এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > রাজ্যের বেশ কিছু জেলা রেড জোনে! দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আসরে প্রশাসন

রাজ্যের বেশ কিছু জেলা রেড জোনে! দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আসরে প্রশাসন

লকডাউন এর মাঝেই পশ্চিমবঙ্গের চিন্তা বাড়িয়ে বেশ কয়েকটি জেলা ইতিমধ্যে করোনার ভরকেন্দ্র হয়ে উঠেছে বলে জানা গেছে। যার মধ্যে উত্তর 24 পরগনা অন্যতম বলে খবর। ইতিমধ্যে রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলা করোনা সংক্রমনের জেরে রেড জোনে পৌঁছে গেছে। এই অবস্থায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সতর্কবার্তা আরো উদ্বেগে ফেলেছে জেলা প্রশাসনকে বলে মনে করা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কড়া নির্দেশ দিয়েছেন, যেসব জেলা ইতিমধ্যে রেড জোনে পৌঁছে গেছে, সেই জেলাগুলিকে আগামী 15 দিনের মধ্যে আবার অরেঞ্জ জোনে ফিরিয়ে আনতে হবে।

অতএব পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে পথে নেমেছে পুলিশ প্রশাসন। এবার উত্তর চব্বিশ পরগণার বসিরহাটের রাস্তাতে পুলিশের বার্তা দেখা গেল রংতুলির মাধ্যমে। বসিরহাট এক নম্বর ব্লকের বিডিও তাপস কুণ্ডুর নির্দেশেই এ দিন ইটিণ্ডা এবং টাকি রোডের ওপর রং তুলি দিয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে লিখে দেওয়া হল সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে, ‘লকডাউন মানুন। বাড়িতে থাকুন। সুস্থ থাকুন।’ এর আগেও সচেতনতার বার্তা দেওয়ার জন্য প্রশাসনকে দেখা গিয়েছিল, যাঁরা লকডাউন মানছেননা, তাঁদের হাতে কখনো গোলাপ তুলে দিয়েছেন, কখনো আবার খোলা মঞ্চে গান গেয়ে সচেতনতা বাড়িয়েছেন।

কিন্তু এবার দেখা গেল রাস্তার রং তুলি দিয়ে সচেতনতা ফুটিয়ে তুলছে প্রশাসন। সূত্রের খবর, এদিন বসিরহাট মহকুমা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইচ্ছামতী ব্রিজের কাছে মাস্ক ও স্যানিটাইজার ব্যবহার করার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে জনসাধারণকে। তবে রাস্তায় বার্তা লিখে দেওয়ার প্রসঙ্গে বসিরহাটের এস আই ট্রাফিক প্রবীর সান্যাল জানিয়েছেন, ‘সকাল দশটা অবধি সময় দেওয়া হয়েছে। অনেকে তার পরেও বেরচ্ছেন। তাই লোককে এগুলো বোঝানোর চেষ্টা করছি। মনে করছি যে এই লেখা দেখলে হয়তো মানসিকতার পরিবর্তন আসবে।’

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সম্প্রতি লকডাউন এর নিয়ম কানুনকে এক ফুঁয়ে উড়িয়ে উড়িয়ে দিয়ে কিছু সাধারণ মানুষের ব্যাংকে ভিড় করা নিয়ে রীতিমতন ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। সেই অনুযায়ী তিনি নবান্ন থেকে প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন, নিয়ম না মানলে প্রশাসনকে অবশ্যই কঠোর হতে হবে। সেই অনুযায়ী সোমবার সকাল থেকেই বসিরহাট জেলার পুলিশ সুপার কঙ্করপ্রসাদ বারুই ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার চন্দন ঘোষ বসিরহাট শহরের বিভিন্ন বেসরকারি ব্যাংকে হঠাৎ পৌঁছে যান এবং সেখানে গিয়ে সাধারণ মানুষকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেন বলে জানা গেছে।

পুলিশ সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী প্রাথমিকভাবে মানুষকে বোঝানো হবে, কিন্তু যদি মানুষ লকডাউন না মানেন এবং পরিস্থিতি যদি আরো খারাপের দিকে যায়, তা আটকানোর জন্য এবার প্রশাসন কঠোর হবে। বিশেষজ্ঞদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, যাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় থাকে এবং করোনা সংকটকালে পরিস্থিতি যেন হাতের বাইরে না চলে যায় তার জন্য প্রশাসনকে আরও কড়া হতে হবে। কিন্তু বেশ কিছু মানুষ অজ্ঞতার ওপর নির্ভর করে লকডাউনের নিয়ম কানুনের তোয়াক্কা না করে প্রায় প্রতিদিন বাজারে গিয়ে ভিড় করছেন এবং ব্যাংকে গিয়ে ভিড় করছেন।

এই পরিস্থিতি আটকানোর জন্য এবার কড়া হাতে প্রশাসন যদি অবস্থা আয়ত্তে না আনেন, তাহলে পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলির অবস্থা আরো খারাপ হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। উপরন্তু এই পরিস্থিতি চললে অন্য জেলাগুলিও যে রেড জোনে যেতে চলেছে অদূর ভবিষ্যতে, তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। আপাতত পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে প্রশাসন যথেষ্ট কঠোর হবে বলে মনে করা হচ্ছে। সেই ইঙ্গিতই দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!