শুভেন্দুর পাশে দাঁড়িয়ে প্রশান্ত কিশোর ও তার টিমকে কাঠগড়ায় তুলছে নিচু তোলার কর্মীরা, অস্বস্তি অব্যহত শাসকদলে! কলকাতা মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম রাজ্য October 4, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –গত লোকসভা নির্বাচনে মুর্শিদাবাদে অধীর রঞ্জন চৌধুরীর শক্ত ঘাঁটিতে ঘাসফুল ফোটাতে সক্ষম হয়েছিলেন তৃণমূলের শুভেন্দু অধিকারী। পর্যবেক্ষক হিসেবে একের পর এক সাংগঠনিক সভার মাধ্যমে এই জেলায় কংগ্রেসের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিয়েছিলেন তিনি। যার ফলে লোকসভা নির্বাচনে এসেছিল সাফল্য। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনের পর সেই শুভেন্দু অধিকারীর ডানা অনেকটাই ছাটা হয়েছে। যার জেরে তৃণমূল পর্যবেক্ষক পদ তুলে দিয়ে নতুন করে সংগঠনকে সাজাতে শুরু করেছে। ফলে মুর্শিদাবাদ সহ একাধিক জেলার পর্যবেক্ষক হিসেবে শুভেন্দু অধিকারী থাকলেও, এখন আর তিনি সেই দায়িত্বে নেই। আর এই পরিস্থিতিতে শুভেন্দু অধিকারী যখন মুর্শিদাবাদের দায়িত্ব থেকে বহু ক্রোশ দূরে এবং তাকে নিয়ে ব্যাপক জল্পনা চলছে, ঠিক তখনই মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে চলে এল। স্বাভাবিক ভাবেই বর্তমানে প্রশান্ত কিশোর তার টিমের দ্বারা বিভিন্ন জেলা পরিচালনার দায়িত্ব নিলেওহ কিভাবে মুর্শিদাবাদ জেলা চলছে, যার জেরে সেখানে এত দ্বন্দ্ব! তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন একাংশ। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মুর্শিদাবাদ জেলায় সাংগঠনিক পরিবর্তনের পর সৌমিক হোসেন নতুন করে দায়িত্ব পেলে তার বিরুদ্ধে নিচুতলার তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা ক্ষোভ উগরে দিতে শুরু করেছেন। জানা যায়, শুক্রবার মুর্শিদাবাদের ইসলামপুরে তৃণমূলের বেশ কিছু কর্মী-সমর্থক রাস্তায় নেমে আন্দোলন করেন। যেখানে তারা শ্লোগান তোলেন, “সৌমিক হটাও।” কিন্তু কেন তৃনমূলের কর্মী-সমর্থকরা এই দাবি তুলছেন? যেখানে দলকে শৃঙ্খলা পরায়ন হওয়ার বার্তা দেওয়া হচ্ছে, সেখানে তৃণমূলের অন্দরে এই গোষ্ঠী কোন্দল কেন? অনেকেরই অভিযোগ, রানীনগর 1 নম্বর ব্লকের সভাপতিকে বিনা কারণে সরানো হয়েছে। যেখানে টাকার বিনিময়ে অন্য একজনকে সভাপতি করা হয়েছে। আর তার বিরুদ্ধেই দলের একাংশ কর্মী-সমর্থক পথে নেমে সেই সৌমিকবাবুর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন। যদিও বা সৌমিক হোসেনের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করা হলেও তা সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করেছেন তিনি। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এদিন এই প্রসঙ্গে রাণীনগরের তৃণমূল নেতা নারায়ন চন্দ্র দাস বলেন, “রানীনগর এখন তৃণমূল কংগ্রেসের সাজানো বাগান। এখানে যদি কেউ বাইরে থেকে এসে নিজের সিদ্ধান্ত মত কাজ করার চেষ্টা করেন, তাহলে তা আমরা কোনোভাবেই মানব না। এমনকি জেলা এবং রাজ্য নেতৃত্ব যদি এক্ষেত্রে পদক্ষেপ না করে, তাহলে আমরা ছটি অঞ্চলের হাজার হাজার তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী একত্রিত হয়ে কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হব।” যদিও বা এই ব্যাপারে সৌমিক হোসেন বলেন, “যারা এই অভিযোগ তুলছেন, তারা কংগ্রেস বা অন্য বিরোধী দলের সঙ্গে চক্রান্ত করে তৃণমূলের মধ্যে অরাজকতা তৈরীর চেষ্টা করছেন।” রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, শুভেন্দু অধিকারী দায়িত্বে থাকার সময় যেভাবে মুর্শিদাবাদ জেলায় সংগঠনকে চাঙ্গা করেছিলেন, এখন আর সেই পরিস্থিতি নেই। সম্প্রতি প্রশান্ত কিশোরের টিম দল পরিচালনার দায়িত্ব নিয়ে পর্যবেক্ষক পদ তুলে দিয়ে যেভাবে শুভেন্দু অধিকারীর মত নেতার ডানা ছেটে দিয়েছে, তার পরেই বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ প্রদর্শন হতে শুরু করেছে। জানা যায়, জেলা রাজনীতিতে শুভেন্দু অধিকারীর বিরোধী বলে পরিচিত ছিলেন সৌমিক হোসেন। ফলে সেই শুভেন্দু অধিকারী দায়িত্ব থেকে চলে যাওয়ার পর সৌমিক হোসেনকে জেলার কো-অর্ডিনেটর করা হয়েছে। যার ফলে অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করতে শুরু করেছেন। আর এদিন সেই ব্যাপারে সৌমিকবাবুর বিরুদ্ধে সরব হয়ে যেভাবে তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করলেন, তাতে ঘাসফুল শিবিরের চাপ মুর্শিদাবাদে ক্রমশ বাড়ছে বলেই দাবি বিশেষজ্ঞদের। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -