এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > আমফানের ধাক্কা সামলাতে না সামলাতেই ফের করোনার চোখরাঙানি বাংলায়, বাড়লো দাপট

আমফানের ধাক্কা সামলাতে না সামলাতেই ফের করোনার চোখরাঙানি বাংলায়, বাড়লো দাপট


গত কয়েকদিন ধরে আমফানের তান্ডবে বিধস্ত বাংলা। এখনো পুরোপুরি স্বাভাবিক নয়, উদ্ধারকাজে নেমেছে সেনা। সাহায্যের হাত বাড়িয়ে কলকাতায় আসছে বনকর্মীরা। আর এই নিয়েই যখন বংলায় ধুমধুমার চলছে তখন সবার অলক্ষে বিস্তার বাড়াচ্ছে করোনা। হ্যাঁ এদিন এমনটাই ফের সামনে এলো।

আমফানের তান্ডবে কিছু ঘন্টার জন্য করোনা ভয় দূর হয়েছিল আর সেখানে জায়গা করে নিয়েছে জল, বিদ্যুৎহীন অসহনীয় পরিস্থিতি। কিন্তু রাজ্যবাসী এই অসহনীয় অবস্থায় আছে বলে ছাড় দেয়নি করোনা ভাইরাস। জানা যাচ্ছে দেশের পাশাপাশি রাজ্যেও অব্যাহত করোনাভাইরাসের দাপট।

গত চব্বিশ ঘন্টায় বাংলায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত হলেন আরও ২০৮ জন। কলকাতায় মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৮৩৫। গত চব্বিশ ঘন্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ৬ জন। ফলে সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ৩ হাজার ৬৬৭ জন। রবিবার রাজ্যে করোনা অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২ হাজার ৫৬।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

যদিও করোনা সংক্রমণ বাড়লেই খুশির খবর দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। তাদের তরফ থেকে যে বুলেটিন প্রকাশ করা হয়েছে সেই তথ্য অনুযায়ী মোট ১ হাজার ৩৩৯ জন রাজ্যে এখনও পর্যন্ত সুস্থ হয়ে উঠেছেন।জানা যাচ্ছে কলকাতায় পরই রয়েছে হাওড়া (৫৩৯)। উত্তর ২৪ পরগনা (২৬২), দক্ষিণ ২৪ পরগনা (৭০), হুগলি (৮৯), মালদা (৭০)।

রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর থেকে জন্য হয়েছে যে রবিবার পর্যন্ত মোট ১ লক্ষ ২৯ হাজার ৬০৮টি করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে বাংলায়। এর মধ্যে গত চব্বিশ ঘন্টায় ৯ হাজার ২১৬টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এই মুহূর্তে দেশে করোনা অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা ৭৩৫৬০। করোনার জেরে মোট মৃত্যু হয়েছে ৩৮৬৭ জনের। জেলায় নমুনা পরীক্ষার ক্ষেত্রে ঘাটতি ছিল। ফলে দ্রুতহারে সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।

তবে এখনো ভয় কাটেনি কেননা সংক্রমণের নিরিখে এখনও সেই শীর্ষে রয়েছে কলকাতা। যা চিন্তা বাড়ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, কিছুদিনের মধ্যেই সংখ্যাটা আরো বাড়বে কলকাতা সহ বাংলায়। কারণ অবশ্যই আমফান। কেননা মানুষজনকে নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যেতে হয়েছে ,একসঙ্গে ত্রাণ কেন্দ্রে থাকতে হয়েছে।সেক্ষেত্রে মণ সম্ভব হয়নি সোশ্যাল ডিস্টেন্সিঙ। সেখানেই শেষ নয় এরপর আমফান পরবর্তী অবস্থা। মানুষজন জল বিদ্যুতের দাবিতে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। যার ফলে ঘুচেছে সোশ্যাল ডিস্টেন্সিঙ। আর এর ফলে সবচেয়ে বড় সুযোগ মিলেছে করোনা ভাইরাসের। সেক্ষেত্রে করোনা বাড়বে বই কমবে না বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!