এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > ফের তৃণমূলের ঘর ভাঙার ইঙ্গিত দিলেন মুকুল রায়, লোকসভা মিটলেই কি বিজেপিতে যোগ, জল্পনা তুঙ্গে

ফের তৃণমূলের ঘর ভাঙার ইঙ্গিত দিলেন মুকুল রায়, লোকসভা মিটলেই কি বিজেপিতে যোগ, জল্পনা তুঙ্গে


প্রথম দফা ভোটের প্রথম দিন। নির্বাচনের প্রথম দিনে সরগরম রাজ্য। মুকুল রায় তৃণমূলের ঘর ভেঙে একের পর এক বিধায়ককে বিজেপির ঘরে তুলে দিয়েছেন। সাথে বার বার দাবি করেছেন যে আরো লোক আসবে। যদিও তৃণমূল একে পাত্তা দিতে রাজি নয়। কেননা তাদের দাবি যারা গেছেন তাঁরা সবাই মুকুল রায়ের মতোই গাদ্দার। ফলে মুকুলবাবু তাদেরকে নিজের দলে টানতে পেরেছেন। আর কেউ যাবে না।

এদিকে আজ ফের তৃণমূলের ঘর ভাঙার ইঙ্গিত দিয়ে ভোটার বাজার জমিয়ে দিলেন মুকুলবাবু। মালবাজারে দলীয় কর্মিসভায় যোগ দিয়ে তিনি দাবি করেন যে, রাজনীতিতে কেউ স্থিতাবস্থায় থাকে না। বিধায়করা প্রাচীরে উঠে বসে আছেন। যে কোনও মুহূর্তে তাঁরা BJP-তে যোগ দিতে পারেন।

আজ মালবাজারে দলীয় কর্মিসভায় যোগ দিতে এসে BJP নেতা মুকুল রায় এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফের তীব্র আক্রমণও করেন । এদিন তিনি বলেন যে, , “নির্বাচনে হারবেন বলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। তাই উনি অবাস্তব কথা বলছেন।” সাথেই মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য নিয়েও তোপ দাগেন তিনি। তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে ভৎসনা করে বলেন , “এ রাজ্যের মূখ্যমন্ত্রী হয়ে যে ভাষা তিনি ব্যবহার করছেন এটা তাঁর মুখে শোভা পায় না। কাউকে তুই তোকারি করা ভারতীয় সংস্কৃতির বিরুদ্ধে। ভারতীয় সংস্কৃতির পরিপন্থী। এই ধরনের ব্যবহার তাঁর কাছে আঁশা করা যায় না।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আজ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে নাম না করে কোচবিহার এবং জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। সাথেই এদের বিষয়ে কমিশনে অভিযোগ জানানোর কথাও বলেন মুকুলবাবু । আলিপুরদুয়ারে জেলাশাসকের বদলি হলো কিন্তু জলপাইগুড়িতে হয়নি তা নিয়েও এদিন মুকুলবাবু জানানযে, “এক চিঠিতে বদল হয়েছে।” সাথেই দাবি করেন “কমিশনকে একটু সময় দিতে হবে। যে আধিকারিকদের নেতৃত্বে পঞ্চায়েত ভোট প্রহসন হয়ে উঠেছিল সেই আধিকারিকদের সামনে এই নির্বাচন হলে তা সুস্থ এবং অবাধ হতে পারে না।”

যদিও ফের বাংলার গণতন্ত্র নিয়ে মুখ খোলেন মুকুলবাবু। তিনি ফের দাবি করেন যে, “বাংলায় গণতন্ত্র নেই, এটা শাসকদল প্রতিষ্ঠা করেছে। যাদের প্রতিশ্রুতি দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় এসেছেন, ক্ষমতায় এসে সেই গণতন্ত্রের গলা টিপে হত্যা করেছেন।” তিনি এদিন যাওয়া স্পষ্ট করে বলে দেন যে, যদি গণতন্ত্র থাকতো তবে তিনি ভোট কর্মীরা কেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি করছে।”

ফলে সব মিলিয়ে ফের যে মুকুল বনাম তৃণমূলের যুদ্ধ শুরু হলো তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এদিকে এক মুকুল অনুগামীর বক্তব্য যে, এবার ফের দিদিমনির রক্তচাপ বেড়ে যাবে, আর ভাইপো চোখে সর্ষে ফুল দেখবে। কেননা ভোট মিটলেই দাদার হাত ধরে বড় বড় নেতারা বিজেপিতে যোগ দেবেন। আর তাছাড়া তৃণমূল দলটা ২০২১ পর্যন্ত টিকবে না।

যদিও এই নিয়ে এখনো পর্যন্ত তৃণমূল নেতা নেত্রীদের কোনো পতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে তাঁরা মুখ খুললে যে ভোটের বাজার আরো জমজমাট হবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।কিন্তু কর্মী সমর্থকদের দাবি লোকসভা মিটলেই দিদি প্রধানমন্ত্রী, আর মোদী বাবু ও মুকুলবাবু কে খুঁজে পাওয়া যাবে না। মুকুলবাবুকে দিদির পা ধরে ক্ষমা চেয়ে তৃণমূলে ফিরতে হবে। যদিও দিদি নেবে কিনা সেটা ও বড় কথা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!