এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > ভাইপোর পথেই পিএ? ইডির নোটিশ পেতেই আদালতে ছুটলেন সুমিত! প্রবল খোঁচা বিজেপির!

ভাইপোর পথেই পিএ? ইডির নোটিশ পেতেই আদালতে ছুটলেন সুমিত! প্রবল খোঁচা বিজেপির!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এখন জমিয়ে খেলতে শুরু করেছে। ইডির পক্ষ থেকে নোটিশ পাঠানো হয়েছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পিএ সুমিত রায়কে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি হাজিরা দেন, নাকি তার বসের মতই রক্ষাকবচ নিতে চলে যান আদালতে, সেদিকে একটা নজর ছিল সকলেরই। অনেকেই বলেছিলেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে মুখে বড় বড় কথা বলেন, কিন্তু বাস্তবে ইডির ডাক আসলেই আদালতে চলে যান, হয়তো সুমিতবাবুও সেই পথেই হাঁটবেন। অবশেষে সেই কথাকে সত্যি করে এবার নোটিশ পেতেই আদালতের দ্বারস্থ হলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আপ্ত সহায়ক। যা দেখে বিরোধীরা বলছেন, জেরার মুখোমুখি হতে এত ভয় কিসের! যার জন্য নোটিশকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে যেতে হচ্ছে?

সূত্রের খবর, আজ ইডির নোটিশ পাওয়ার পরেই কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের বেঞ্চে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন সুমিত রায়। যেখানে ইডির নোটিশকে চ্যালেঞ্জ করে দ্রুত এই মামলার শুনানির আবেদন করেন তিনি। তবে সেই মামলার শুনানিতে কি হবে, তা সময় বলবে। কিন্তু এখানেই একাংশ বলছেন, ইডি যেভাবে খেলতে শুরু করেছে, তাতে তারা একদম চূড়ান্ত জায়গায় চলে এসেছে। এখন তাদের পদক্ষেপ নেওয়ার পালা। সেই কারণেই ভাইপোর আত্ম সহায়ককে ডেকে তার কাছ থেকে বেশ কিছু তথ্য তারা সংগ্রহ করে নিয়ে চূড়ান্ত পর্বে প্রবেশ করতে চেয়েছিল। কিন্তু কোনোভাবেই যাতে জেরার মুখোমুখি না হতে হয়, কোনভাবেই যাতে তার বস ফেঁসে না যায়, তার জন্যই হয়ত এবার আদালতের দ্বারস্থ হলেন সুমিতবাবু বলেই কটাক্ষ সমালোচকদের।

ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়ে খোঁচা দিতে শুরু করেছে রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি। তাদের দাবি, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পথেই তার প্রাপ্ত সহায়ক হাঁটছেন। মুখে অনেক বড় বড় কথা বলেন বাংলার ভাইপো। তিনি নাকি তদন্তের মুখোমুখি হতে ভয় পান না। কিন্তু ইডি ডাকলেই তিনি রক্ষাকবচ নিতে আদালতে ছুটে যান। তার পিএও এবার সেই পথেই হাঁটলেন। ফলে একটা জিনিস স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে যে, দুর্নীতি হয়েছে, আর সেই দুর্নীতির মাথা কারা। তবে আদালতে যে কেউ যেতে পারে। কিন্তু সেখানে তিনি আবার টাইট পাবেন। কারণ দুর্নীতির রহস্যভেদ করতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে জেরা করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ফলে যেভাবেই বাঁচার চেষ্টা করুন না কেন, শেষ পর্যন্ত কোনোভাবেই আইনের জালে তারা রক্ষা পাবেন না। যদি দোষ করে থাকেন, তাহলে সাজা যত বড়ই হেভিওয়েট হন, তাকে পেতে হবে বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার অনুগামীরাও তো বলেন যে, যে দুর্নীতি হয়েছে, তারা তার রহস্য ভেদ করতে চান। তাহলে এতই যখন তারা দুর্নীতির রহস্যভেদ করতে আগ্রহী, তাহলে কেন তার পিএ তদন্তের মুখোমুখি হচ্ছেন না? কেন তাকে ডাকলেই তিনি আদালতে চলে যাচ্ছেন! এতে তো তদন্ত আরও ঢিলে হয়ে যাচ্ছে। তাহলে কি তারা এতে জড়িত? নাকি তারা চাইছেন না যে, যে সমস্ত শিক্ষিত চাকরি প্রার্থীরা রাস্তায় বসে রয়েছে, তাদের চাকরি হোক! এই দুটোর মধ্যে কোনো একটা কারণ তো নিশ্চয়ই রয়েছে‌। ফলে সেই কারণ খোঁজার দায়িত্ব এখন আদালতের। সুমিতবাবু আদালতে গিয়েছেন। তার নাগরিক অধিকার রয়েছে সেখানে যাওয়ার। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি সেখানে স্বস্তি পাবেন কি, সেটাই লাখ টাকার প্রশ্ন। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে গোটা রাজনৈতিক মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!