৈঠকের পরেই ঠিক করব।” এদিকে এই ব্যাপারে কালনা পৌরসভার চেয়ারম্যান দেবপ্রসাদ বাগ বলেন, “আমার কারো সঙ্গে সভা করতে বা হাটতে কোনো আপত্তি নেই। দল যেমন নির্দেশ দেবে, সেই মতই চলব।”

কিন্তু যেভাবে চেয়ারম্যানের সঙ্গে সভায় থাকতে আপত্তি করেছেন দলীয় বিধায়ক বিশ্বজিৎ কুণ্ডু, তাতে কি দলের চাপ বাড়ল না? এদিন এই প্রসঙ্গে কালনায়তৃণমূলের পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব পাওয়া দেবু টুডু বলেন, “বৈঠকে ববিদা সকলকে নিয়ে চলার নির্দেশ দিয়েছেন। 13 তারিখের সভায় কালনার বিধায়ক, পৌরপ্রধান সকলকেই ডাকা হবে।” রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দলীয় নেতৃত্বের নির্দেশ অমান্য করে যেভাবে তৃণমূল বিধায়ক দলের চেয়ারম্যানের সঙ্গে এক মঞ্চে থাকা নিয়ে আপত্তি জানালেন, তাতে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল নেই বলে যে যাই প্রচার করুক না কেন, তা যে মিথ্যা প্রচার, তা প্রমাণিত হয়ে গেল। এখন পৌরসভা নির্বাচনের আগে বিধায়ক বনাম চেয়ারম্যানের দ্বন্দ্ব মেটাতে তৃণমূল নেতৃত্বের কড়া দাওয়াই কতটা কাজে দেয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!