শীতকালে আপনার ছোট্ট সন্তানকে গরম রাখার উপায় জেনে নিন অন্যান্য শরীর-স্বাস্থ্য December 27, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একে আজ মরশুমের শীতলতম দিন, তায় করোনার হানা। সেক্ষেত্রে ঠাণ্ডায় করোনা থেকে নিজেকে দূরে রাখার চিন্তা, তার ওপর পৌষের ঠান্ডার শিরশিরানি। তবে শুষ্ক আবহাওয়া বা এই ঠান্ডা কিন্তু ছোট শিশুদের সমস্যা বাড়াতে পারে বলেই মনে করছেন চিকিৎসকরা। সেইসঙ্গে তারা চাইলেও নিজেদের কষ্টের কথা মুখ ফুটে বলতে পারে না। তাই আপনাকেই সমস্ত সমস্যার কথা বুঝতে হয়। তবে সেক্ষেত্রে আপনার শিশুটি যাতে গরমে থাকে বা ঠান্ডা না লাগে সেই দিকেও নজর রাখতে হবে। তবে সেক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের মতে, ঠান্ডা আবহাওয়া এবং শীতের বাতাস থেকে রক্ষা করার জন্য, শিশুকে কেবল সঠিকভাবে পোশাক পরানোই যে যথেষ্ট তা কিন্তু নয়। শরীরের বিশেষ বিশেষ অঙ্গের প্রতি নজর দিতে হবে। তবে শীতকালে শিশুকে উষ্ণ রাখার তাগিদে যেন এমন কখনোই না হয় যে অত্যধিক পোশাকে সে গরম বোধ করে। তাই অতিরিক্ত মোটা কাপড় না পরিয়ে সামঞ্জস্যতা বজায় রেখে চলাই বুদ্ধিমানের কাজ বলেই মনে করছেন শিশু বিশেষজ্ঞরা। তাই আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে যে, শিশুর কোন কোন অঙ্গে সবচেয়ে বেশি ঠান্ডা অনুভব হয়। মাথা :- এক্ষেত্রে চিকিৎসকদের মতে, প্রথমেই বলা হয় যে মাথা ঢেকে রাখা জরুরি। বিশেষজ্ঞদের মতে, শিশুর মাথার তাপমাত্রা যদি কম থাকে, তাহলে এর প্রভাব গোটা শরীরে পড়ে। তাই, শিশুকে ঠান্ডা থেকে রক্ষা করতে টুপি বা কাপড় দিয়ে মাথা ঢেকে রাখা জরুরি। তবে শিশুর টুপিটি যাতে খুব টাইট না হয় সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে। নাক:- বিশেষজ্ঞদের মতে, আমাদের দেহের সমস্ত অঙ্গের মধ্যে নাক অত্যন্ত সংবেদনশীল। পরিবেশের ধোঁয়া থেকে শুরু করে ব্যাকটেরিয়া এমনকি ঠাণ্ডাও শিশুর নাক দিয়েই শরীরে প্রবেশ করে। তাই শিশুর নাক দিয়ে যাতে ঠান্ডা না যায় তাই মাঝে মাঝে শিশুর নাকে আপনার উষ্ণ হাত দিতে পারেন বা হালকা গরম তেল দিয়ে মালিশ করতে পারেন। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - পায়ের পাতা:- চোট বাচ্চারা সাধারণত খুবই ছটফটে হয়। তাই তাদের পা চাদরের তলায় রাখা বা তাদের বিছানায় বসিয়ে রাখা অত্যন্ত দুষ্কর। তাই সেদিক থেকে আপনার সন্তান যদি হাঁটতে শিখে যায় তবে, ঘরের তাপমাত্রা যাতে খুব কম না থাকে সেদিকেও নজর দিতে পারেন। কারণ মেঝের ঠান্ডা পায়ের পাতা দিয়ে শরীরে প্রবেশ করতে পারে। এছাড়া মেঝেতে চাদর বা কার্পেট পেতে রাখতে পারেন। সেইসঙ্গে যদি শিশুরা বেশিরভাগ সময় বিছানায় শুয়েও থাকে, মাটিতে পা না রাখে, তাহলেও তাদের দেহের নীচের দিকে ঠান্ডা লাগতে পারে। তাই, শিশুকে মোজা পরানো বা পায়ের দিকে কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখা প্রয়োজন। এটি করলে শরীরের পুরো তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে বলেই জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এছাড়া আপনার সন্তানের শরীর গরম রাখতে তেল ম্যাসাজ করতে পারেন। শিশুর শরীর উষ্ণ রাখার জন্য তেল দিয়ে ম্যাসাজ করা বহু আগে থেকেই চলে আসছে। সেইসঙ্গে ঠান্ডায় শিশুর দেহ মালিশ করার জন্য সরিষার তেল সবচেয়ে উপযোগী বলেই মনে করা হয়। আপনার বাচ্চার যদি ঠান্ডা লাগার লক্ষণ থাকে তবে সরিষার তেলে জোয়ান এবং রসুন কুচি দিয়ে গরম করে সেই তেলটি ম্যাসাজ করলে উপকার পাওয়া যায় বলেও জানান কেউ কেউ। সেক্ষেত্রে দিনে কমপক্ষে এক বার ম্যাসাজ করা প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে স্নানের আগে শিশুকে রোদে নিয়ে গিয়ে সমস্ত কাপড় খুলে মালিশ করলে তার ঠান্ডাও লাগে না এবং ভালভাবে মালিশও করা যায় বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে রাতে ঘুমানোর সময় শিশুর মুখ কম্বল দিয়ে ঢেকে রাখা, মোজা পরানো বা গ্লাভস পরানো শিশুর ঘুমের সমস্যার কারণ হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। আপনার মতামত জানান -