এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়া > দুর্যোগে রাজনীতির উর্ধ্বে উঠে সকলের জন্য কাজ করার পরামর্শ পার্থর! কী বার্তা দিলেন? জানুন

দুর্যোগে রাজনীতির উর্ধ্বে উঠে সকলের জন্য কাজ করার পরামর্শ পার্থর! কী বার্তা দিলেন? জানুন


একদিকে করোনা ভাইরাস এবং অন্যদিকে আমপান নামক ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়, এই দুইয়ের ফলে এখন বিপর্যস্ত গোটা বাংলা। পরিস্থিতি সামাল দিতে রীতিমত হিমশিম খেতে হচ্ছে রাজ্য সরকারকে।করোনা পরিস্থিতি নিয়ে সমস্যা ছিলই। আর তারমধ্যে দুর্যোগ চলে আসায় এখন বিভিন্ন জায়গায় সেই ঝড়ের তাণ্ডবে বিদ্যুৎ পরিষেবা সম্পূর্ণ রূপে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। কোথাও কোথাও চলছে বিক্ষোভ। অনেকে পানীয় জলের সমস্যায় ভুগে প্রতিবাদ জানাতে শুরু করেছেন।

আর এই পরিস্থিতিতে যাতে কেউ কোনো জায়গায় রাজনীতি না করেন, তার জন্য বারেবারে আবেদন করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সকলকে একযোগে দুর্যোগ মোকাবিলায় এগিয়ে আসার আবেদন জানিয়েছেন তিনি। আর এবার সেই একই আবেদন করতে দেখা গেল তৃণমূল মহাসচিব তথা শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। সূত্রের খবর, শনিবার ঝাড়গ্রামের জেলাশাসকের কার্যালয়ে এই ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় নিয়ে একটি রিভিউ মিটিং অনুষ্ঠিত হয়।

সেখানে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসনের কর্তাব্যক্তি সহ রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। আর এই বৈঠক থেকেই সকলে যাতে দলীয় সংকীর্ণতার ঊর্ধ্বে উঠে কাজ করেন, তার জন্য বার্তা দেন রাজ্যের এই হেভিওয়েট মন্ত্রী। এদিন তিনি বলেন, “ঝাড়গ্রামবাসীকে আশ্বস্ত করতে চাই, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে সবসময় আপনাদের পাশে ছিলেন। আজও আছেন, আগামী দিনেও থাকবেন। মুখ্যমন্ত্রী আমাকে ঝাড়গ্রাম আসার নির্দেশ দিয়েছিলেন‌। সেই মত এসেছি।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তিনি বলেন, “ঝাড়গ্রামের ক্ষয়ক্ষতি অন্য জায়গা তুলনায় কম। এখানে চাষের ক্ষতি হয়েছে। মাটির বাড়ি ভেঙেছে। জেলাশাসককে বলছি, তাড়াতাড়ি সমীক্ষা করে মানুষের হাতে ত্রিপল এবং অ্যাডবেসট্রস তুলে দিতে হবে। স্কুলগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে সেই সংখ্যা কম। কিছু স্কুলের কিচেনের শেড উড়ে গিয়েছে। টয়লেটের ক্ষতি হয়েছে।” এদিকে এদিনের বৈঠকের পরে রাজবাড়ী ট্যুরিস্ট কমপ্লেক্সে ছত্রধর মাহাতো এবং তার স্ত্রী নিয়তি মাহাতোর সঙ্গে একটি বৈঠক করেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।

এরপর দলীয় স্তরে বৈঠক করে এই দুর্যোগের জন্য মানুষের পাশে থাকতে জেলা সভাপতিকে নির্দেশ দেন তৃণমূল মহাসচিব। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই দুর্যোগের মধ্যে বিভিন্ন জায়গায় ত্রাণ নিয়ে সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। কোথাও কোথাও এর ফলে বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে শাসক দলকে। তাই এই পরিস্থিতি যাতে ঝাড়গ্রাম জেলায় না হয়, তার জন্য সকলকে দলীয় সংকীর্ণতার ঊর্ধ্বে উঠে মানুষের পাশে থাকার বার্তা দিলেন তৃণমূল মহাসচিব শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।

তবে দলের শীর্ষনেতা পার্থবাবুর এই মন্তব্যে ঝাড়গ্রাম জেলার তৃণমূলের নেতাকর্মীরা কতটা সাড়া দেন এবং কতটা দলীয় সংকীর্ণতার ঊর্ধ্বে উঠে এখানে কাজ করতে পারে তৃণমূল কংগ্রেস, তার দিকেই নজর থাকবে রাজনৈতিক মহলের। কেননা ইতিমধ্যেই বিরোধীদের তরফে অভিযোগ করা হচ্ছে তৃণমূলই এই কঠিন পরিস্থিতিতে রাজনীতি করছে। বিরোধীদের ত্রাণবিলি থেকে শুরু করে সর্বক্ষেত্রে আটকানো হচ্ছে। আর তাই পার্থবাবুর বার্তার পরে কতটা বদলায় পরিস্থিতি সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!