এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > আক্রান্ত একসাথে ৩২ জন! দুশ্চিন্তা বাড়িয়ে বাংলার নতুন করোনা হটস্পট হাওড়ার এই বস্তি!

আক্রান্ত একসাথে ৩২ জন! দুশ্চিন্তা বাড়িয়ে বাংলার নতুন করোনা হটস্পট হাওড়ার এই বস্তি!


পশ্চিমবঙ্গ সরকারের দুশ্চিন্তা বাড়িয়ে আবারও একঝাঁক করোনা রোগী ধরা পরল হাওড়া পুর এলাকায়। এখনো পর্যন্ত পরিস্থিতি যেরকম দাঁড়িয়েছে, তাতে রাজ্যে স্বাস্থ্য ভবনের রিপোর্ট অনুযায়ী বলা যায় বর্তমানে রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে অবশ্যই, কিন্তু সুস্থও হয়ে উঠছেন অনেকেই। এই পরিস্থিতিতে নতুন করে একঝাঁক করোনা রোগীর খোঁজ মেলায় রাজ্য সরকারের চিন্তা যে দ্বিগুণ হল সে কথা বলাই বাহুল্য। করোনা পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে ইতিমধ্যে দেশ তথা রাজ্যজুড়ে চতুর্থ দফার লকডাউন চলছে।

প্রয়োজনে বেশকিছু বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়েছে বটে, কিন্তু তার মাঝেই হাওড়ার পুর এলাকায় একটি হরিজন বস্তি থেকে প্রায় 32 জন করোনা আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গেল। আক্রান্তদের এলাকার কোভিড হাসপাতালের আইসোলেশন বিভাগে রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে। এ প্রসঙ্গে মধ্য হাওড়ার বিধায়ক ও রাজ্যের সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায় জানিয়েছেন, রোগীদের খোঁজ পাওয়া মাত্রই এলাকা সিল করে দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর দিন দশেক আগেই হাওড়া পুরসভার 24 নম্বর ওয়ার্ডের একটি বস্তিতে একজনের শরীরে করোনা ভাইরাসের খোঁজ মেলে প্রথমে।

তারপরেই ওই বস্তিতে মোট 130 জনের সোয়াব টেস্ট করা হয়। সেখানেই 32 জনের রিপোর্ট পজিটিভ আসে বলে জানা গেছে। কিন্তু এতগুলি করোনা রোগীর খোঁজ মিললেও চিন্তা অন্যত্র। যে কজন করোনা আক্রান্ত ধরা পড়েছে, তাঁদের কারোর শরীরেই কোনরকম উপসর্গের দেখা মেলেনি। প্রসঙ্গত, এই বস্তিতে প্রায় দেড়শো জন সাফাই কর্মী থাকেন। তাঁদের মধ্যে অনেকেই হাওড়া পুরনিগমেও কাজ করেন। বর্তমানে হাওড়া হরিজন বস্তিতে ব্যাপকহারে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ায় কাউকেই আর বস্তি থেকে বেরোতে দেওয়া হচ্ছে না বা ঢুকতেও দেওয়া হচ্ছে না।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

হাওড়া অবশ্য আগে থেকেই রেড জোন হয়ে আছে। প্রশাসনের তরফ থেকেই প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি এবং খাদ্যবস্তু বস্তিতে যোগান দেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে। বস্তিতেই কয়েকজন যুবককেকে এ কাজের জন্য সহযোগী হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে। তাঁরাই পুরো ব্যাপারটি দেখাশোনা করছে বলে খবর। প্রথম থেকেই হাওড়া এবং কলকাতায় করোনা সংক্রমণের গ্রাফ মোটেই স্বস্তি দেয়নি রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরকে। উপরন্তু হাওড়া পুরসভা থেকে যেভাবে একঝাঁক করোনা আক্রান্তের খোঁজ মিলল তাতে প্রশাসনের উদ্বেগ বাড়লো বৈ কমলো না।

পরিস্থিতি সামাল দিতে আদাজল খেয়ে উঠেপড়ে লেগেছে প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দপ্তর। বিশেষজ্ঞদের একাংশ প্রথম থেকেই মনে করছিলেন, করোনা তার চরিত্র পাল্টাচ্ছে। বলা যায়, গোষ্ঠী সংক্রমণের দিকেই করোনার লক্ষ্য স্থির হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে বারংবার বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যেহেতু করোনার এখনো পর্যন্ত কোনো প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি তাই যথাযথ টেস্ট এবং সাবধানতা অবলম্বনের মাধ্যমে করোনাকে আয়ত্তে রাখতে হবে। তবে এই মুহূর্তে উপসর্গহীন করোনা ধরা পড়ায় প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়ে গেল এই রাজ্যে?

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!