এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > করোনা পরবর্তী সময়ে ভারতের শিল্প ও কর্মসংস্থানে আসতে চলেছে জোয়ার? বাড়ছে জল্পনা

করোনা পরবর্তী সময়ে ভারতের শিল্প ও কর্মসংস্থানে আসতে চলেছে জোয়ার? বাড়ছে জল্পনা

গোটা বিশ্বকে এখন কাঁপিয়ে তুলছে করোনার মত ভয়াবহ মারন ভাইরাস। অনেকেরই ধারণা, এই ভাইরাস গোটা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে দেওয়ার পেছনে চীনের মত দেশের হাত রয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সেই ব্যাপারে চূড়ান্ত কোনো আভাস পাওয়া যায়নি। কিন্তু সেই মারণ ভাইরাসের হাত থেকে বাঁচার জন্য কোনো ওষুধ বা ভ্যাকসিন এখনও আবিষ্কৃত হয় নি। ফলে, আপাতত স্বেচ্ছায় গৃহবন্দী থেকেই নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে চাইছে গোটা বিশ্ব।

কিন্তু, এই গৃহবন্দী দশার জন্য বিশ্বের প্রতিটি দেশই অর্থনৈতিকভাবে সমস্যায় পড়ছে। ব্যতিক্রম নয় ভারতও – একদিকে যেমন রয়েছে করোনা মোকাবিলায় বিপুল খরচ, অন্যদিকে তেমনই দেশবাসী গৃহবন্দী থাকায় আয় ঠেকেছে প্রায় শূন্যতে। আর এর ফলেই করোনা মিটে গেলেও বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা নেমে আসতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু, গোটা বিশ্বজুড়ে মন্দা দেখা দিলেও – ভারতের জন্য আচ্ছে দিন আসতে চলেছে বলে মনে করছেন অনেকেই।

কেননা, করোনা বিপর্যয়ের জন্য চীনকে দায়ী করে, আগামীদিনে সেখান থেকে ব্যবসা গুটিয়ে নিতে চাইছেন অনেক কোম্পানিই। ইতিমধ্যেই চীন থেকে প্রায় 200 মার্কিন সংস্থা ভারতে এসে ব্যবসা করার ব্যাপারে ইচ্ছা প্রকাশ করেছে বলে জানা গেল। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই তীব্র গুঞ্জন শুরু হয়েছে সর্বত্র। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই চীন থেকেই ব্যবসা ভারতে আনবার জন্য ইন্ডিয়া স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপ ফোরামের সঙ্গে প্রায় 200 মার্কিন সংস্থা তাদের আলোচনা শুরু করে দিয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর হঠাৎ ব্যাপক মার্কিন সংস্থা চীন ছেড়ে ব্যবসা করবার জন্য ভারতকে বেছে নেওয়ায় আসছে দিন ভারতের পক্ষে অত্যন্ত আনন্দের হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এদিন এই প্রসঙ্গে এই সংস্থার সভাপতি মুকেশ আঘি বলেন, “দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বাণিজ্য বিভাগের প্রাক্তন মার্কিন সহযোগী মার্ক লিন্সকট ইউএসআইএসপিএফ সদস্য সংস্থাগুলোর সঙ্গে নিয়ে কথা বলছেন। রপ্তানি বাড়াতে ভারতের তরফে কি কি পদক্ষেপ করা যেতে পারে, আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে তার একটি রূপরেখা তৈরি করা হচ্ছে।”

তিনি আরও বলেন, “ওই সংস্থাগুলোকে কিভাবে আকৃষ্ট করতে হবে, তা আগে বোঝা দরকার। তার জন্য জমি সংক্রান্ত সমস্যা, শুল্ক ব্যবস্থা সবেতেই সংস্কার প্রয়োজন। আরও অনেক ক্ষেত্র রয়েছে, যেখানে সংস্কার ঘটানো দরকার। এতে কর্মসংস্থান বাড়বে বলে মনে হয়।” পাশাপাশি বিপুল মার্কিন সংস্থা যদি ভারতে বিনিয়োগ করতে চায়, তাহলে ভারতবর্ষের তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণভাবে চিন্তা করা উচিত বলেও জানান মুকেশ আঘি।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনা ভাইরাস বাড়বাড়ন্তের কারণে ইতিমধ্যেই বিশ্বের কমবেশি প্রতিটি দেশ চীনকে দায়ী করতে শুরু করেছে। তবে এখনই এই ব্যাপারে যে চীন অভিযুক্ত, তা প্রমাণিত হয়নি। তবে এরই মাঝে যদি চীন ছেড়ে 200 মার্কিন সংস্থা ভারতবর্ষে বিনিয়োগ করতে আসে, তাহলে তা ভারতের পক্ষে অত্যন্ত মঙ্গলজনক হবে বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের। প্রসঙ্গত, অস্ট্রেলিয়া ও ইউরোপের বহু কোম্পানিও আগামী দিনে তাদের ব্যবসার জন্য ভারতকে বেছে নিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। আর তাই, করোনা পরবর্তী সময়ে ভারতের শিল্প ও কর্মসংস্থানে আসতে চলেছে জোয়ার বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!