প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – এতদিন বাংলায় চুরি চিটিংবাজি করে তৃণমূলের ভাবমূর্তি একেবারে প্রশ্নের মুখে পড়ে গিয়েছে। রাজ্যের মানুষ অপেক্ষা করছে, কবে ২০২৬ এর বিধানসভা নির্বাচন আসবে এবং কবে এই তৃণমূলকে উৎখাত করা হবে। তবে শুধু রাজ্যের মধ্যেই তৃণমূলের কিছু নেতার চিটিংবাজি সীমাবদ্ধ নেই, এবার একেবারে দিল্লির এক ব্যবসায়ীর সঙ্গেও তারা শুরু করে দিলেন চিটিংবাজীর কায়দা। যে ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই তৃণমূলের জঘন্য রুচিবোধ নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিরোধীরা। কিন্তু কি ঘটনা ঘটেছে?

 

জানা গিয়েছে, দিল্লির এক ব্যবসায়ীকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের এক অঞ্চল সভাপতি এবং গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যের স্বামীর বিরুদ্ধে। আর এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই তাদেরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বলা বাহুল্য, গত রবিবার বিমানবন্দর থেকে একটি ক্যাবে করে দিল্লির এক ব্যবসায়ী আসেন। শাসন থানা রেলগেটের কাছে যখন সেই ব্যবসায়ীর গাড়ি দাঁড়ায়, তখনই হঠাৎ করেই তাকে গাড়ি থেকে নামানো হয় এবং তাকে অপহরণ করা হয় বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন জায়গায় সেই ব্যবসায়ীকে আত্মগোপন রাখার পাশাপাশি তার পরিবারকে ফোন করে চাপ দেওয়া হয় যে, তাকে ৫০ লক্ষ টাকা মুক্তি পন দিতে হবে। পরবর্তীতে সেই ক্যাবের চালক পুলিশের কাছে অভিযোগ জানালে পুলিশ মোবাইলের নেটওয়ার্ককে কাজে লাগিয়ে অঞ্চল সভাপতি সামাদ মন্ডল এবং তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যের স্বামী সহ আরও এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়।

 

আর এখানেই বিরোধীরা প্রশ্ন তুলছেন যে, রাজ্যের শাসক দলের নেতারা ঠিক কোন জায়গায় পৌঁছে গিয়েছেন! এখন তারা দিল্লির ব্যবসায়ীদের গতিবিধির ওপরেও নজর রাখছেন! অর্থাৎ এতদিন ধরে তারা যে কথা বলছিলেন যে, বাংলায় যে দুষ্কৃতীরাজ তৈরি হচ্ছে, তা গোটা দেশের কাছে অবশ্যই চিন্তাজনক। আর এই ঘটনার মধ্যে দিয়ে আরও একবার সেটা স্পষ্ট হয়ে উঠলো যে, বাংলা থেকেই দুষ্কৃতীরা গোটা দেশকে বিপদজনক জায়গায় পৌঁছে দিচ্ছে। যা অবশ্যই রাজ্যবাসী তো বটেই দেশবাসীর কাছেও যথেষ্ট চিন্তা জনক বিষয় বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।