এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > ভাইপোকেও শুনতে হবে বহিরাগত শব্দ! প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হতেই হোঁচট খেল তৃণমূল!

ভাইপোকেও শুনতে হবে বহিরাগত শব্দ! প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হতেই হোঁচট খেল তৃণমূল!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- এত বাংলা দরদী দল, বাঙ্গালীদের ছাড়া তারা নাকি কিছু বোঝে না! কিন্তু সেই দল, যারা এতদিন দেশের প্রধানমন্ত্রী, দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং অন্য রাজ্য থেকে আসা বিজেপি নেতাদের বহিরাগত বলে আক্রমণ করেছেন, সেই তৃণমূল কংগ্রেস দলের নেতারা প্রার্থী তালিকায় এমন কিছু মুখ রাখলেন, যার ফলে তাদের দিকেই সেই প্রশ্ন উঠে যাচ্ছে যে, এখন বহিরাগত শব্দ শোনার মত ক্ষমতা রয়েছে তো পিসি ভাইপোর? কিন্তু কেন এমন প্রশ্ন উঠছে। এই প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। ব্রিগেডের সভামঞ্চ থেকে তৃণমূল যে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে, তারপর সকলে একটাই কথা বলছেন যে, এতদিন যে বহিরাগত বহিরাগত বলে বিজেপি নেতাদের আক্রমণ করা হলো, তাহলে তৃণমূল কি করলো? তৃণমূল তো তাদের প্রার্থী তালিকায় অনেক বহিরাগত মুখ রেখেছে। তাহলে নিজেদের সিদ্ধান্তকে নিজেরাই ভেঙে দিয়ে বিজেপিকে আক্রমণ কেন? প্রায় প্রত্যেকটি সভা মঞ্চ থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার ভাইপো এবং অন্যান্য তৃণমূল নেতারা একটাই কথা বলেন যে, বিজেপি নাকি বাংলার সংস্কৃতি জানে না। আচ্ছা, ধরে নেওয়া গেল, বিজেপি বাংলা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল নয়। কিন্তু তারা তো ওয়াকিবহাল। তাহলে তারপরেও বাংলা থেকে কোনো প্রার্থী খুঁজে না পেয়ে অন্য রাজ্য থেকে কেন বহিরাগত মুখকে এনে পশ্চিমবঙ্গের মাটিতে দাঁড় করাতে হলো? তাহলে যে তৃণমূল এতদিন বহিরাগত বলে বিজেপিকে আক্রমণ করেছিল, তাতে তৃণমূলের মিথ্যাচার তো ধরা পড়ে গেল। মানুষের মনে তো এই প্রশ্ন উঠছে যে, তাহলে তৃণমূলের বহিরাগত প্রার্থীকে তারা মেনে নেবে কেন?

প্রসঙ্গত, তৃণমূলের প্রার্থী তালিকায় অনেক মুখ লক্ষ্য করা গিয়েছে‌। যার মধ্যে অন্যতম ইউসুফ পাঠান, কীর্তি আজাদের মত ব্যক্তিত্বরা। আর সেখানেই প্রশ্ন যে, এরা তো বহিরাগত। এরা তো কেউ বাংলার মানুষ নয়। তাহলে তাদের নাম প্রার্থী তালিকায় কেন রাখল তৃণমূল কংগ্রেস? আর সেই প্রশ্নই তুলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার পিসি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। আর বলতে গেলে সুকান্তবাবুও যুক্তি সহকারেই এই কথা তুলে ধরেছেন। মানুষের পক্ষ থেকেও তো আজকে এই প্রশ্ন উঠছে যে, তৃণমূলের এই দ্বিচারিতা কেন? বিজেপির বেলাতেই তারা এত দোষ খুঁজে পাবে কেন? তাহলে নিজেরা যে এখন বহিরাগতকে এনে প্রার্থী করছে, তাহলে কি ধরে নিতে হবে যে, পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূলের সংগঠন নেই! তাই অন্য রাজ্য থেকে লোক নিয়ে আসতে হচ্ছে তাদের?

পর্যবেক্ষকদের মতে, তৃণমূল খুব ভালো করে জানে, দেশটার নাম ভারতবর্ষ। এখানে কেউ বহিরাগত নয়। আসলে তৃণমূল কোনো রাজনৈতিক দল তো নয়। এরা তো একটা কোম্পানিতে পরিণত হয়েছে। সেই কারণেই প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজ্যে আসলেও তাদেরকে বহিরাগত বলে আক্রমণ করতে দুবার ভাবেন না তৃণমূলের নেতা নেত্রীরা। কিন্তু বিজেপি তো সেই রকম দল নয়। তারা সবাইকে নিয়ে চলতে ভালোবাসে। সেই কারণে তৃণমূল এতদিন যে বহিরাগত বলে বিজেপিকে আক্রমণ করেছে, সেই বহিরাগত মুখকে নিয়ে এসেই তারা প্রার্থী করে জেতার চেষ্টা করছে। তবে সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে তৃণমূলের অতীতে করা বিজেপি নেতাদের উদ্দেশ্যে বহিরাগত মন্তব্যকে সামনে এনে তাদের উদ্দেশ্যে একদম যুক্তি সঙ্গত প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি। যার ফলে মনে করা হচ্ছে যে, আগামী দিনে এই সমস্ত জায়গায় ভোট চাইতে গিয়ে ভাইপোকে আগে শুনতে হবে যে, এতদিন তাহলে কাদেরকে বহিরাগত বলে আক্রমণ করেছিলেন, এখন যে আপনারাই বহিরাগত প্রার্থী দিলেন, তার কি হবে? তাই প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হওয়ার সাথে সাথেই একটা বড় ধাক্কা খেলো এই রাজ্যের শাসক দল। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!