প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – তৃণমূলে যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে, তাতে এটা কোনো রাজনৈতিক দল কিনা, সেটাই একটা বড় প্রশ্ন সকলের কাছে। যদিও বা তৃণমূল যেভাবে পশ্চিমবঙ্গে রাজত্ব চালাচ্ছে, তাতে তাদেরকে সরাতে পারলেই রাজ্যের মানুষ সব থেকে বেশি খুশি হবে, এটা সকলেই জানেন। এতদিন বিরোধীদের নানা আক্রমণের মুখে পড়তে হয়েছে তৃণমূলকে। কিন্তু এবার তৃণমূলের এই খাওয়া খাওয়ি নিয়ে দুই নেতা-নেত্রীর মধ্যে যে কোন্দল প্রকাশ্যে এসেছে, তাতে যে ভাষায় তৃণমূলকে আক্রমণ করলেন সুকান্তবাবু, তাতে তৃণমূলের প্রেস্টিজ পুরোপুরি পামচার হয়ে গেল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বলা বাহুল্য, ইতিমধ্যেই একটি অস্বস্তিকর ঘটনা, যা তৃণমূলের পক্ষে ভীষণ চিন্তাজনক, এমন একটি ঘটনা সামনে এসেছে। যেখানে একুশে জুলাইয়ের একটি প্রস্তুতি সভায় গিয়ে তৃণমূলের সাংসদ মমতা বালা ঠাকুর আবার পার্থ ভৌমিককে আক্রমণ করে বসেছেন। “পার্থ ভৌমিক ছড়ি ঘোরাবে, আর তারা দল করবেন?” এমন প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন তিনি। আর তা প্রকাশ্যে আসার পরেই এবার বিরোধীরা রীতিমত চেপে ধরেছে রাজ্যের শাসক দলকে।
ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়ে তৃণমূলকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, “পয়সা তোলা নিয়ে ঝামেলা। কে মতুয়া এলাকায় টাকা তুলবে, কে ব্যারাকপুরে টাকা তুলবে, দুজন দুজনের এলাকায় ঢুকে যাচ্ছে। দেখেন তো, কুকুর যখন নিজের এলাকা ছেড়ে অন্য এলাকায় ঢোকে, তখন অন্য কুকুর কেমন দাত মুখ খিঁচিয়ে ওঠে! তৃণমূল কংগ্রেসের অবস্থাও তাই।” আর এখানেই প্রশ্ন যে, যে তৃণমূল কংগ্রেস নিজের দলের অন্তর্কোন্দল সামান্যরূপে ঢাকতে পারেন না, যে দলের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেনহ আমি রাজ্যজুড়ে বহু উন্নয়ন করে দিয়েছি, যেখানে তার দলই ঠিক নেই, সেখানে তিনি কি করে রাজ্য চালাবেন? তাই সুকান্তবাবু তৃণমূলকে একদম জুতসই জবাব দিয়েছেন বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। এখন দেখার বিষয়, বিরোধীদের তরফে এত আক্রমণের পরেও তৃণমূল নিজেদের ভেতরে যে গন্ডগোল, সেই গন্ডগোল ঢাকতে পারে! নাকি আরও তা বেশি করে সামনে চলে আসে? প্রশ্নটা উঠছে রাজনৈতিক মহলে।