এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > রাজ্যে তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে ব্যাপক অশান্তির আগুন, তীব্র চাপানউতোর রাজনৈতিক মহলেও

রাজ্যে তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে ব্যাপক অশান্তির আগুন, তীব্র চাপানউতোর রাজনৈতিক মহলেও


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – যতই রাজ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করুক নির্বাচন কমিশন, ভোট পরবর্তীতেও রাজ্য জুড়ে একই রকম হিংসা চলছে। তবে এই হিংসার ময়দানে মূলত তৃণমূল এবং বিজেপিকে দেখা যাচ্ছে। এবার হাড়োয়ায় শুধুমাত্র বিরোধী স্লোগান বলতে না চাওয়ায় আক্রান্ত হলেন এক তৃণমূল কর্মী। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলে। পাশাপাশি এলাকাজুড়েও তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে। তৃণমূল সূত্রের খবর, এই ঘটনার পেছনে রয়েছে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। জানা গিয়েছে, বিজেপি স্লোগান ‘জয় শ্রীরাম’ বলতে না চাওয়ায় ব্যাপকভাবে আক্রান্ত হন তৃণমূল কর্মী। তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবিতে তৃণমূল কর্মীরা প্রায় মধ্যরাত পর্যন্ত থানার সামনে ধর্না দেন। শেষ পর্যন্ত দ্রুত গ্রেপ্তারের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে থানার পক্ষ থেকে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হাড়োয়ার মহিষটিগারি এলাকায় মঙ্গলবার রাতে আখতার আলী নামের এক তৃণমূল কর্মীর একদল দুষ্কৃতী পথ আটকায় এবং তাঁকে ‘জয় শ্রীরাম’ বলার জন্য জোর করা হয়। তিনি বলতে না চাইলে ওই তৃণমূল কর্মীদের ব্যাপকহারে মারধর করা হয় বলে জানা গিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা ঘটনাস্থলে আসতে দুষ্কৃতীরা চম্পট দেয়। গুরুতর জখম অবস্থায় এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে আখতারকে। এই ঘটনায় এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায়। অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে স্থানীয় তৃণমুল নেতাকর্মীরা থানা ঘেরাও করে।

পরে অবশ্য দুষ্কৃতীদের গ্রেপ্তারের আশ্বাস পাওয়ার পর ঘেরাও উঠে যায়। পুলিশি সূত্রে খবর, রাতেই এক দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই ঘটনার পেছনে গেরুয়া শিবিরে যোগ থাকার কথা জোর দিয়ে বলা হয়েছে। তবে বিজেপির পক্ষ থেকে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। অন্যদিকে বীরভূমের নানুর এর সিঙ্গি গ্রামে বিজেপি তৃণমূলের ব্যাপক সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল এলাকা। রাতভর সেখানে বোমাবাজি চলে বলে জানা গিয়েছে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এক তৃণমূল সমর্থক এই বোমাবাজিতে জখম হয়েছেন বলে খবর। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার রাতে সিঙ্গি গ্রামের বিজেপি কর্মীরা দলীয় পতাকা লাগাচ্ছিল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সেসময় এলাকার তৃণমূল সমর্থক শেখ করিম যাচ্ছিলেন ঐ পথ দিয়ে। দুই তরফ থেকেই কটুক্তি করা হয়, ফলস্বরূপ শুরু হয় অশান্তি এবং মারামারি। এই ঘটনায় শেখ করিম ব্যাপকভাবে জখম হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আহত তৃণমূল কর্মী শেখ করিম জানিয়েছেন, বিজেপির কটুক্তির প্রতিবাদ করায় তাঁকে মারধর করা হয়েছে। অন্যদিকে বিজেপি কর্মী অচিন্ত্য সরকার পাল্টা অভিযোগ করেছেন তৃণমূলের প্রতি। তিনি দাবি করেছেন, তৃণমূলের নেতারা মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছেন। পাশাপাশি মঙ্গলবার রাতে তৃণমূলের কর্মীরা তাঁদেরকে আক্রমণ করে পুলিশের সামনেই বোমাবাজি করে বলে জানিয়েছেন তিনি।

সব মিলিয়ে এক কথায় বলা যায়, এবারের বিধানসভা নির্বাচন কিন্তু হিংসামুক্ত হতে পারল না। প্রসঙ্গত, এবারের নির্বাচনে যাতে কোনরকম অশান্তি না হয়, তার জন্য নজিরবিহীন কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীর আগমন হয়েছে রাজ্যে। নির্বাচন কমিশ্ন একের পর এক বদল করেছে রাজ্যে। কিন্তু তাতেও পরিস্থিতি যে বিশেষ কিছুই রকমফের হয়নি তা স্পষ্ট। বিশেষজ্ঞ মহলের অনেকেই মনে করছেন, নির্বাচন যত শেষের দিকে যাবে ততই অশান্তির প্রকোপ আরো বাড়বে।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!