এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > প্রশান্ত কিশোরকে নিয়েই দুভাগ তৃণমূল, বিদ্রোহের তোড়ে কি বিজেপির ঘরে ঢুকবে ২১ এর ফসল ! দলের অন্দরেই জোর চর্চা!

প্রশান্ত কিশোরকে নিয়েই দুভাগ তৃণমূল, বিদ্রোহের তোড়ে কি বিজেপির ঘরে ঢুকবে ২১ এর ফসল ! দলের অন্দরেই জোর চর্চা!


আপনাদের সুবিধার্থে খবরের শেষে বিধানসভা ২০২১ উপলক্ষে আমাদের করা সর্বশেষ সমীক্ষার প্রতিটির লিঙ্ক দেওয়া আছে।

আপনার মতামত জানান -

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির প্রভাবে কিছুটা হলেও বিধ্বস্ত হয়েছিল তৃনমূল কংগ্রেস। বিজেপির থেকে চারটি আসন বেশি পেলেও কিভাবে রাজ্যে বিজেপি 2 থেকে 18 টি আসন দখল করল, তা নিয়ে আলাপ-আলোচনা শুরু করেছিল ঘাসফুল শিবির। আর তারপরই দলে শ্রীবৃদ্ধি ঘটাতে এবং বিধানসভা নির্বাচনে ভালো ফল করতে প্রশান্ত কিশোরকে দলের রাজনৈতিক পরামর্শদাতা করে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব।

আর এরপর থেকেই দলের নানা গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব পড়ে সেই প্রশান্ত কিশোরের উপর। তবে প্রশান্ত কিশোর একের পর এক সিদ্ধান্ত নিতে শুরু করায় দলের অনেকেই তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছিলেন। অনেকেই প্রথমদিকে আড়ালে-আবডালে বলতে শুরু করেছিলেন, বিগত বাম আমলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কৌশলে 34 বছরের বাম সরকারকে উৎখাত করা সম্ভব হয়েছে।

সেক্ষেত্রে কেন বাইরে একটি সংস্থাকে এনে তার হাতে দলের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হচ্ছে! এক্ষেত্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন নিজের দলকে সামলাতে পারছেন না! তবে দলের একটা অংশ আড়ালে-আবডালে কথা বললেও, প্রকাশ্যে সেভাবে কাউকে কোনো মুখ খুলতে দেখা যায়নি। কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনের যখন আর কয়েক মাস বাকি, তখন সেই প্রশান্ত কিশোরকে নিয়ে তৃণমূলের বিদ্রোহ কার্যত প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে।

একের পর এক বিধায়ক সেই প্রশান্ত কিশোরের নীতি নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন। যার ফলে 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনে জয়লাভ করতে তৃণমূল প্রশান্ত কিশোরকে আনলেও এখন সেই প্রশান্ত কিশোরের জন্যই কি দলের ভরাডুবি হতে পারে! সেই ব্যাপারে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে। বলা বাহুল্য, প্রশান্ত কিশোর দলের দায়িত্ব নেওয়ার পর যেমন একাধিক কর্মসূচি নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস, ঠিক তেমনই প্রশান্ত কিশোরের টিমের সুপারিশের ভিত্তিতে বিভিন্ন জেলায় রদবদল করেছে শাসকদল।

মূলত, পুরনো দিনের নেতৃত্বদের সরিয়ে নতুন মুখকে বিভিন্ন জায়গায় দায়িত্ব দেওয়ার ফলে পুরনোরা বিদ্রোহ পোষন করতে শুরু করেছিলেন। এমনকি কিছুদিন আগেই কোচবিহারে তৃণমূল বিধায়ক মিহির গোস্বামী প্রকাশ্যে নাম না করে এই প্রশান্ত কিশোরের টিমের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। পাশাপাশি একই ভাবে এজেন্সিকে দিয়ে কোনদিন সাফল্য পাওয়া যায় না বলে মন্তব্য করেছেন ব্যারাকপুরের তৃণমূল বিধায়ক শীলভদ্র দত্ত।

