লকডাউনে গেরুয়া নেতাকর্মীরা কোথায়? শাসকদলের তীব্র আক্রমনের সামনে পাল্টা দেওয়া শুরু বিজেপিরও রাজ্য হাওড়া-হুগলি May 22, 2020 গোটা বিশ্বের মত বাংলাতেও করোনার করাল থাবা নেমে এসেছে। আর এই অবস্থায় সব থেকে অসহায় হয়ে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। ফলে সকলের মনেই আশা – এই কঠিন সময়েই জনসেবাটা সঠিকভাবে করে দেখাবেন জনপ্রতিনিধিরা। কিন্তু, এই কঠিন সময়ে মাঠে-ময়দানে দাপিয়ে বেড়াতে দেখা গেল তৃণমূলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীদের। এমনকি লোকসভা নির্বাচনে কার্যত সাইনবোর্ড হয়ে যাওয়া বামফ্রন্ট-কংগ্রেস নেতাদেরও দেখা গেছে সাধ্যমত জনসেবায়। কিন্তু, প্রশ্ন উঠেছে কোথায় গেরুয়া শিবিরের নেতা-কর্মীরা? গত লোকসভা নির্বাচনে বাংলা থেকে ১৮ জন সাংসদ পাওয়ার পর, বিজেপির এখন লক্ষ্য ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে বাংলার কুর্সির দখল নেওয়া। আর সেই পরিপ্রেক্ষিতে এই করোনা আবহে গেরুয়া নেতাদের আরও বেশি করে দেখা যাবে এমনটাই মনে করা হচ্ছিল। কিন্তু বাস্তব চিত্র তো অন্য কথা বলছে! আর এখানেই জনসাধারণের মনে উঠছে একাধিক প্রশ্ন। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - যদিও বিজেপির ওবিসি মোর্চার রাজ্য সভাপতি স্বপন পাল এই বিষয়ে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, পুলিশ-প্রশাসনকে ব্যবহার করে তৃণমূল তো বিজেপি নেতাদের মানুষের কাছে যেতেই দেয়নি। ওদের নেতা-মন্ত্রীদের অবাধে ঘুরতে দেওয়া হয়েছে। আর আমাদের ক্ষেত্রে আইনকে সামনে রেখে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছে। এমনকী, হাজতবাসও করানো হয়েছে। তবে এটা ঠিক যে, ওরা যে পরিমাণে মানুষকে সাহায্য করেছে, তা আমরা করতে পারিনি। রেশন লুটের টাকা তো আমাদের হাতে নেই। তাই বিলিবণ্টনে আমরা পিছিয়ে পড়েছি। এর পাশাপাশিই, বিজেপির শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি শ্যামল বসু বলেন, আমাদের নেতাকর্মীরা রাস্তাতেই মানুষের পাশে ছিলেন। না হলে দফায় দফায় পুলিস গ্রেপ্তার করল কেন? আর শাসকদলের প্রচুর জনপ্রতিনিধি, তাদের হাতে প্রচুর লুটের টাকা। আমরা তারপরেও যতটা মানুষের পাশে থেকেছি, তাতে দলীয় কর্মীরা ও সাধারণ মানুষ সন্তুষ্ট। যদিও বিজেপির এই যুক্তি মানতে নারাজ তৃণমূল। ইতিমধ্যেই, লকডাউনে গেরুয়া নেতাদের ‘গায়েব’ হয়ে যাওয়া নিয়ে ঝড় তুলতে শুরু করেছেন। এই প্রসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের হুগলী জেলা সভাপতি দিলীপ যাদব বলেন, যতটা উৎসাহ জেলার একটি অবাঞ্ছিত ঘটনাকে কেন্দ্র করে গেরুয়া নেতারা দেখিয়েছেন, তার বিন্দুমাত্র করোনা আবহে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য দেখাননি। এটা আর দশজন সাধারণ মানুষের মতো গেরুয়াকর্মীরাও উপলব্ধি করছেন। বিজেপির কাজই কুৎসা করা। তবে আমরা ওসব নিয়ে না ভেবে মানুষের কাজে আরও বেশি করে মনযোগ দিতে চাই। শেষ বিচার মানুষই করবে। আপনার মতামত জানান -