এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > অর্জুনের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা মমতার? ফের তৃণমূলে ভাঙ্গনের জল্পনা! উত্তাল রাজ্য!

অর্জুনের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা মমতার? ফের তৃণমূলে ভাঙ্গনের জল্পনা! উত্তাল রাজ্য!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সব সময় রাজ্যের মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে এসেছেন। এতদিন এই অভিযোগ ছিল বিরোধীদের। কিন্তু তিনি যে নিজের দলের অনেক নেতাদের সঙ্গেও প্রতারণা এবং বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন, তা লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হওয়ার পরেই যত ক্ষোভ, বিক্ষোভ সামনে আসছে, তাতেই স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আর তারপরেই আরেকটি আশঙ্কা মাথাচাড়া দিচ্ছে যে, এবার কি দলের বিরুদ্ধে খড়গহস্ত হয়ে বিরোধী হিসেবে যোগদান করবেন বিক্ষুব্ধ নেতারা? তৃণমূলের পক্ষ থেকে ব্রিগেড সমাবেশে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে যতই চমক দেওয়ার চেষ্টা হোক, ভেতরে ভেতরে কিন্তু রাজনৈতিক লোকেরা গুরুত্ব পেলেন না। এই প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হওয়ার পর দিকে দিকে যারা তৃণমূলের ভালো কর্মী, যারা ভালো নেতা, যারা আশা করেছিলেন যে, তারা এবার টিকিট পাবেন, তাদের অনেককেই অন্য দল থেকে নিয়ে আসার পরেও, যোগদান করিয়েও কথা দিয়ে কথা রাখেনি তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। ইতিমধ্যেই টিকিট না পেয়ে হতাশার কথা জানিয়ে দিয়েছেন ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংহ। যিনি একসময় বিজেপি থেকে তৃণমূল কংগ্রেসে যুক্ত হয়েছিলেন। এমনকি তাকে নাকি বলা হয়েছিল যে, তাকে ব্যারাকপুর থেকে টিকিট দেওয়া হবে! তাহলে তার জায়গায় পার্থ ভৌমিককে টিকিট কেন দেওয়া হল! সেই প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন তিনি।

প্রসঙ্গত, ব্রিগেডের সভা থেকেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের ৪২ টি আসনে তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে দেন। আর তারপরেই সাংবাদিক বৈঠক করে দল কথা দিলেও কথা রাখেনি বলেও কিছুটা অভিমানী এবং হতাশা মত প্রকাশ করতে দেখা যায় অর্জুন সিংহকে। তিনি এটাও জানান যে, যদি আমাকে প্রার্থী নাই করা হবে, তাহলে আমাকে আগে বলে দিতেই পারত। কিন্তু আমাকে তো বলা হয়েছিল যে, আমাকে প্রার্থী করা হবে। অর্থাৎ দলের বিরুদ্ধে কোথাও যেন একটা অভিমান এবং প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের অভিযোগ তুলছেন এই সাংসদ। আর তারপরেই আশঙ্কা মাথাচাড়া দিচ্ছে যে, কোনোমতেই পার্থ ভৌমিকের হয়ে ভোট করাতে পারবেন না অর্জুন সিংহ। তিনি এটা মনে মনে কোনোমতেই মেনে নিতে পারবেন না। আর সেই কারণেই তিনি আবার দলবদলের মত একটা সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। ফিরে যেতে পারেন তার পুরনো দল ভারতীয় জনতা পার্টিতে। এই জল্পনা ক্রমশ তৈরি হচ্ছে রাজনৈতিক মহলে।

পর্যবেক্ষকদের প্রশ্ন, তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের কি অর্জুন সিংহের এই বক্তব্যকে খন্ডন করার মত ক্ষমতা রয়েছে? যদি অর্জুন সিংহ ভুল বলে, যদি তাকে দলের তরফে এরকম কোনো কথা বলা নাই হয় যে, তাকে প্রার্থী করা হবে না, তাহলে তার বক্তব্যকে খন্ডন করুক তৃণমূলের যুবরাজ বা তাদের দলের সর্বভারতীয় নেত্রী। কিন্তু কেউ তো তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে কোনো কথাই বলছে না। আর তার ফলে  স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে যে, অর্জুন সিংহকে কথা দিয়েও কথা রাখতে পারেনি তৃণমূল কংগ্রেস। স্বাভাবিকভাবেই অর্জুন সিংহ কিন্তু এখন চুপ করে বসে থাকবেন না। দল যখন প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছেন, তখন তিনিও বেঁকে বসতে পারেন এবং নিতে পারেন চরম সিদ্ধান্ত। আর তার খেসারত ব্যারাকপুরে ভোট রাজনীতির মধ্যে দিয়ে প্রবলভাবে দিতে হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার ভাইপোকে। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!