অর্থাৎ একের পর এক বিধায়করা যখন দলের রাজনৈতিক পরামর্শদাতার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন, তখন নিঃসন্দেহে চাপে পড়ছে তৃণমূল নেতৃত্ব। পাশাপাশি নীচুতলার কর্মী-সমর্থকরাও এখন ধীরে ধীরে এই প্রশান্ত কিশোরের নীতির বিরুদ্ধে জোট বাধতে শুরু করেছেন। আর যদি এভাবেই দলের রাজনৈতিক পরামর্শদাতার সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে দলে বিদ্রোহ দানা বাঁধতে শুরু করে, তাহলে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের পক্ষে জয়লাভ করতে অনেকটাই সমস্যা হতে পারে বলে দাবি করা হচ্ছে। আর এর ফায়দা তুলে নিতে পারে ভারতীয় জনতা পার্টি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এমনিতেই প্রতিমুহূর্তে বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, তৃণমূলের অনেকেই তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। সাংসদ থেকে শুরু করে বিধায়ক, অনেকেই সময়মত ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগ দেবেন বলে দাবি করছেন বিজেপির অনেক হেভিওয়েট নেতা। আর এই পরিস্থিতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে যেভাবে তৃণমূলের প্রশান্ত কিশোরের ভূমিকা নিয়ে দলের নেতাকর্মীরা বিদ্রোহ করতে শুরু করেছেন, তাতে আগামী দিনে যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলের রাশ নিজের হাতে না নেন, তাহলে বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিদ্রোহী নেতা কর্মীরা বিজেপিতে যোগদান করবে বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের।

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, বর্তমানে রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে তৃণমূলের দূরত্ব অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে। আর দলের সঙ্গে তার দূরত্ব বৃদ্ধির প্রধান কারণ প্রশান্ত কিশোর বলে মনে করা হচ্ছে। কেননা প্রশান্ত কিশোরের বিভিন্ন নীতি মানতে নারাজ শুভেন্দু অধিকারী। তিনি নিজের মত করে দল পরিচালনায় সবথেকে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। ফলে এভাবেই যদি গোটা পরিস্থিতি চলতে থাকে, তাহলে শুভেন্দু অধিকারীর মত হেভিওয়েট শীর্ষনেতা দলত্যাগ করলে তার পথ অনুসরণ করে অনেকেই তৃণমূল কংগ্রেস ত্যাগ করবেন।

আর বিধানসভা নির্বাচনের আগে যদি এই সমস্ত ঘটনা ঘটে যায়, তাহলে বিজেপির পক্ষে রাজ্যের ক্ষমতা দখল করতে খুব একটা অসুবিধা হবে না বলেই দাবি করছে গেরুয়া শিবিরের ঘনিষ্ঠ মহল। আর এখানেই একাংশ বলছেন, নিজের ভালো সকলেই বোঝে। তাই বিজেপির মোকাবিলা করা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলের স্বার্থের কথা চিন্তা করে অচিরেই এমন কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন, যার ফলে এই সমস্যার অনেকটাই সমাধান হয়ে যেতে পারে। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, প্রশান্ত কিশোরকে নিয়ে যে বিদ্রোহ শুরু হয়েছে, তাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেন কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

একনজরে দেখে নিন আমাদের সর্বশেষ বিধানসভা ২০২১ ওপিনিয়ন পোল –

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – দ্বিতীয় পর্ব – 

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – প্রথম পর্ব – 

# মালদহ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# উত্তর দিনাজপুরে জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# জলপাইগুড়ি ও কালিম্পঙ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# আলিপুরদুয়ার ও দার্জিলিং জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# কুচবিহার জেলার ওপিনিয়ন পোল –

আপনার মতামত জানান -
আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!