দলবদলু ‘বিধায়কদের’ নিয়ে নতুন সমস্যায় শাসকদল বিশেষ খবর রাজ্য December 14, 2017 ২০১৬ বিধানসভায় এক লড়েও নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্যের ২৯৪ টি বিধানসভা আসনের মধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল একই ঘরে তোলে ২১১ টি আসন। কিন্তু বিধানসভা ভোটের পরে দফায় দফায় শাসকদলে যোগ দিয়েছেন বিরোধী শিবিরের ১০ জন বিধায়ক, তাঁদের মধ্যে ৯ জনই কংগ্রেস থেকে এবং এক জন সিপিএমের। এর মধ্যে একমাত্র মানস ভুঁইয়া তৃণমূলের টিকিটে রাজ্যসভার সাংসদ হয়ে যাওয়ায় বিধায়ক-পদ থেকে ইস্তফা দেন, বাকিদের বিধানসভায় বিধায়ক পদ খারিজ হয়ে যাওয়া নিয়ে শুনানি চলছে। বিরোধী শিবিরের দাবি, আলাদা আলাদা করে দল বদল করায় দলত্যাগ বিরোধী আইনে ওই বিধায়কদের সদস্যপদ এতদিনে খারিজ হয়ে যাওয়ার কথা, কিন্তু শাসকদলে যোগ দিলেও বিধানসভার শুনানিতে দলবদল করা বিধায়করা দাবি করে চলেছেন, তাঁরা দল বদল করেননি! কখনও বা অসুস্থতা বা অন্যান্য কারণ দেখিয়ে অনেকে শুনানিতে গরহাজির থাকছেন, আর তখন আবার অন্য দিন ধার্য করা হচ্ছে! বিরোধীদের আরো দাবি, বিহারে মহাজোট ভেঙে নীতীশ কুমার বিজেপির সমর্থনে নতুন করে সরকার গড়ার জেরে জেডিইউতে কোন্দল বেঁধেছিল, আর তার জেরে জেডিইউ এর অভিযোগের প্রেক্ষিতে শরদ ও আলি আনোয়ারের সাংসদ পদ খারিজ করে দিয়েছেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান কয়েকমাসের মধ্যেই। কিন্তু বাংলায় শাসকদলে যোগ দিয়েছেন বলেই ওইসব বিধায়করা আইন ভেঙ্গেও দীর্ঘদিন ধরে বিধায়ক পদের সমস্ত সুযোগ সুবিধা ভোগ করে যাচ্ছেন। এই ব্যাপারে ক্ষোভ উগরে দিয়ে বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তীর মন্তব্য, দিল্লিতে শাসক বিজেপি-র সুবিধার জন্য দ্রুত সাংসদ-পদ খারিজ করে দেওয়া হয়। এখানে শাসক তৃণমূল চায় বলে দলবদল করা বিধায়কদের নিয়ে সিদ্ধান্ত দিনের পর দিন পিছোতেই থাকে। আবার এই তৃণমূলের সুবিধার জন্য বিজেপি এথিক্স কমিটিতে চুপচাপ থাকে। তাঁর সঙ্গে সহমত হয়ে বিরোধী দলের মুখ্য সচেতক কংগ্রেসের মনোজ চক্রবর্তী বলেন, দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি যে, শাসক দলের মদতে অনাচার চলছে! গণতান্ত্রিক রীতি-নীতি কিছুই মানা হচ্ছে না। সব মিলিয়ে ‘দলবদলু’ বিধায়কদের নিয়ে বিরোধীদের অসন্তোষ বাড়ছেই, আর এই ‘অনাচার’ নিয়ে শাসকদলকে বেকায়দায় ফেলতে ক্রমশ মরিয়া হয়ে একজোট হয়ে উঠতে চাইছে বিরোধী কন্ঠস্বর। আপনার মতামত জানান -